কেক ফোলার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল বেকিং সোডা এবং বেকিং পাউডার। ছবি: শাটারস্টক
সামনেই বড়দিন। শীতের আমেজ ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে শহরজুড়ে। আর এই মরসুমে কেক না খেলে কি চলে? বাজার থেকে কিনে আনা কেকগুলি বড়ই মিষ্টি! তেমন মনে ধরে না। নেটমাধ্যমে দেখে বাড়িতে বেশ কয়েক বার কেক বানানোর চেষ্টা করেছেন বটে, তবে সেই কেক কিছুতেই দোকানের মতো নরম তুলতুলে হয় না? বেশ কিছু খামতি থাকার কারণে বাড়িতে বানানো কেক ঠিক মনের মতো হয় না! কখনও তাপমাত্রার হেরফের কখনও আবার উপাদানের অনুপাতে গন্ডগোল— কেক বানানোর ক্ষেত্রে এই ভুলগুলি অনেকেরই হয়। কিন্তু কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই আপনিও হয়ে উঠতে পারেন বেকিংয়ে পারদর্শী। কোন ৫ টোটকা মেনে চললেই কেক হবে একেবারে দোকানের মতো নরম তুলতুলে।
১) কেক ফোলার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল বেকিং সোডা এবং বেকিং পাউডার। এই দুই উপাদান সঠিক মাত্রায় ব্যবহার না করা হলে কেক মোটেই ফুলবে না। ব্যবহারের সময়ে দ্রব্যগুলি দেখে নিতে ভুলবেন না। সেগুলি ব্যবহারের তারিখ পেরিয়ে যায়নি তো।
২) বেকিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সঠিক অনুপাতে সব উপকরণ মেশানো। উপকরণের মাত্রা এ দিক থেকে ও দিক হয়ে গেলেই মুশকিল! মাখন বা তেল বেশি হয়ে গেলে কেকের মিশ্রণ পাতলা হয়ে যাবে। ঠিক মতো ফুলবে না। আবার ময়দা বেশি পড়ে গেলেও বেজায় শক্ত হয়ে যাবে কেক। উপকরণ মাপার জন্য ‘বেকিং কিট’ কিনতে পাওয়া যায়। বেকিংয়ের শখ থাকলে সে রকম একটি কিট কিনে নিতে পারেন। প্রণালী ঠিক করে জেনে নিয়ে তবেই কেক বানানো শুরু করুন।
ডিম দিলেই কেক ভাল ফোলে। তবে যাঁরা ডিম ছাড়া কেক বানাতে চান, তাঁরা কী করবেন? ছবি: শাটারস্টক।
৩) চিনি ও মাখন মেশানোর ধাপে খুব বেশি সতর্ক থাকতে হবে। এই পর্যায়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট সময় ধরে সেই মিশ্রণটি ফেটাতে হবে, যাতে মিশ্রণে দলা না থাকে। মিশ্রণ যত মোলায়েম হলে তবেই কেক ভাল ফুলবে।
৪) বেকিংয়ের সময় যদি ওপেন ‘প্রি হিট’ না করা হয়, তা হলে কিন্তু কেক ভাল হবে না। অভেনটি ‘প্রি হিট’ অন্তত মিনিট দশেক প্রিহিট করে নিতেই হবে। অনেকেই প্রেশার কুকারে কেক তৈরি করেন। সে ক্ষেত্রেও কুকারটি গরম করে নিতে ভুলবেন না।
৫) ডিম দিলেই কেক ভাল ফোলে। তবে যাঁরা ডিম ছাড়া কেক বানাতে চান, তাঁরা কী করবেন? সে ক্ষেত্রে দই ব্যবহার করতে পারেন। দই আর বেকিং সোডা সঠিক অনুপাতে ব্যবহার করলেই কেক হবে নরম তুলতুলে।