রাজ্য সরকারের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ বছর থেকে মাটির দুর্গাপ্রতিমার পুজো করা যাবে না। মাটির তৈরি সমস্ত দেবদেবীর পুজোই নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। পরিবর্তে, বড় বড় ধর্মপ্রতিষ্ঠানে কুমারীপুজোর দৃষ্টান্ত দিয়ে, রাজ্য সরকার দেবদেবীর আদলেই জীবন্ত সুস্থ মানুষকে পুজো করার কথা বলেছেন। কোনও কোনও বারোয়ারি পুজোর প্যান্ডেলে মাটির দুর্গাপ্রতিমার বদলে বহুরূপীদের নিয়ে পুজো চালু রয়েছে, তবে এত দিন তা করা হত দর্শক-আকর্ষণ বাড়াতে। এ বার থেকে মনুষ্য-রূপ বাধ্যতামূলক হল। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থায়, মাটি দিয়ে মূর্তি গড়তে যে পরিমাণ ভূমি ক্ষয় হয়, তা রোধ করা যাবে। প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় থাকবে। মাটির প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ায় গঙ্গার জল খুবই দূষিত হয়, তাও হবে না। জলজ প্রাণীদের অকালমৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে না। পরিবেশ সুরক্ষার জন্যই সরকারের এই বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। মৃৎশিল্পীদের চিন্তার কিছু নেই। তাঁরা এ বার থেকে মাটির প্রতিমার বদলে জীবন্ত যুবক-যুবতীদের রং-তুলি-রাংতা দিয়ে দেবদেবীর রূপ দেবেন। এ কাজে কুমোরপাড়ার শিল্পীরাই অগ্রাধিকার পাবেন। জীবন্ত মানুষকে দেবতার সাজ পরিয়ে পুজো চালু হলে বহু বেকার ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান হবে। চার দিন ধরে তো আর কারও পক্ষে মণ্ডপে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব নয়, তাই বহুসংখ্যক উৎসাহী বেকার ছেলেমেয়ে দেবদেবীর সাজগোজ পরে শিফ্টিং ডিউটি করে রোজগার করতে পারবেন। খাওয়াদাওয়া ফ্রি। তা ছাড়া, এ রাজ্যে প্রতি মাসেই লেগে থাকে কোনও না কোনও পুজো। যাঁরা এ কাজ এক বার শুরু করবেন, তাঁরা প্রতি মাসেই দেবদেবীর সাজের বায়না পাবেন। সব বেকার ছেলেমেয়েদের নাম এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংকে নথিভুক্ত করা আছে, সিনিয়রিটির ভিত্তিতে তাঁদের এ কাজে নিযুক্ত করা হবে। এ জন্য এক মাস ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা থাকছে।
দীপক বসু, অঞ্জনগড়, শেওড়াফুলি
লিখে পাঠাতে চান ভবিষ্যতের রিপোর্ট? ঠিকানা: টাইম মেশিন, রবিবাসরীয়, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০ ০০১। অথবা pdf করে পাঠান এই মেল-ঠিকানায়: robi@abp.in