চিঁড়ে দিয়েই তৈরি করা যায় মুচমুচে রকমারি পদ। ছবি: সংগৃহীত।
উপোসের দিনে ফলার হিসাবে খাওয়া হয়। গরমকালে পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে চিঁড়ে ভেজানো জল। আবার চিঁড়ে দিয়েই তৈরি হয় রকমারি পদ। তবে, চিঁড়েকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন খাবারের স্বাদও বাড়িয়ে তোলা যায়। নানা রকম পদে বিবিধ কারণে চিঁড়ের ব্যবহার হয়, জানেন কি?
পট্টি সামোসা
মহারাষ্ট্রে পট্টি সামোসা খাওয়ার চল রয়েছে। এটা শিঙাড়ারই একটি রূপ। তবে বাংলার শিঙাড়ায় যেমন ময়দা মেখে বেলে খোল তৈরি করা হয়, এখানে তেমন নয়। পট্টি সামোসায় ব্যবহার করা পাতলা ফিনফিনে পট্টি। এটিও আটা বা ময়দা দিয়ে তৈরি, তবে তা পাতলা কাগজের মতো। দোকানেই কিনতে পাওয়া যায় সেটি। পট্টি সমোসায় পেঁয়াজের পুর দেওয়ার রেওয়াজ আছে। তারই মধ্যে ব্যবহৃত হয় চিঁড়ে। তার কারণ পেঁয়াজ নুন ও মশলা মাখিয়ে দেওয়ার পর তা থেকে জল ছাড়ে। এই জল শুষে নিতে সাহায্য করে চিঁড়ে। পুরে এক কাপ পেঁয়াজ কুচি নিলে, এক কাপ চিঁড়ে নিতে হবে। চিঁড়ে, পেঁয়াজ, ভেজে নেওয়া জিরে, লঙ্কা গুঁড়ো, কাঁচালঙ্কা, চাট মশলা, স্বাদমতো নুন একসঙ্গে ভাল করে মাখিয়ে নিতে হবে। তার পর পট্টিতে পুর ভরে একাধিক ভাঁজে তৈরি করতে হবে সামোসা। ডুবো তেলে ভেজে নিলেই হবে।
চিঁড়ের দোসা
সুজি দিয়ে দোসা হয়। এর সঙ্গে চিঁড়ে মিশিয়েও মুচমুচে দোসা বানিয়ে নেওয়া যায়। মিক্সিতে ১ বাটি ভিজে চিঁড়ে দিতে হবে। সমপরিমাণ সুজি মেশাতে হবে। তাতে সামান্য আদা, কারিপাতা স্বাদমতো নুন ও জল দিয়ে বেটে নিন। মিশ্রণটি খুব পাতলা বা ঘন হব না। তার পর চ্যাপ্টা কড়াই বা দোসা তৈরির পাত্রে সামান্য তেল দিয়ে ওই মিশ্রণ দিয়ে দোসা বানিয়ে নিন।
চিঁড়ে আলুর কাটলেট
আলুর কাটলেটে বা বড়ায় সামান্য চিঁড়ে মেশালে স্বাদে যেমন বদল আসবে, তেমনই মুচমুচেও হবে। ধুয়ে নেওয়া চিঁড়ে, আলু সেদ্ধ, পেঁয়াজ, লঙ্কা কুচি, স্বাদমতো নুন, চাট মশলা দিয়ে মেখে কাটলেটের আকার দিন। কর্নফ্লাওয়ার গোলা জলে ডুবিয়ে বাইরে থেকে বিস্কুটের গুঁড়ো মাখিয়ে নিন। এর পর ডুবো তেলে ভাজলেই তৈরি চিঁড়ে আলুর কাটলেট।