সোয়াবিনের টিক্কা কাবাব। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষার সন্ধায় ‘চটাপটা’ কিছু খেতে ইচ্ছ করেই। কিন্তু বেশি তেল, ঝাল, মশলাদার খাবার শরীরের জন্য ভাল নয়। আবার সারা দিন খাটাখাটনির পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা রান্নাঘরে সময় কাটাতেও ইচ্ছে করে না। বাড়িতে অতিথি আসুক বা ছুটির দিন উপভোগ করার পরিকল্পনা থাক, খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন রকমারি কবাব। কবাব বললে প্রথমেই মুরগি ও পাঁঠার মাংসের কথা মাথায় আসে। তবে সে সব হাতের কাছে না থাকলে বা নেহাত স্বাদ বদলেতে সোয়াবিন, মাশরুম ও ফুলকপি দিয়ে নিরামিষ টিক্কাও বানিয়ে নিতে পারেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার, একরকম ম্যারিনেশন প্রস্তুত করেই তা দিয়ে রকমারি কবাব বানানো যাবে।
সোয়াবিন, মাশরুম ও ফুলকপির টিক্কা
উপকরণ
৩৫০ গ্রাম জল ঝরানো টক দই
দেড় চা-চামচ রোস্টেড বেসন
১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো
২ চা-চামচ কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো
১ চা-চামচ গরম মশলা
২ চা-চামচ আদা-রসুন বাটা
২ চা-চামচ সরষের তেল
১ চা-চামচ আধভাঙা ধনে
১ টা-চামচ চাট মশলা
নুন ও চিনি স্বাদমতো
১টি পাতিলেবু
১০০ গ্রাম বাটন মাশরুম
১০০ গ্রাম সোয়াবিন
একটা ছোট ফুলকপি
প্রণালী
তিন ধরনের টিক্কার জন্য একটাই ম্যারিনেশন তৈরি করতে হবে। একটি বড় পাত্রে জল ঝরানো টক দই, রোস্টেড বেসন, আধ ভাঙা ধনে, গরম মশলা, আদা ও রসুন বাটা, হলুদ, স্বাদ মতো নুন ও চিনি খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। ভাল রং যাতে আসে, সে জন্য কড়াইতে সরষের তেল গরম করে তার মধ্যে কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। সেই তেলটা বাকি মিশ্রণে ঢেলে দিন। এতে কবাবের রং ভাল আসবে।
মাশরুম টিক্কা কবাব। ছবি: সংগৃহীত।
ধুয়ে রাখা গোটা বাটন মাশরুম, সেদ্ধ করে জল ঝরানো সোয়াবিন, হালকা ভাপিয়ে নেওয়া ফুলকপির বড় বড় টুকরো ওই মিশ্রণে দিয়ে অন্তত এক ঘণ্টা রেখে দিন। একটি কাঠিতে সেগুলি গেঁথে নিন। একটি কাঠিতে এক ধরনের জিনিসই রাখুন। কারণ, এক একটি জিনিস রান্না হতে এক একরকম সময় লাগবে।
তারপর মাইক্রোওয়েভ ওভেনে বা গ্যাসের উপর জ্বালি রেখে আগুনে সেঁকে কবাব বানিয়ে নিন। উপর থেকে পাতিলেবুর রস ও চাট মশলা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। সঙ্গে রাখতে পারেন ধনেপাতার চাটনি। মাংসের কবাবের চেয়ে এই ধরনের কবাব দ্রুত হয়ে যায়। সোয়াবিন ও মাশরুমে প্রচুর প্রোটিন থাকে। ফলে যাঁরা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করছেন তাঁরাও নির্ভয়ে খেতে পারেন।