ভাতের পাতে মাংস, বাঙালির বড় নিশ্চিন্তের খাবার। মাংস নিয়ে খাদ্যরসিকদের পরীক্ষানিরীক্ষাও কম নেই। সাধারণ ঝোল থেকে কন্টিনেন্টাল ডিশ, মাংসের অবাধ যাতায়াত খাদ্যমহলে। চিকেন, পোর্ক, বিফ সবেতেই বাঙালির সবান্ধব উপস্থিতি থাকলেও মাটনের হাতছানি আজও অমলিন।
মাটন মানেই বাঙালি নিয়মের আলু-ঝোলের চাহিদা এমন নয়। বরং বাংলার রান্নাঘরের নানা উপকরণ ও মশলা দিয়ে মটনের বিভিন্ন পদ কব্জি ডুবিয়ে খেতে পছন্দই করেন ভোজনরসিকরা। কিছু মশলার পরিমাণ এ দিক ও দিক করলে আর কিছু যোগ বিয়োগেই মাংসের নানা পদ তৈরি করা যায়।
সরষে মাছ যেমন বাঙালি খাবারের অন্যতম প্রধান পদ, মাটনও কিন্তু তেমনই খোলতাই হতে পারে একটু সরষের ছোঁয়ায়। চিরচেনা স্বাদ পাল্টে একটু ঝাঁজালো স্বাদে মাটনকে আবিষ্কার করতে হলে সরষে মাটনই হতে পারে আপনার উপযুক্ত পদ। কী ভাবে রাঁধবেন এই পদ?
আরও পড়ুন: স্প্রিং রোল ভালবাসেন? এ বার বাড়িতেই তৈরি বিকেলের স্ন্যাক্স!
সরষে মাটন
উপকরণ:
মাটন: ১ কেজি (ছোট ছোট টুকরো)
পেঁয়াজ (স্লাইস করে কাটা): ৩০০-৪০০ গ্রাম, কিছুটা বেরেস্তার জন্য তুলে রাখতে হবে
কাঁচা লংকা: স্বাদ অনুযায়ী
গরম মশলা গুঁড়ো: এক চা-চামচ
গরম মশলা বাটা: ২ চা চামচ
দই: ১৫০ গ্রাম
আদা বাটা: ২৫ গ্রাম
রসুন বাটা: ২৫ গ্রাম
সরষে বাটা: ৫০ গ্রাম
কাসুন্দি: ৫০ গ্রাম
সরষের তেল
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের মাছ মাখা দিয়েই সাজিয়ে দিন ভাতের পাত!
প্রণালী: মাটন ভাল করে ধুয়ে নুন মাখিয়ে প্রেশার কুকারে দিয়ে ২ টো সিটি দিয়ে নামিয়ে নিন। এই সেদ্ধ করা স্টকটা ফেলবেন না। এ বার জল থেকে মাটন তুলে একটু ঠান্ডা হওয়ার পর এতে আদা বাটা, রসুন বাটা, স্বাদ অনুযায়ী লংকা বাটা, দই, সরষে বাটা, গরম মশলা বাটা, তেল ও স্বাদ অনুযায়ী নুন মিশিয়ে নিন। এই ভাবে ম্যারিনেট করে রখুন ঘণ্টাখানেক।
এ বার কড়াইতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ যোগ করে সোনালি করে ভেজে নিন। কিছুটা ভাজা পেঁয়াজ আলাদা করে তুলে রাখুন বেরেস্তার জন্য। বাকি পেঁয়াজটার মধ্যে ঢেলে নিন ম্যারিনেটেড মাটন। সরষে রয়েছে, তাই তলায় যাতে ধরে না যায়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কিছু ক্ষম কষার পর জল যোগ করুন। তবে জল দেওয়ার পরেও নাড়তে থাকুন পুরোটা সময় ধরেই। নইলে কড়ার গায়ে সরষে লেগে যেতে পারে। মাটন সিদ্ধ হয়ে এলে উপর থেকে আরও খানিকটা সরষে বাটা ও কাসুনম্দি ছড়িয়ে দিন। একটু ফুটে এলে উপর থেকে গরম মশলা ছড়িয়ে নামিয়ে পরিবশন করুন।