ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৫
Bengali Novels

হাওয়ার আড়ালে

এই রে! একদম মনেই ছিল না। এই বার মার মুখটা মনে আসতে বুকটা কেঁপে উঠল। বোন মিহি অবশ্য দেখামাত্র নেচে উঠবে, বাবাও খুশি হবে, কিন্তু মা একদম কুকুর-বিড়াল পছন্দ করে না।

Advertisement

অজিতেশ নাগ

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:২৭
Share:

ছবি: পিয়ালী বালা

পূর্বানুবৃত্তি: কী মনে হতে মিশুক কস্তুরীকে এক দিন শুটিং ফ্লোরে আসার কথা লেখে। সেই রিপ্লাই পেয়ে অভাবনীয় আনন্দে হাত থেকে খাবার প্লেট পড়ে যায় কস্তুরীর। জানতে পেরে আকিঞ্চন উন্নাসিক মন্তব্য করে এবং তার তীব্র প্রতিবাদ করে কস্তুরী। ও দিকে, নবাগত অর্ক ঘোষালকে একটুও জমি না ছেড়ে নিজের জায়গা ধরে রাখে মিশুক। স্টুডিয়োয় তার সঙ্গে দেখা করতে এসে বয়ফ্রেন্ড সব্যসাচীর সঙ্গে চেনে বেরোয় আর এক অভিনেত্রী সোনেলার। শুটিংয়ের শেষে সব্য মিশুককে একটি কুকুরছানা কিনে দেবে বলে নিয়ে আসে।

Advertisement

কাজকর্ম সেরে বেরিয়ে এসে সব্য বলল, “নে চল।”

মিশুক দেখল, ভদ্রলোকের চোখদুটো সামান্য ছলছলে। ধরা গলায় বললেন, “ওকে ভাল রাখবেন। বিগলরা কিন্তু খুব অভিমানী হয়। কষ্ট পায় একদম মানুষের মতো।”

Advertisement

বাইরে বেরিয়ে এসে সব্যসাচী বলল, “নে এ বার ওকে হালকা করে ধরে বোস। বেশি চাপিস না, তা হলে হিসু করে দেবে।”

“দিয়েছে। আমার ব্র্যান্ডেড সালোয়ার সুট!”

“এক বার মাসিমার মুখটা মনে কর, সালোয়ারের কথা ভুলে যাবি।”

এই রে! একদম মনেই ছিল না। এই বার মার মুখটা মনে আসতে বুকটা কেঁপে উঠল। বোন মিহি অবশ্য দেখামাত্র নেচে উঠবে, বাবাও খুশি হবে, কিন্তু মা একদম কুকুর-বিড়াল পছন্দ করে না। আচ্ছা, যা হওয়ার হবে। এখন আর ভেবে লাভ নেই। সব্যকে একটা ডুপ্পার কিস দিতে হবে।

ফেরার পথে একটা ব্র্যান্ডেড কফিশপের সামনে ফের বাইক দাঁড় করাল সব্যসাচী। এক এক কাপ কফি আর স্যান্ডউইচের অর্ডার দিয়ে টেবিলে ফিরে এসে বলল, “পাপি তো নিলি, নাম দে।”

“নাম!”

“হুঁ। নাম দিবি না? কুকুর বলে ডাকবি না কি?”

মিশুক হেসে ফেলল। সব্য বলল, “আর যাই হোক, জনি কিংবা ডগি দিস না। বড্ড বাজে লাগে।”

“ধ্যাত। তুই ভাব। আমিও ভাবি।”

“আমি বলব?”

“বল।”

“ওর নাম দে মাফিন।”

“মাফিন! ওয়াও! সাচ আ নাইস নেম। প্রোনাউন্স করতেই যেন মনটা ভাল হয়ে যায়। সব্য, তুই না,তুই না...”

“কী?”

“জাস্ট... ভাল। খু-উ-উ-উ-ব ভাল।”

“চোখ বন্ধ কর।”

“কেন?”

