ও ভিকটিম! চির-ভিকটিম! ও বাঙালির ডিম! ও হাট্টিমাটিম! তোমার মুন্ডু লুটোয় কাদাজলে কনস্পিরেসির খড়্গে, পাছা কিন্তু ফোকাস মারছে সিধে শহিদ-স্বর্গে। তুমি সকালবেলায় সিঙাড়া প্যঁাদাও সন্ধেয় রাধাবল্লভী, আর রাত্রে গ্যাসের ব্যথা উঠলেই লিট্ল ম্যাগের কবি। বাঙালি কিচ্ছু পারে না। কিন্তু দারুণ না-পারে। না-পারা’কে সে থ্যাপকা পাশবালিশের মতো, চকিত দুপুরে বন্ধুর বউয়ের মতো, লাইফ-অ্যান্ড-ডেথ সাপটে ধরে, তাপ্পর ডুকরে ফুঁপিয়ে কাঁদে, টেইনে টেইইনে নালিশ গায়। আহা গো, সব সম্পত্তি গাপ করেছে পাষাণ ছোটকাকা। এত লোক থাকতে ফ্ল্যাট হল কিনা তার সাইকেলের চাকা। পাশের ফ্ল্যাটে ভাড়া এল ললিতা-বিশাখা, দু’জনকেই হায় তুলে নিল ধনী পেছনপাকা!
এই বার কিন্তু ঢ্যাঁনট্যাঁর্যাঅ্যাঁ, হাজির: মর্ষকামী জাতের ক্লাইম্যাক্স-পয়েন্ট। পশ্চিমবঙ্গ এখন যেখানে এসে টলটল করছে, চচ্চড়িয়ে যে ভাবে ফাটছে পায়ের তলায় নাইট্য-স্টেজ, অবিলম্বে ঘাড়মোড় গুঁজে অতল খাদে হড়াত্ ছাড়া, খোলা ড্রেনে গন্ধপাঁকে টোটাল ঝপ্পাং ছাড়া আর কোনও চারা নেই। এ বার বাঙালি যেই বলবে, হাউহাউ, আমি সেরা বঞ্চিত, আপত্তি হবে না কিঞ্চিত্ও। ইয়া, তুই তুঙ্গ-সাফারম্যান, তোর পরনে ত্যানা পায়ে কেড্স, পাছায় আমাশা ওইখানটায় এড্স। অবিশ্যি সান্ত্বনা-ল্যাবেঞ্চুসও অকুলান হতে পারে। গোড়ায় বাঙালিকে অন্য রাজ্য ঈর্ষা করত, তাপ্পর এল হাসাহাসি, এখন তাকে নিয়ে এনজিও-কাটিং সিমপ্যাথিম্যান ছাড়া কেউ থুতকুড়িও ব্যয় করে না।
ক’দিন আগে এক মার্কিন রাষ্ট্রদূত কলকাতার সঙ্গে রাঁচি, পটনা, দুর্গাপুর, শিলিগুড়ির তুলনা করলেন। সাধুভাষায় একে সাপোর্ট করে বলা যায়, ‘...এই বদ্ধ জলার ন্যায় অকর্মা শহরটি— যেথা আবর্জনা উপচীয়মান, যানবাহন বিশৃঙ্খল, দারিদ্র সম্মুখপ্রকট; যেথা রাজনীতি সভ্যতাহীন, জনজীবন মস্তানভীত, দফতর নৈরাজ্যবিলাসী; যেথা উদ্যোগের তুলনায় হুজুগ উপাস্য ও বুদ্ধির তুলনায় বুকনি...’, আরে হবে তো বটেই, এটা একটা নিরন্তর থুতু-ফেলার শহর, রাস্তার ধারে হিসি করার শহর, ফাঁকিবাজি আর অবান্তর ঝামেলার শহর। লন্ডন হচ্ছে অবশ্য। লেকটাউনে বিগ বেন বসছে, কোথায় যেন ‘কলকাতা আই’। ওদের আছে হিথ্রো, আমাদের মদন মিত্র। শুধু ছন্দ মেলানো নয় ভাই, ‘পাঁচ মিনিটে আসছি’ বলে বেলভিউ টু পিজি হুউউশ টেলিপোর্ট হওয়ার প্রযুক্তি