পালং শাকের রকমারি পদ। ছবি: সংগৃহীত।
চিপ্স, চানাচুরে আপত্তি না থাকলেও, সব্জি দেখলেই দে ছুট। বেশির ভাগ বাড়িতেই খুদেকে খাওয়াতে গিয়ে এই সমস্যায় পড়েন বাড়ির লোকেরা। এ দিকে শাকসব্জি বাদ পড়া মানেই পুষ্টিতে ঘাটতি। তা হলে খুদেকে খাওয়াবেন কী ভাবে?
যে কোনও সব্জি যদি একটু ভাল করে রান্না করা যায় বা খুদের মুখের মতো করে দেওয়া যায়, তা হলে কিন্তু দিব্যি সে চেটেপুটে খেয়ে নেবে। যেমন পালং শাক। এতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ এবং বিটা ক্যারোটিন থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে আর চোখ ভাল রাখতে অত্যন্ত কার্যকর এই দু’টি উপাদান। কিন্তু শাকটি চট করে খেতে যায় না খুদে। তা হলে কী ভাবে তাকে খাওয়াবেন?
পালং শাকের পরোটা
খুদেরা যে কোনও রঙিন জিনিস পছন্দ করে। পালং শাক দিয়ে সবুজ পরোটা করে দিতে পারেন তাদের জন্য। রুটি খেলে তা-ও করা যায়। আবার লুচিও বানানো যায়। পালং শাক ভাপিয়ে বেটে নিয়ে আটার সঙ্গে মেখে নিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন রুটি, পরোটা কিংবা লুচি।
স্যান্ডউইচ
আপনার সন্তান কি স্যান্ডউইচ খেতে পছন্দ করে? তার ভিতরেও দিতে পারেন পালং শাকের পুর। খুদে যদি চিজ় সুইটকর্ন স্যান্ডইউচ খায়, তা হলে তার মধ্যে কিছুটা পালং শাকও দিয়ে দিতে পারেন। বাইরে থেকে সে দেখতেও পাবে না। তবে কাঁচা পালং নয়, সেটাও সুস্বাদু করে তুলতে হবে। পালং শাক ভাপিয়ে কড়াইয়ে সামান্য তেল ও রসুন কুচি দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। তার পর সেটি ব্রাউন ব্রেডের মধ্যে কর্ন, চিজ়ের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারেন। শুধু খুদে নয়, বড়রাও এ ভাবে স্যান্ডউইচ খেলে বাড়তি পুষ্টিগুণ যোগ হবে।
পকোড়া
খুদে হোক বা বড়, ভাজাভুজি খেতে প্রায় সকলেই ভালবাসেন। পালং শাক দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন মুচমুচে পকোড়াও। পালং শাক কুচিয়ে, তার মধ্যে পেঁয়াজ, রসুন কুচি, বেসন, স্বাদ মতো নুন, লঙ্কা গুঁড়ো এবং সামান্য জল দিয়ে ভাল করে মেখে পকোড়া বানিয়ে নিন।