বেগুন দিয়ে ইলিশ মাছের ঝোল। ফাইল ছবি।
বর্ষার মরসুম মানেই ইলিশ। আর ইলিশ শুনলেই প্রথমেই মনে হয় সর্ষে বাটা ইলিশ কিংবা ভাপা ইলিশের কথা। সে সব তো আছেই। তবে ইলিশের ঝোলও কিন্তু কম সুস্বাদু নয়। বাংলাদেশের নানা জেলায় ইলিশের নানা রকম পদের চল রয়েছে উনিশ শতকের আগে থেকে। রাজশাহির একটা অংশে ইলিশ মাছের ঝোল রান্না করা হত বেগুন দিয়ে। এখন প্রতিটি বাঙালি ঘরে অনেকেই এই পদ বানাতে জানেন। কিন্তু কী ফোড়ন দিতে হয় এতে, বেগুনটা কি কাঁচা দিতে হয়, নাকি আগে ভেজে নিতে হবে, এগুলো নিয়ে নানারকম সংশয় থাকে অনেকেরই।
স্বাদ আর সাধ্যও একটা বড় ব্যাপার। ইলিশেরও দামও বাড়ছে হু হু করে। কিন্তু ভোজনপ্রিয় খাদ্যরসিক বাঙালি সপ্তাহের পাঁচ দিন নিরামিষ খেয়েও দুটো দিন ইলিশ খেতে বদ্ধপরিকর। এদিকে একই রকম পদ খেতেও ভাল লাগে না। শরীরও ভাল রাখতে হবে করোনা আবহে। বেশি তেল ঝোল মশলা দেওয়া খাবারও খাওয়া যাবে না। বেগুন দিয়ে ইলিশ মাছের ঝোল চেখে দেখুন তো এক বার। রইল রেসিপি।
উপকরণ
ইলিশ মাছ ৪-৫ পিস
বেগুন টুকরো করে কাটা (একটা মাঝারি আকারের কাপ ভর্তি)
আলু ফালি ফালি টুকরো করে কাটা (৪-৫ ছোট টুকরো ), আলু নাও দিতে পারেন।
কাঁচা লঙ্কা ৫-৬টি
হলুদ গুঁড়ো ২ চা চামচ
সর্ষের তেল ৪ চা চামচ
কালো জিরে এক চা চামচ
নুন স্বাদ মতো
প্রণালী: ইলিশ মাছ ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ডিম ভরা ইলিশ হলে সতর্ক হয়ে ধুতে হবে, যাতে ডিমগুলি মাছের বাইরে বেরিয়ে না আসে। এরপর হলুদ গুঁড়ো ও নুন মাখিয়ে অল্প সর্ষের তেলে ভেজে নিতে হবে ইলিশ মাছের টুকরোগুলিকে। এর পর মাছগুলি তুলে রাখতে হবে। অল্প হলুদ ও নুন মাখিয়ে রাখতে হবে আলু ও বেগুনের টুকরোগুলিকেও
মাছ তুলে রেখে কড়াইয়ে লেগে থাকা ওই তেলেই বা প্রয়োজন হলে আরও একটু তেল দিয়ে পাত্রটি অল্প গরম হলে তাতে কালো জিরে ফোড়ন দিতে হবে। তারপর আলু ও বেগুনের টুকরোগুলিকে কড়াইয়ে দিয়ে অল্প সাঁতলে নিতে হবে। মিনিট তিনেক মতো রাখলেই হবে। এরপর ছোট কাপের দু কাপ জল দিয়ে পাত্রটি ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হবে মিনিট ছয় থেকে সাত।
এর পর ভাজা মাছগুলিকে ঝোলে দিয়ে কাঁচা লঙ্কা চিরে দিতে হবে। দু চামচ কাঁচা সর্ষের তেল আর অল্প নুন মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে মিনিট চারেক মতো রান্না করে নিলেই তৈরি ইলিশ বেগুনের ঝোল। আজই বানান আর জানাতে ভুলবেন না কেমন লাগল।