হিথ্রো এয়ারপোর্ট পায়ের কাছে বসে শিখতে পারে। এই কলকাতার ধুঁকুন্তি প্রোফাইলটাই এ বার স্রেফ ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ করে দিন গোটা রাজ্যটার ঘাড়ে। চার্লি চ্যাপলিনকে প্রশ্ন: স্যর, বাংলা নিয়ে কমেডি বানাইবেন? ‘পারব না বস। ক্যারিকেচার করে খাই। রিয়েলিটিকে ছেঁচড়ে নিয়ে যাই অ্যাবসার্ড ময়দানে। যেখানে বাস্তবটাই পেটফাটা কমেডি, ফার্স্টপেজ নিউজ পড়লেই খ্যালখ্যাল হোয়াহোয়া, সেথা বানিয়ে উদ্ভট সিচুয়েশন লিখব ক্যামনে?’ হে সুকুমার রায়, এনি কমেন্ট? ‘চার্লিরটাই ডিটো। যদি লিখি ‘চ্যালাগুলো গবাগাম্বু, তিনি দিচ্ছেন ভঙ্গি-বাম্বু’, কেউ তো ননসেন্স বলবে না! ব্রেকিং নিউজ বলবে। কিন্তু, আই ওয়ান্ডার, বাঙালি কি রাগতে ভুলে গেছে?’
রাগ! রেগে উঠতে দেহের ক’টা কোষ চাগিয়ে তুলতে হয় জানো বাপ? বাঙালির শুধু টায়ার্ড লাগে। মাইরি, সে ছুটি নিয়ে কোথাও গিয়ে চাদ্দিন জাস্ট একটু শুয়ে থাকতে চায়। বাসে চলতে কালীমন্দির দেখলে নমো-র জন্যে কোঁত্-এনার্জি বাগায়, কিন্তু শেষে নাকে আর থুতনিতে আঙুল ঠেকাঠেকি মেরে সেরে দেয়। কিন্তু না, তা বলে তার শ্রমশক্তি টোটাল সিঁটিয়ে যায়নি। ওই তো, যখন অথরিটি তারই ভাই-বেরাদরকে জুতোপেটা করছে, সে কেমন ফুড়ুত্ ফুড়ুত্ দৌড়ে গিয়ে জুতোটা তুলে তুলে এনে দিচ্ছে! ক’দিনের মধ্যেই প্রোগ্রেস, টোল-ক্ষেত্রের ভিআইপি লেন-এ রাখাই থাকবে আলগা জুতোর চুপড়ি। নয় কেন? শিরদাঁড়াগুলো স্লিম হাতুড়ি মেরে বচ্ছর বচ্ছর জুড়ে পরিকল্পিত ভাবে পিস পিস করেছে সিপিয়েম, তারপর সেই টুকরো ও খোঁচগুলোয় তিন বছরেই অ্যায়সা ধামসে ভাসান-ডান্স লেচেছে তৃণমূল, এখন মুখ গোবরে ঘষটে দিলেও বাঙালি বড়জোর রুমাল কেনার সাবসিডি চাইবে। সারা রাজ্যের জিভে একটা তিতকুটে টেস্ট। আত্মগ্লানির ঘ্যাস্টা কুয়াশা আকাশ হতে বৃহত্ সিকনির ন্যায় ঝুলে আছে। আস্কিং রেট বিয়াল্লিশ হলে যেমন পা টেনে পা টেনে স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে সাপোর্টার, তেমন ভাবে বিশ্বাস ও আত্মজোর চির-ছেড়ে যাচ্ছে এই জাতকে। ফ্লাইওভারগুলো মাঝপথে থেমে গিয়ে হুব্বা হয়ে দাঁড়িয়ে। বাচ্চা সিগনাল থেকে কাউন্টডাউনে শিখে নিচ্ছে, টোয়েন্টির পর নাইন্টিন। অটোওলা থাবড়া মারছে, লোফার মারছে সিটি, নেতা বলছে ‘আগলি দেখতে, জনগণ না ই.টি.?’
