স্বাদে দুই বাংলার রসনা তৃপ্ত করার ক্ষমতা আছে পালং ভর্তার। ছবি: সংগৃহীত।
শীতের বাজারে পালং শাকের অভাব নেই। এই সময়টায় তাই হেঁশেলেও পালং শাকের নানা পদ তৈরি হয়। কেউ পালং শাকের ঘণ্ট রাঁধেন, কেউ বানান চচ্চড়ি, পালং চিকেন, পালং পনিরও রাঁধেন কেউ কেউ। কিছু না হলে, সর্ষে আর লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে পালং শাক ভেজে পরিবেশন করা হয় শুরুর পাতে। তবে ওই গুটিকয়েক পদের বাইরে যদি পালং শাক দিয়ে নতুন কিছু রাঁধতে হয়, তবে এই রেসিপিটি বানিয়ে দেখতে পারেন।
নাম পালং ভর্তা। বহু ভর্তার রেসিপির মতোই এই রেসিপিতেও রয়েছে ও পার বাংলার ছায়া। তবে স্বাদে দুই বাংলার রসনা তৃপ্ত করার ক্ষমতা আছে পালং ভর্তার।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ:
৩০০ গ্রাম পালং শাক
১৫ কোয়া রসুন
২টি কাঁচা লঙ্কা
২টি শুকনো লঙ্কা
১টি মাঝারি আকারের পেয়াঁজ
২টেবিল চামচ ধনেপাতা
২ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
স্বাদ মতো নুন
প্রণালী:
পালং শাক মাঝারি মাপের কুচি করে কেটে ভাল করে ধুয়ে কড়াইয়ে দিয়ে সামান্য নুন ছড়িয়ে ঢাকা দিয়ে সেদ্ধ হতে দিন। কিছু ক্ষণ পরে পালং শাক থেকে জল বেরিয়ে এলে ওই জলেই শাক নাড়াচাড়া করে জল শুকিয়ে এলে তুলে নিন।
এ বার ১ চা চামচ তেল সরিয়ে রেখে কড়াইয়ে বাকি তেল দিয়ে তাতে প্রথম শুকনো লঙ্কা ভেজে তুলুন। তার পরে একে একে পেয়াঁজ, রসুন কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ভাল করে ভেজে তুলে নিন।
একটি পাত্রে প্রথমে সেদ্ধ হওয়া পালং শাক হাতে করে চটকে মেখে নিয়ে সরিয়ে রাখুন। তার পরে ওই পত্রেই শুকনো লঙ্কা, কাঁচ লঙ্কা, পেয়াঁজ, রসুন, অল্প একটু নুন দিয়ে হাতে করে মেখে পালং শাকের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। উপরে ধনেপাতা এবং সর্ষের তেল ছড়িয়ে নিলেই তৈরি পালং শাকের ভর্তা।