মাইক্রোওয়েভ ওভেনে বেশ কিছু খাওয়ার গরম করা উচিত নয়। ছবি: সংগৃহীত।
ব্যস্ততম জীবনে ঘর আর বাইরে একসঙ্গে সামলানোর জন্য বা়ড়িতে মাইক্রোওয়েভ আভেন থাকা জরুরি। সময় বাঁচাতে অনেকেই রান্না করে ফ্রিজে রেখে দেন। প্রয়োজন মতো ফ্রিজ থেকে বার করে গরম করে খেলেই হল। অনেক সময় রাতে আনা বিরিয়ানি, ফ্রায়েড রাইস খাওয়ার পরেও বেঁচে যায়। সেগুলি গ্যাসের চেয়ে মাইক্রোওয়েভে গরম করা বেশি সুবিধাজনক। তবে কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি মাইক্রোওয়েভে গরম না করাই ভাল। তাতে খাবারের স্বাদ তো বটেও, গুণমানও চলে যায়।
ডিম সেদ্ধ
সকালে ডিম সেদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু কাজের চাপে খেতে ভুলে গিয়েছেন। সন্ধের খিদে মেটাতে তাই ভাবলেন, ডিমটাই খেয়ে নেওয়া যাক। ঠান্ডা ডিম তো আর খাওয়া যায় না। তবে ডিম গরম করতে কখনও মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করবেন না। খোসা সহ ডিম মাইক্রোওয়েভে ঢোকালে খোসা ফেটে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তা ছাড়া সেদ্ধ ডিমের স্বাস্থ্যগুণও আর বজায় থাকে না।
সব্জির তরকারি
রুটির সঙ্গে রাতে সব্জি রেঁধেছেন। খাওয়ার আগে তরকারি গরম করার কথা ভাবলেও মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করবেন না। মাইক্রোওয়েভে সব্জি গরম করলে সব্জির যে পুষ্টিগুণ, তা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সব্জি খেয়েও কোনও লাভ হয় না।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ডিম সেদ্ধ গরম না করাই ভাল। ছবি: সংগৃহীত।
মাংস
আগের রাতের বাসি মাংস ফ্রিজ থেকে বার করে সরাসরি মাইক্রোওয়েভে গরম করবেন না। এতে মাংসের ভিতরের অংশ কাঁচা থেকে যায়। এতে মাংসের স্বাদও নষ্ট হয়ে যায়। মাংসের ভিতরে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়।
ভাত
ঠান্ডা ভাত কখনওই মাইক্রোওয়েভে গরম করা ঠিক নয়। ভাত মাইক্রোওয়েভে ঢোকালেই তাতে নানা ধরনের ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধে। যেগুলি পেটে গেলে হজমের গোলমাল দেখা দেয়। সেই সঙ্গে বমি, বুক জ্বালা তো আছেই।
ব্রকোলি
ব্রকোলি দেওয়া মাছের ঝোল কিংবা অন্য কোনও খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করবেন না। ব্রকোলি হল নানারকম স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর একটি সব্জি। ব্রকোলি শরীরের যত্ন নেয়। কিন্তু ব্রকোলি মাইক্রোওয়েভে গরম করলে এর যাবতীয় স্বাস্থ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়।