কিন্তু উহা কী গো? হুই যে দিগন্ত ডিলিট করে জেগে উঠছে কোটি কোটি নিশেন! পিলপিল করছে নরজাতির মাথা— চুলো, টেকো, খুশকিখচিত! আরে ভাই, ও-ই তো মিছিল, ওই তো মিটিং, ওই তো জনঢেউ! আহা, বাঙালি যে কাতেই শুয়ে থাক, ঘুমঘোরে মাথা ছটকালে কোল দেবেই সিক্সটিজ-এর বালিশ। ফের সেই দিনকাল এল ফিরে, নাচ ব্যাটা আর্টফিল্ম ঘিরে! শিল্পায়ন, বিনিয়োগ, আয় আয় পয়সাওলা — এ সব অশ্লীল হাঁকডাক তো এই সে দিনের। আমাদের খানদানি পোজ: এ-হাতে অ্যারিস্টটল, ও-হাতে কেরোসিন বট্ল। এ-গালে পিঠেপুলি, ও-গালে বিপ্লব-বুলি। মাঝে এক-আধ দলের মোনোপলি জগমগাচ্ছিল বলে নানা জাতি নানা মত নানা ধড়িবাজ মিছিল-রমরমা স্বল্প ব্যাকফুটে ছিল। আজ ফের ছিটকিনি ভেঙেছে! বীরেন ভদ্রকে ডেকে জোরসে আবৃত্তিয়ে দে: এ-ই সোমবার মহম্মদ সিদ্দিকুল্লা মিছিল ডেকে শহরের জিনা হারাম কল্লেন, ও-ই মঙ্গলবার তৃণমূল গোটা শহরে সেলোটেপ মাল্লেন। সে-ই বুধবার বিজেপি কোটি লোক এনে শহরের টুঁটির ওপর পা গাদিয়ে বসলেন। এ-ই বৃহঃ প্রাতে পিচুটি খসতে না-খসতে বামফ্রন্ট অবধি লোক জুটিয়ে শহরবক্ষে হামানদিস্তা হাঁকড়ালেন। মানুষ কেমনে হাসপাতাল ঢুকবে পাবলিক ইউরিনাল ছুটবে সিলি কোশ্চেন স্টপ! বাস্তিল দুর্গ পতনের দিন কেউ টিপিনকৌটো গুছিয়ে অফিস গেছিল! বরং ওয় সাধারণ মানুষ, লাস্ট-বেঞ্চার পাবলিক, রেডিসেডি, লাইপ্পে পড়ো! নিজ মিছিল লাগাও। ‘আমরা বাঙালি’ মিছিল। ‘নন-বেঙ্গলি হটাও, বাংলা বাঁচাওও!’ নারা তোলার তরিকা ভি ফাড়ু! আম্পায়ারের মতো তর্জনী উচ্চে তুলে আউট দেখাচ্ছে। আউট অব বেঙ্গল! পরের দিন অবাঙালিদের মিছিল, পুরোভাগে অবশ্যই টেরিফিক গম্ভীর ও আহত বাঙালি বিদ্বজ্জন। ‘আউট নয়, ইন! শক-হুন-দল পাঠান-মোগল এক দেহে হল লীন!’ টেগোরসাব ম্যান অব দ্য ম্যাচ। পরের দিন খো-খো প্লেয়ারদের মিছিল, কবাডি অবধি টিভির লিপিস্টিক লাগিয়ে টিআরপি-র ডগায় ইয়াপ্পি, আর ‘আইকেএল’ নাই? পাড়ায় জলের পাইপ বসানো হচ্ছে বলে ডেলি বাজার যেতে হোঁচট খেয়ে চোকলা-ওঠাদের মিছিল কাম অবরোধ। কেন সবাই ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়কে ভুলে যাচ্ছে? অবরোধ। আরে বাবু, কিচ্ছু না পেলে নিজের বউকে নিয়ে আর চাড্ডি দাদা-বউদি জুটিয়ে থানার সামনে গিয়ে প্পুচ প্পুচ চুমু খা না। তবে পেছনে ব্যানারে পেট্রিয়ার্কির প্রতি পেটভর্তি ইয়ার্কি লিখে নিতে ভুলিসনি। নইলে লোকে ভাববে সেক্সখেলা, ডিপ ইয়েটা বুঝবে না।
