গুজিয়া তৈরির প্রণালী ছবি: সংগৃহীত
দোল উৎসব মানেই রং খেলা, আর তার সঙ্গে জমিয়ে ভূরিভোজ। হই-হুল্লোড় করার পর মিষ্টি মুখ করতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া বিরল, আর দোল খেলার পর পছন্দের মিষ্টির তালিকায় উপরের দিকেই থাকবে গুজিয়া। তাই অতিথি সমাগম হওয়ার আগেই ঝটপট বানিয়ে ফেলুন এই পদ, রইল প্রণালী।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
উপকরণ—
ঘি: দেড় কাপ
নারকেল: অর্ধেক কুড়িয়ে রাখা
ময়দা: ৩ কাপ
কিশমিশ: ১০-১২ টি
বাদাম: ২ চামচ টুকরো করা
মাওয়া: তিনশো গ্রাম
দুধ: এক কাপ
চিনি, এলাচ গুঁড়ো, তেল: পরিমাণ মতো
প্রণালী—
১। একটি বাটিতে ময়দা ও ঘি নিন। হাত দিতে ময়দা ও ঘি মিশিয়ে নিন ভাল করে। ঘি ও ময়দা মাখার সময় অল্প অল্প করে জল মেশাতে থাকুন।
২। ময়দা সামান্য জমাট হয়ে এলে একটি ভেজা কাপড় দিয়ে ময়দা ঢেকে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট রেখে দিন।
৩। পূর তৈরি করতে, মাঝারি আঁচে একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ ঘি গরম করুন। ওই পাত্রেই কিশমিশ এবং বাদাম দিয়ে দিন। সুগন্ধ বার না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকুন।
৪। অপর একটি পাত্রে নারকেল ভেজে নিন অল্প করে। ভাজা হয়ে গেলে তুলে রাখুন।
৫। এবার একই পাত্রে কোড়ানো মাওয়া দিন। আঁচ কমিয়ে ৫ থেকে ৬ মিনিট ভাজুন, যতক্ষণ না মাওয়া হালকা সোনালি রঙে পরিণত হয়।
৬। ভাজা মাওয়া একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে দিন, ১ টেবিল চামচ দুধ দিয়ে ব্লেন্ড করুন। মাওয়া যদি তাজা হয় তবে আলাদা করে দুধ না দিলেও চলবে। ব্লেন্ড হয়ে গেলে একটি বড় বাটিতে মাওয়া তুলে রেখে ঠান্ডা হতে দিন।
৭। এরপর বাদাম, কিশমিশ, কোড়ানো নারকেল, চিনি ও এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
৮। অপর একটি ছোট পাত্রে ৩ টেবিল চামচ জলের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ ময়দা মেশান। এই মিশ্রণটি গুজিয়ার চারপাশ বন্ধ করতে ব্যবহার করা হবে।
৯। মেখে রাখা ময়দা সমান বলের মতো করে ভাগ করুন। প্রতিটি গোলা পাঁচ থেকে ছয় ইঞ্চি মাপের মতো করে বেলে নিন। প্রতিটির ভিতর এক চামচ পুর দিয়ে দুই প্রান্ত আটকে দিন।
১০। গুজিয়ার দুই প্রান্ত একই সঙ্গে টিপে বন্ধ করুন। পাশ থেকে অতিরিক্ত ময়দা বাদ দিয়ে দিন।
১১। একই ভাবে সব গুজিয়া তৈরি হয়ে এলে আলাদা করে তেল গরম করুন। যথেষ্ট গরম হয়ে এলে, মাঝারি আঁচে হালকা সোনালি বাদামী রং হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে গুজিয়া।