গোটা কলকাতা জুড়ে অওধি বিরিয়ানি রেস্তরাঁর দশটি শাখা তৈরি হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
অওধি বিরিয়ানির স্বাদ আগেই পেয়েছিল কলকাতা। এ বার পালা নয়ডার। কলকাতার ‘অওধ ১৫৯০’ ডানা মেলল নয়ডায়। কলকাতার বাইরে প্রথম পথচলা শুরু হল এই রেস্তরাঁর।
লখনউয়ের বিরিয়ানির স্বাদ কলকাতার মানুষ প্রথম পেয়েছিলেন বছর দশেক আগে। কলকাতায় তখন ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ঘরানার বিরিয়ানির রেস্তরাঁ। কিন্তু বিরিয়ানির সঙ্গে বাঙালির আত্মিক সম্পর্ক। তাই বিরিয়ানির নতুন স্বাদেও মজেছিল তিলোত্তমা। তার পর কেটে গিয়েছে এক দশক। গোটা কলকাতা জুড়ে অওধি বিরিয়ানি রেস্তরাঁর দশটি শাখা তৈরি হয়েছে। তবে এই বিরিয়ানির স্বাদ এবং ঘ্রাণ আর শুধু শহর কলকাতেই সীমাবদ্ধ থাকল না। ছড়িয়ে পড়ল নয়ডাতেও।
খাবার তো বটেই, এখানকার অন্দরসজ্জা অন্যতম আকর্ষণের একটি জায়গা। ছবি: সংগৃহীত
কলকাতার ‘অওধ ১৫৯০’-তে যাঁরা গিয়েছেন, তাঁরা জানবেন এই রেস্তঁরায় ঢুকলেই মনে হয় যেন এক ফালি লখনউ উঠে এসেছে। খাবার তো বটেই, এখানকার অন্দরসজ্জা অন্যতম আকর্ষণের একটি জায়গা। আলো-আঁধারি আবহে রাজকীয় পরিবেশে বিরিয়ানি, কবাব খাওয়ার সুযোগ পাবেন নয়ডাবাসীও। নয়ডার রেস্তরাঁর অন্দরসাজানোর দায়িত্বে ছিলেন শিল্পী নীতিশ রায়।
গালৌটি কবাব, কাকোরি কবাব, নাল্লি নিহারী, কিমা কালেজি, অওধি হান্ডি বিরিয়ানি, মোতি বিরিয়ানি, শাহি দহি কবাব, মুর্গ ইরানি, মুর্গ মুসল্লম— কলকাতার মতো নানা স্বাদের অওধি খানা থাকছে নয়ডার রেস্তরাঁতেও। কলকাতা বিরিয়ানিকে যে ভাবে আপন করে নিয়েছিল, নয়ডা কি পারবে তেমন করে? রেস্তঁরার কর্ণধার শিলাদিত্য চৌধুরীর কথায়, ‘‘আমাদের একটা ধারণা রয়েছে যে, দিল্লি মানেই পরোটা-চানা। তা কিন্তু নয়। নয়ডায় প্রচুর বাঙালির বাস। কলকাতার মতো বিরিয়ানি নিয়ে সেখানেও উৎসাহ রয়েছে। বাঙালিরা তো বটেই, অনেক অবাঙালিও অওধি বিরিয়ানির স্বাদ নিতে আসছেন আমাদের রেস্তরাঁয়। লখনউয়ের বিরিয়ানি এখানে অনেকেই প্রথম চেখে দেখছেন। সকলেরই খুব ভাল লেগেছে।’’ নয়ডায় অওধি বিরিয়ানির সাফল্য নিয়ে আশাবাদী রেস্তরাঁর আর এক কর্ণধার দেবাদিত্য চৌধুরী। দেবাদিত্য বলেন, ‘‘এই কয়েক দিনেই নয়ডার মানুষের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পেয়েছি। অনেকে আসছেন। উৎসাহ পাচ্ছি। দিল্লি দিয়ে শুরু করলেও এর পর বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, মুম্বই, পুণেতেও অওধি বিরিয়ানির রেস্তরাঁ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।’’