বাঙালির পাতে পাতুরিপ্রেম নতুন নয়। নিরামিষ হোক বা আমিষ, পাতুরির টান যেমন পনিরে, তেমনই মাছ-মাংসেও। বিসেষ করে ভেটকি মাছের পাতুরি তো বাঙালির অন্যতম প্রিয় পদ।
বাঙালিখানার রেস্তরাঁয় গেলেও এই পদের অর্ডার করেন অনেকেই। তবে রেসিপি জানলে এটি সহজেই বানিয়ে নেওয়া যায় বাড়িতে। সর্ষে, পোস্ত ও নারকেল বাটার এই পদ গরম ভাত বা পোলাও, সব কিছুর সঙ্গেই শো স্টপার।
কোন কোন উপাদান প্রয়োজন আর বানাবেন কী করে, রইল সে সব হদিশ।
আরও পড়ুন: মুচমুচে কবিরাজি কাটলেটের সঙ্গে জমে উঠুক চায়ের আড্ডা!
উপকরণ
ভেটকি ফিলে (পাতুরির মাপে): চার টুকরো
সর্ষে: ২ টেবিলচামচ
পোস্ত: এক টেবিলচামচ
নারকেল কোরা: আধ কাপ
কাঁচালঙ্কা: স্বাদ মতো
হলুদ গুঁড়ো: দুই চাচামচ
নুন: স্বাদ মতো
কলাপাতা
সর্ষের তেল
আরও পড়ুন: নারকেল আর চিংড়ি, তবু মালাইকারি নয়! এই স্ন্যাক্সেই জমবে আড্ডা
পদ্ধতি
ভেটকি মাছের ফিলেতে নুন আর হলুদ মাখিয়ে রাকুন। অনেকেই কাঁচা মাছ রান্না না করে একটু তেলে নেড়ে নিতে চান। সে ক্ষেত্রে অল্প তেলে দু’পিঠ একটু সতে করে নিতে পারেন। এ বার সর্ষে, পোস্ত ও নারকেল কোরা খুব অল্প জ ব্যবহার করে একসঙ্গে বেটে নিন। ঝাল পছন্দ করলে এর সঙ্গে যোগ করতে পারেন কাঁচালঙ্কাও। এ বার এই বাটা মশলায় স্বাদ মতো নুন ও হলুদ যোগ করুন। মাছের ফিলের গায়ে এই মশলা অল্প করে মাখিয়ে ফিলেগুলো ঘণ্টাখানেকের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। তাতে মাছের ভিতরে মশলা ঢুকে স্বাদ বাড়াবে। এ বার কলাপাতাগুলো সেঁকে নিন অল্প আঁচে। ফ্রিজ থেকে বার করুন ভেটকি ফিলেগুলো। এই সেঁকে নেওয়া কলাপাতার উপর এক চামচ মশলা। তার উপরে মাছ ও আবারও মশলা দিয়ে মাছগুলোর উপর মশলার আস্তরণ তৈরি করুন। সঙ্গে দিন গোটা চেরা কাঁচালঙ্কা ও অল্প কাঁচা সর্ষের তেল। এ বার কলাপাতাগুলো মুড়ে দিন সুতো দিয়ে।
এ বার নন স্টিক প্যানে আঁচ কমিয়ে তেল দিন। পাতাগুলো ভেজে কালচে হয়ে এলে বুঝবেন ভিতরের মাছও তৈরি! যারা আগেই এক বার মাছ ভেজে নেবেন, তাঁরা কলাপাতা কালো হওয়া অবধি অপেক্ষা করবেন না, ভাজা হলেই নামিয়ে নেবেন।
এ বার গরম ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন এই পাতুরি!