“আহা, কর না।”

মিশুক চোখ বুজল। সব্যসাচী আলগোছে টুপ করে ওর চোখের পাতাদুটো ছুঁয়ে দিল। চমকে চোখ খুলে মিশুক বলল, “এটা কী হল?”

“তুইও একটা...”

“একটা কী?”

“নাঃ, থাক, বললে তোর দর বেড়ে যাবে।”

রবিবার গেল, সোমবার গেল। মঙ্গলবারও চলে গেল। এই তিন দিন খুব ভেবেছে কস্তুরী। এক বার ভেবেছে ফের মেসেজ করে জেনে নেয় কবে সে থাকবে। কখন থাকবে। স্টুডিয়ো নিশ্চয়ই খুব বড় হয়। অত বড় জায়গায় কোথায় খুঁজে পাবে সে ওই ছোট্ট মেয়েটাকে? ওই সব জায়গায় আবার সবাইকে ঢুকতেও দেয় না। না দিলে তখন? আজ বুধবার। কাল মেসেজ করেছে একটা। তার পর সারা দিন অপেক্ষা করেছে। কোনও জবাব আসেনি। আজ সকালে মিশুকের ফেসবুক পেজে গিয়ে চমকে গেল। কী কিউট একটা কুকুরছানা জাপ্টে ধরে পোস্ট দিয়েছে মেয়েটা! ওটা বুঝি ওর পোষ্য? কী নাম ওর? অবশ্য কুকুর নিয়ে কোনও জ্ঞান নেই কস্তুরীর। তার কাছে কুকুরের দুটো প্রজাতি। একটা অ্যালসেশিয়ান, আর একটা নেড়ি। কুকুরে খুব ভয়ও কস্তুরীর। কস্তুরী ভাবে, তবে কি তার মেসেজ পড়েনি মিশুক? মেসেঞ্জার খুলে দেখল, ঠিক। পড়েইনি।

মঙ্গলবার সারা দিন মনখারাপ করে কাজ করে গেছে কস্তুরী। অদ্রিজা এক বার বলেছিল অবশ্য, “এখনও সেই সিরিয়াল সিনড্রোম থেকে বেরোতে পারিসনি দেখছি। মন দিয়ে কাজ কর। ফের একটা ভুল করেছিস। সিজিএসটি-র অ্যামাউন্ট এসজিএসটি-র ইকুয়াল হল না কেন? আগে দেখ। পালবাবু খুঁজে পেলে কিন্তু ফের এসে দাঁত দেখাবে।”

মঙ্গলবার সারা দিন মনখারাপের মধ্যেও সে ভেবেছে, যদি স্টুডিয়োতে যায় তবে কী পরে যাবে? শাড়ি? সালোয়ার সুট? জমকালো করে খুব সাজবে, না কি একদম ম্যাট ফিনিশ লুক? ওখানে তো সবাই সেজেগুজে থাকে, একটু ভাল জামাকাপড় না পরে গেলে পাত্তাই দেবে না। ফের দুপুরের দিকে ভাবল, নাঃ, সে যেমন-তেমন করেই যাবে। একদম ক্যাজ়ুয়াল লুক। একটা শাড়ি কিনেছিল গত মাসে শখ করে। হালকা সবুজ রঙের মাহেশ্বরী সিল্ক। ওটা পড়বে। সঙ্গে স্ট্রাইপড গ্রিন ব্রোকেডের ব্লাউজ়। পায়ে চটি। খুব বেশ হলে ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক। ব্যস। আর কিছু না।

বুধবার সকালে সেই কাঙ্ক্ষিত মেসেজটা এল ঠিক অফিস যাওয়ার সময়ে।

‘আজ চলে আসুন বিকেল চারটে নাগাদ। ভিতরে এসে কাউকে বলবেন রাঙামাটির সেটে যাব। রিখি সেন। তা হলেই হবে।’

এত দিন উত্তেজনায় ছিল। এই বার টেনশন শুরু হল। অফিসে এসেই বিভাস দত্তর সঙ্গে দেখা করে ছুটির আবেদন জানাল। শুধুমাত্র আজকের দিনটার জন্য। বিভাস দত্ত সেই একই রকম পানে ছোপানো দাঁত বার করে বলল, কাল যেন সে এক্সট্রা টাইম দেয়, কেন না কালই টিডিএস সাবমিটের লাস্ট ডেট।