তবে মাইন্ড ইউ, দুখীমুখী বাঙালি, টাইম নষ্ট না করে, রামায়ণটা রিভাইজ দে। এ বার তো বিজেপি আসছে। বিজেপি এলে কী হবে? তৃণমূল বলছে: দাঙ্গা। সিপিয়েম কী বলে ভাল বোঝা যায় না, চিঁ চিঁ করে বিড়বিড়োয়, তবু লাল পতাকার কাছে কান নিলে শোনা যায়: দাঙ্গা। বিজেপি কী বলছে? নিশ্চয় সোনার বাংলা গড়ব-ফড়ব, তা ছাড়া তদ্দিনে ওরা হয়তো ম্যাচিয়োর ও বৃহত্পাঙ্গা, ও-সব খামখা ঝামেলির পথ মাড়াবেই না। মানে, প্রতি ফুটপাতে তেতাল্লিশটা বজরংবলীর বেঁটে মন্দির কনস্ট্রাকশন, প্রত্যেক মাসের চার তারিখে গেরুয়া রথে চড়ে অফিস যাওয়া কম্পালসরি, অফিস ঢুকেই গুডং মর্নিংম্— এ সব প্রকল্প বাতিল। তার বদলে শুধু ভ্যালেন্টাইন’স ডে-তে প্রেমিক-প্রেমিকার কানের গোড়ায় বেধড়ক্কা স্ল্যাপ; হিস্ট্রিবইয়ের প্রত্যেক চ্যাপটার তছনছিয়ে নয়া সংঘ-স্পিক: প্রাচীন ভারতীয় হেঁদুরাই সব মডার্ন আবিষ্কার করেছেলেন, যথা, প্লাস্টিক সার্জারি (রেফারেন্স: গণেশের হস্তীমুন্ডু), মেট্রো রেল (সীতার পার্ক স্ট্রিটের টানেলে প্রবেশ), মোবাইল (দ্রৌপদীর এসওএস কল পেয়েই কৃষ্ণের পাঁইপাঁই ছুট্টে অনন্ত শাড়িসাপ্লাই), এলজিবিটি ফেস্টিভ্যাল (বৃহন্নলার তাধিনাধিন)। কুড়বা কুড়বা কুড়বা লিজ্জে, পালিশ পড়ছে পাঁড় ঐতিহ্যে! আর হ্যঁা, রোববার রোববার রাস্তায় পাত পেড়ে পোলোয়া-কালিয়া খাইয়ে পাঁচ হাজার মুসলিম দেড় হাজার খ্রিস্টানকে হিন্দুধর্মে রিটার্ন-ধর্মান্তরিত করা হবে, এদের ঠাকুদ্দার ঠাকুদ্দাকে মুসলিমরা জোর করে নিজেদের ধর্মে সেঁধিয়েছিল, তাই এ বার হিঁদুবীররা কোনও জোর খাটাচ্ছেন না, স্রেফ ctrl+z করছেন। এ ছাড়া একটি কুট্টি ফতোয়া: কোনও মেয়ের নাম গীতা রাখা যাবে না। বাঃ, ‘গীতা’কে কেউ হুমহাম করে আদর করছে, ভারতীয় হিসেবে টলারেট করবেন কী করে, ছিঃ!
