‘আপেলের মাখন’ বিষয়টা ঠিক কী রকম? ছবি: সংগৃহীত।
নানা রকম ফলের টুকরো দিয়ে স্যালাড সাজিয়ে দেন বাড়ির খুদেটিকে। কিন্তু, সে আপেল খেতে মোটে পছন্দ করে না। বেছে বেছে আপেলের টুকরো ফেলে দেয়। না হলে বাড়ির পোষ্যটিকে খাইয়ে দেয়। সেদ্ধ করে খাওয়ালেও একই অবস্থা। অন্য কোন উপায়ে খুদেকে এই ফলটি খাওয়ানো যেতে পারে?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, শিশুদের আপেল খাওয়ানোর সহজ এবং মজার একটি পন্থা হতে পারে আপেলের মাখন তৈরি করে রাখা। মাখন বললেও তা আসলে জ্যাম বা জেলির মতোই খেতে। টোস্ট বা স্যান্ডউইচে স্প্রেডের মতো কিংবা দু’টি বিস্কুটের মাঝে আপেল দিয়ে তৈরি মাখন মাখিয়ে দিলে এই ফলটি খাওয়াতে আর কোনও সমস্যাই হবে না। কিন্তু সেই মাখন বানাবেন কী করে? রইল প্রণালী।
উপকরণ:
১ কেজি: আপেল
আধ কাপ: চিনি
আধ কাপ: ব্রাউন সুগার
আধ টেবিল চামচ: দারচিনি গুঁড়ো
আধ চা চামচ: জায়ফল গুঁড়ো
আধ চা চামচ: লবঙ্গের গুঁড়ো
আধ চা চামচ: নুন
৩ টেবিল চামচ: লেবুর রস
প্রণালী:
১) প্রথমে আপেলগুলি ভাল করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। ছোট টুকরো করে রাখুন।
২) এ বার কড়াইতে আপেলের টুকরো এবং লেবুর রস দিয়ে অল্প আঁচে নাড়াচাড়া করতে থাকুন। আপেল সেদ্ধ হবে এবং রসও বেরোতে শুরু করবে।
৩) মিনিট দশেকের মধ্যে আপেল সেদ্ধ হয়ে যাবে। তার পর একে একে দারচিনি, লবঙ্গ এবং নুন দিয়ে নাড়াচাড়া করে যেতে হবে। তার পর দিয়ে দিতে হবে দু’ধরনের চিনি।
৪) চিনি গলে আপেলের ক্বাথের সঙ্গে মিশে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, আপেলের মিশ্রণ যেন ঘন হয়ে আসে।
৫) এ বার ওই মিশ্রণ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে মিক্সিতে বা ব্লেন্ডারে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
৬) বায়ুরোধী কাচের পাত্রে সেই মাখন তুলে রাখার আগে দেখে নিতে হবে, তা যেন পুরোপুরি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় চলে আসে। না হলে আপেলের মাখন বেশি দিন সংরক্ষণ করে রাখা যাবে না।