‘আসব’ বলে কস্তুরী দৌড় লাগাল সিঁড়ির দিকে। ফিরতি বাসে বসে বসে আর এক চিন্তা এল। যোধপুর পার্ক থেকে টালিগঞ্জ সে হিসেবে বেশি দূরে নয়, কিন্তু কোথায় সেই স্টুডিয়ো? গুগল ম্যাপ খুলে আঁতিপাঁতি করে খুঁজল সে। লোকেশন দেখাচ্ছে, কিন্তু সে ঠিক করে বুঝে উঠতে পারল না। শেষে ভাবল, দুত্তোর, একটা অ্যাপ-ক্যাব বুক করে নিলেই তো হল। এ বার ড্রাইভারের দায়িত্ব তাকে ঠিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার। কিন্তু চিন্তার কি শেষ আছে? প্রথম বার যাচ্ছে, খালি হাতে যাবে? কী নিয়ে যাওয়া যায়?

কোনও একটা গিফ্ট আইটেম? দূর! সে কি বিয়েবাড়ি যাচ্ছে না কি?

ফুলের বোকে? কমপক্ষে একটা গোলাপ? দূর! সে কি প্রেম করতে যাচ্ছে না কি?

ছোটখাটো সফ্ট টয়? দূর! মিশুক কি বাচ্চা মেয়ে না কি?

সাজগোজের জিনিস? ধুর, ওরা আবার ব্র্যান্ড-কনশাস হয়। তার নিজের মেয়েই তো স্পেশাল ব্র্যান্ড না হলে ইউজ় করে না।

চকলেট বার দিলে কেমন হয়? ও, বাবা! এই প্রফেশনের ছেলেমেয়েরা যা হেলথ-কনশাস হয়!

মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। শেষমেশ কস্তুরী ভাবল, চুলোয় যাক, এমনিই চলে যাই। কিন্তু... একটা খচখচে ভাব নিয়ে পাড়ার রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে দেখল হরিপদবাবুর দোকান খোলা। দু’-চারটে খদ্দের চলে যেতেই সে এগিয়ে এল।

“চকলেট বার আছে?”

“ইয়েস ম্যাম। এই যে।”

“দোকান সারা দিন খোলা?”

“চারটে অবধি। আজ আবার...”

“আমি আড়াইটে নাগাদ এসে নিয়ে যাব। র‍্যাপিং পেপার আছে তো? তা হলে ভাল করে র‍্যাপ করে ফ্রিজ়ারে রেখে দিন। আমি এসে নিয়ে যাব।”

বাড়িতে বেল বাজাতেই কেতকীবালা দরজা খুললেন। ভুরু কুঁচকে গেল। তাঁকে মন্তব্য করবার সুযোগ না দিয়ে, ‘একটা দরকারি পেপার নিতে এসেছি, কিছু কাজ আছে’ বলে সোজা উপরে। ঘড়িতে বারোটা বাজে। অনেকটা সময় আছে।

এক বার উঁকি দিয়ে দেখে নিল, মেয়ে তার ঘরে নেই। কস্তুরী আজ বেশ মন দিয়ে স্নান করল। ফ্রিজ খুলে একটা থালায় অল্প খানিকটা ভাত আর এক পিস মাছ তুলে ওভেনে ঢুকিয়ে দিল।

কস্তুরী যখন পুরোপুরি রেডি, ঘড়িতে তখন সোয়া দুটো। হাতে সময় আছে। পার্স, মোবাইল সব গুছিয়ে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে এল। হরিপদবাবুর দোকান থেকে চকলেট কালেক্ট করে চটপট একটা অ্যাপ-ক্যাব বুক করে ফেলল। পথে আসতে আসতে সামান্য ঘুমিয়ে পড়েছিল সে, চটকা ভাঙল ড্রাইভারের আওয়াজে, “এসে গেছি ম্যাডাম।”

