চা এর সঙ্গে ‘টা’-এ হোক মুচমুচে ডালের বড়া। ছবি: সংগৃহীত।
চা ছাড়া যেমন সান্ধ্য আড্ডা জমে না, তেমনই ‘টা’ ছাড়া চা-ও জমে না। জমজমাটি গল্পের আসর জমজমাটি জিভকে তুষ্ট করতে পাতে রাখতে পারেন রকমারি ডাল বড়া। জেনে নিন ঝক্কি ছাড়াই কী ভাবে চটজলদি বানিয়ে নেবেন।
কলমি বড়া
মুচমুচে এই বড়াটি রাজস্থানে খুব জনপ্রিয়। দেড় কাপ ছোলার ডালের সঙ্গে অর্ধেক কাপ মুগের ডাল মিশিয়ে বড়াটি করতে হবে। ডাল কয়েক ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। তার পর মিক্সিতে ডাল, আদা, রসুন, স্বাদ মতো নুন দিয়ে বেটে নিন। এতে যোগ করতে হবে গোল মরিচ, জিরে ও ধনের গুঁড়ো। দিতে হবে গুঁড়ো লঙ্কা বা কাঁচা লঙ্কা। সমস্ত উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে ডুবো তেলে বড়া ভেজে নিলেই হবে।
বিউলির ডালের বড়া
চায়ের সঙ্গে বিউলির ডালের বড়াও দারুণ জমে যাবে। ডালটা শুধু বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে ভিজিয়ে রাখতে হবে। বিউলির ডাল বেটে (সামান্য জল দিয়ে) তার মধ্যে হিং, পেঁয়াজ কুচি, কারি পাতা, কাঁচা লঙ্কা কুচি মিশিয়ে নিন। দিতে হবে স্বাদ মতো নুন। সমগ্র মিশ্রণটি হাত দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নেওয়া আবশ্যক। না হলে বরার ফুলবে না, স্বাদও ভাল হবে না। ডুবোতেলে মিশ্রণটি গোল গোল করে দিয়ে বড়া ভেজে নিন।
ডাল ও ফুলকপির বড়া
শীতের সব্জি ফুলকপি এখন বছরভর মেলে। আর ফুলকপির বড়া গরম চায়ের সঙ্গে দারুণ জমেও যায়। তবে শুধু ফুলকপি নয়, স্বাদ বদল আনতে জুড়তে পারেন ডাল। ছোলা বা মটর ডাল বেছে নিতে পারেন এই বড়ার জন্য। ডাল কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে শুকনো করে বেটে নিতে হবে। এর সঙ্গে মেশাতে হবে মিহি করে কুচোনো ফুলকপি। যোগ করুন পেঁয়াজ, লঙ্কা, ধনে পাতা কুচি, স্বাদ মতো নুন, হলুদ ও লঙ্কার গুঁড়ো। চাট মশলা ও আমচুর গুঁড়ো দিলে স্বাদও খানিক বাড়বে। এ বার সমস্ত উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে ডুবোতেলে বড়ার মতো ভেজে নিলেই হবে।
চায়ের সঙ্গে বড়া, চাইলে মুড়িও মেখে নিতে পারেন।