কিন্তু যে-ই আসুক, বিজেপি ইয়া হিটলার, ‘আমরা আক্রান্ত’ ইয়া জঙ্গলমহলপ্রান্ত, প্রিপেয়ার্ড থাক। নাক-শুঁকশুঁক ঘুরে বেড়া আর যাকে পারিস তেল মার। কিচ্ছু বলা যায় না, ডামাডোলের বাজারে যে-সে নেতা বনতে পারে। হ্যঁা, তুইও। কিং না হোক কিং-মেকার হবি? মিছিল অর্গানাইজ কর। এন্তার এসএমএস পাঠাবি, তাপ্পর স্টারদের নিয়ে রবীন্দ্র সদনের এন্ট্রি গেট থেকে এগজিট গেট সর্রা খা। তিন সেন্টিমিটার ডিসট্যান্স তো কী হয়েছে, জায়ান্ট লিপ ফর ফ্ল্যাটারবাজি। তাও পারবিনি? কবি হয়ে যা। আরে ধুর পাগলা, কাব্য সে যা-খুশি হবে’খন, আসলি কম্ম: বাবুল সুপ্রিয় সভামঞ্চে ঠিক বসি-বসি হতেই, ফড়াত্ করে পকেট থেকে রুমাল বের করে চেয়ারটা পুঁছে দিবি। দেখিস, আবার সিকনির রুমাল না হয় যেন!
পাঠক! আমরা ঈদৃশ ফগড়ামি ও বেয়াদপি কত্তে কত্তে হাঁটছি, অট্টালিকার এসি থেকে আমাগো টাকে ড্রপ পড়ছে প্লোয়াং প্লোয়াং, অ মা, ও কে এসে আমাদিগের পথ আটকালে? আর কেহ নয়, কাঁউমাউ খেদ। আপশোস। হায়, সব্বাই মাসে মাসে পনেরো লাখ ষোলো লাখ মাইনে ড্র কল্লে, বস্তা বস্তা টাকা সড়াত্ লুকিয়ে ফেললে গাড়ির ডিকিতে, আর আমরা পেলেম নে কো? মুখ দেখে কি মনে হয় আমরা কোরাপ্টও হতে পারি না? আমরা প্রতি পদে নীতিহীন নই? জালি নই? অফিস-টেবিলে ফেসবুক করছি, ট্যাক্সে দিচ্ছি ফাঁকি, বন্ধুর নামে চুকলি কেটে প্রোমোশন বাগাচ্ছি না কি? হাতের চেটোয় ঠুকরে ঘুরছে নিত্যি ঘুষের পাখি। সিলিন্ডার নেই? পয়সা বাগাও, গ্যাসের লোকটাকে ডাকি। ভগবন্, আমরা স্কোপ পাই না বলে বড়কা ক্রিমিনাল হই না, ছিঁচকে ফিল্ডে থুবড়ে মরি, কিন্তু ভেতরটা ইতর কেল্টে প্রেমচোপড়া, পরের বছর কেলেং হলে শেয়ার দিস, রাখিসনে ফোঁপরা। হ্যঁা, খুব জোর ক’দিন জেল হবে। নো ইস্যুজ, প্রথমটা গামছা দিয়ে মুখ পেঁচিয়ে ভ্যানে উঠব, তাপ্পর তো বুক ফুলিয়ে সিস্টেমের মুখের ওপর একখান করে বাঘা স্টেটমেন্ট হড়াম, আর তুরন্ত ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ক্রিমিনাল থেকে চার হুংকারে ট্র্যাজেডি কিং! তখন আমার কথা ঢাকতে হা-রে-রে-রে, বীরপুরুষের পর অ্যাদ্দিনে ফের পপুলার! আর যদি ফাঁসি হয়? ইয়ায়া! চোঁওও মিসাইল চড়ে অশ্রু-স্লিপারি স্কোয়্যার ওয়ান-এ। আমি ফাঁদে পড়া চাঁদ, আমি শহিদসোনা! মোরে এ বুঝল না, মোরে ও পুঁছল না। ওয় ভিকটিম! ওয় চির-ভিকটিম! ও ট্রেডমিলে ঝিম! ও ভূতভয়ে হিম! অন্যে খাচ্ছে আলুর চপ তো, তুই একলা অভিশপ্ত। অন্যে পুষছে কাবুলি মার্জার, তোর ফোন আনতে ফুরোচ্ছে চার্জার। ও নিমগাছে সিম! ও চির-ভিকটিম!