কস্তুরী এক বার বাইরে তাকিয়ে দেখল, একটা বড়সড় দরজার বাইরে গাড়ি থেমেছে। দু’-চারটে লোক গুলতানি মারছে বাইরে। সে ভাড়া মিটিয়ে নেমে পড়ল। একটা কালো লোহার দরজা। তার উপরে গোটা গোটা করে লেখা ‘নিউ টেকনিশিয়ান’। কস্তুরী ঘড়িতে দেখল তিনটে বেজে চল্লিশ। কী করবে বুঝে উঠতে না পেরে উল্টো ফুটপাতের একটা চায়ের দোকান থেকে এক ভাঁড় চা কিনে চুমুক দিতে লাগল। দিব্যি টের পেল, বুকের ধুকপুকুনি বাড়ছে। কী আছে এই গেটের ভিতরে? বাইরে থেকে কিচ্ছুটি বোঝার উপায় নেই। আচমকা গেট খুলে গেল। একটা সাদা গাড়ি বেরোচ্ছে। তড়িঘড়ি ভাঁড় ফেলে সে দাম মিটিয়ে রাস্তা পার হল। গাড়ি বেরিয়ে যেতেই এক ফাঁকে সে টুক করে ভিতরে সেঁধিয়ে গেল। এই বার? কোথায় রিখি সেন?

একটা বিশাল সেক্রেটারিয়েট টেবিলের ও পারে মূর্তির মতো বসে আছে আকিঞ্চন রায়। সামনে একটা চেয়ারে কোট-প্যান্ট পরা একটা ছেলে। আজ রাধিয়াকে ডেকে পাঠিয়েছে আকিঞ্চন। সে দিনের পর থেকে আকিঞ্চন আর যায়নি তার বাড়িতে। ফোন করলে বলেছে, “ভীষণ ব্যস্ত, পরে রিং ব্যাক করছি।” কোনও কোনও দিন ধরেওনি। পরশু সকালে এসেছিল ফোন। তড়িঘড়ি ফোন ধরে শুনতে পেয়েছিল আকিঞ্চনের গলা, তাদের কেসটার ডেট পড়েছে পরশু। তাকে আসতে হবে। রিট পিটিশন না কী ছাই একটা বলেছিল, তাতে আটকে গেছে নাকি। মোদ্দা কথা টাকা দরকার। আকিঞ্চন বলেছিল, কেসটা জিতলে অনেক টাকা পাওয়া যাবে। সে তো অনেক দিনের গল্প। কত লাগবে? কুড়ি হাজার। চমকে গিয়েছিল রাধিয়া। জমানো টাকা তো নেই তার কাছে। সে বলেছিল, “তোমার কী হয়েছে গো?”

“কাজের কথায় এসো রাধিয়া, এখন আহ্লাদ করবার সময় নেই। ডেট চলে এসেছে। এই কেসটা আমাদের জিততেই হবে। আদিনাথ ফুল ফোর্স লাগিয়ে দিয়েছে। এতটা এগোবে আমি বুঝতে পারিনি। ও টাকা দিয়ে কেস রি-ডাইরেক্ট করতে চাইছে। আমার পকেট অতটা বিয়ার করতে পারবে না। তোমার কাছে গয়না দেখেছিলাম না? ওই যে স্টিলের আলমারিতে? তুমি দেখিয়েছিলে তো?”

রাধিয়ার মনে পড়ল, বিয়েতে তার বাপের দেওয়া দুটো হাতের বালার কথা বলছে আকিঞ্চন। ও দুটোতে অনেকটাই সোনা আছে। আরও অনেক কিছু দিয়েছিল তার বাপ। সবে লুটেপুটে নিয়েছে আদিনাথ। সেই সব থাকলে কি আর আজকের দিন দেখতে হয়? থাকার মধ্যে শেষ সম্বল বালা দুটো।

“আচ্ছা, তোমাকে দিয়ে আসব।”

“আমি কী করব? হাতে পরে বসে থাকব? ও দুটো বেচে অন্তত ষাট পাওয়া যাবে। তার মধ্যে আপাতত কুড়ি আমাকে দিয়ো। পরে লাগলে জানাব।”

“কিন্তু বেচব কোথায়? আমি কি কিছু জানি?”

