শামি কবাব বানিয়ে ফেলুন বাড়ির হেঁশেলেই!
বর্ষার মরসুমে পকোড়া-কবাবের প্রতি আলাদাই টান তৈরি হয়। বাইরে ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়লে সন্ধ্যাবেলার টুক করে বানানো জলখাবারে যদি থাকে কবাব, তা হলে বর্ষাটাকে বোধ হয় আরও একটু বেশিই উপভোগ করা যায়।
রেস্তরাঁয় গেলেই যে খাবারগুলি আপনার মুখে জল এনে দিতে পারে, তার মধ্যে শামি কবাব অন্যতম। এই দুর্দান্ত পদটি বাড়িতেই ঝটপট বানিয়ে ফেলে আপনার প্রিয়জনের সামনে পরিবেশন করুন। দেখে নিন কী ভাবে বানাবেন এই কবাব।
উপকরণ:
ছোলার ডাল: ১৫০ গ্রাম
পাঁঠার মাংস: ৫০০ গ্রাম
আদা-রসুন বাটা: ২ টেবিল চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
শাহ জিরে: আধ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো: ১ টেবিল চামচ
শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো: ১ টেবিল চামচ
কাঁচালঙ্কা কুচি: ১ টেবিল চামচ
ধনেপাতা কুচি: ২ টেবিল চামচ
ছাতু: ২ টেবিল চামচ
ডিম: ১টি
নুন: স্বাদমতো
তেল: ৪ টেবিল চামচ
প্রতীকী ছবি
প্রণালী:
প্রেশার কুকারে ছোলার ডাল, হাড় ছাড়ানো পাঁঠার মাংস, রসুন, আদা, গরম মশলা গুঁড়ো, শাহি জিরে, হলুদ গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, নুন দিয়ে আর একটি সিটি দিন। পাত্রের জল শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এর পর ছোলার ডালের মিশ্রণটি ঠান্ডা করে মিক্সিতে বেটে নিন। মিশ্রণটি অন্য পাত্রে ঢেলে নিয়ে তাতে কাঁচালঙ্কা কুচি, ধনেপাতা কুচি, ছাতু, ডিম দিয়ে ভাল করে মেখে নিন।
গ্যাসের আঁচে কয়লার টুকরোটি বেশ অনেক ক্ষণ ধরে গরম করে নিন। একটি ছোট পাত্রে গরম কয়লাটি রাখুন। এর পর সেই পাত্রটি মূল মিশ্রণের মধ্যে রেখে কয়লার উপর ঘি ঢেলে পাত্রের মুখটি ভাল করে ঢেকে দিন। যাতে ঘি ও পোড়া গন্ধ দুই-ই কবাবে ঠাঁই পায়। আধ ঘণ্টা রাখার পর কয়লার বাটি সরিয়ে মিশ্রণটিকে গোল টিকিয়ার আকারে গড়ে অল্প তেলে ভেজে নিন। স্যালাড আর সবুজ চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন গরম গরম শামি কবাব।