“আচ্ছা। আমি একটা নাম্বার টেক্সট করছি। তুমি ফোন করে আমার নাম বলবে। শ্যামবাজারের কাছে। চলে যাও।”

ফোন কেটে দিয়েছিল আকিঞ্চন। সেই টাকা জোগাড় করে আজ এসেছে আকিঞ্চনের চেম্বারে।

আকিঞ্চন কথা না বলে হাত বাড়িয়ে প্যাকেটটা নিল। নিয়ে কিছু ক্ষণ কড়িকাঠের দিকে তাকিয়ে বলল, “অ্যাকর্ডিং টু ১০এ অব ডাইভোর্স অ্যাক্ট, ১৮৬৯, আ কাপল টু বি সেপারেটেড ফর অ্যাট লাস্ট টু ইয়ার্স। প্লাস থার্টিন বাই ওয়ান বাই আই এ— মানে স্ট্রেট মেন্টাল ক্রুয়েল্টির কেস। মানে ডিনায়াল অব কনজুগাল রিলেশনশিপ... কী বুঝলেন?”

রাধিয়া বোকার মতো তাকিয়ে থাকল। কিছু মাথায় না ঢুকলেও শুধু এটা বুঝল যে, সামনে অন্য লোক আছে বলেই আকিঞ্চন তাকে আপনি-আজ্ঞে করছে। বাইরের জগতে একে অন্যকে আপনি-আজ্ঞে করবে এমনটাই শিখিয়ে দিয়েছিল আকিঞ্চন। বাইরের কেউ ওদের রিলেশনটা বুঝতে পারলে মুখে মুখে এই খবর আদিনাথের উকিলের কাছে পৌঁছে যাবে, তখন কেস ঘুরে যাবে অন্য দিকে। অতএব সাধু সাবধান। সামনের চেয়ারে বসা ছেলেটিকে দেখিয়ে আকিঞ্চন বলল, “এই রাস্কেলটা কী করেছে জানেন? থার্ড স্টেজ রিট পিটিশন সুট করতে ভুলে গেছে। কাকে দিয়েছি রাজার পাট!”

রাধিয়া এক বার ছেলেটির দিকে এক বার আকিঞ্চনের দিকে তাকাল। তার মাথায় কিছুই ঢুকছে না। তবে কি কোনও ভুল হল? আকিঞ্চন এ বার সরাসরি রাধিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, “বুঝলাম, কিছুই বুঝতে পারছেন না। একটা গোদা কথা বলি। এর মধ্যে আদিনাথ চেষ্টা করবে আপনার সঙ্গে কানেক্ট করবার। কানেক্ট মানে বুঝতে পারছেন? মানে ধরুন, আপনার বাড়ি আসবে, ইনিয়ে বিনিয়ে ক্ষমা চাইবে, ফের আপনাকে ওর জীবনে চাইবে। বলবে, ও এখন নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে, ফের আপনার কাছে ফিরে আসতে চাইবে। এটা কিন্তু ওর একটা ট্রিক। আপনি কী করবেন? কী বলবেন?”

“কথা বলব না। স্রেফ তাড়িয়ে দেব।”

“গুড। এখন বাড়ি যান।”

“আজ শুনানি হবে না? তবে যে বলেছিলেন...”

“হবে না। সব ওই রাস্কেলটার জন্য... চিন্তা নেই। এর পরের বার আমি নিজে প্রসিড করব। জানিয়ে দেওয়া হবে। নমস্কার।”

রাধিয়া খুব আশা করেছিল আজকেই সব ফয়সালা হয়ে যাবে। কিন্তু আকিঞ্চন কী সব বলল, কিছুই বোধগম্য হল না। একটা সামান্য আশা ছিল মনের কোণে, আজ হয়তো ওকে বাড়ি পৌঁছে দেবে আকিঞ্চন। রাস্তায় একটা রেস্তরাঁয় খাওয়ালেও খাওয়াতে পারে। কিস্যু না।

ক্রমশ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement