মাতৃসঙ্গীত গেয়েছেন তানসেন থেকে নজরুল

কালীকে নিয়ে গান বেঁধেছেন রামপ্রসাদ সেন থেকে মুন্সী বেলায়েৎ হোসেন। ধর্মবিশ্বাস, জাতপাত কখনওই শ্যামাসঙ্গীত রচনা বা পরিবেশনের বাধা হয়ে উঠতে পারেনি। অভীক চট্টোপাধ্যায়কালীকে নিয়ে গান বেঁধেছেন রামপ্রসাদ সেন থেকে মুন্সী বেলায়েৎ হোসেন। ধর্মবিশ্বাস, জাতপাত কখনওই শ্যামাসঙ্গীত রচনা বা পরিবেশনের বাধা হয়ে উঠতে পারেনি। অভীক চট্টোপাধ্যায়

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৯ ২২:৩৩
Share:

দুষ্ট দুর্জ্জন দূর করো দেবি/ করো কৃপা শিও শঙ্করী মা/ হর আলা পর দার বিরাজে/ মন মানে ফল পাঁওয়েরি..।’ ‘বাঙালীর গান’ বইয়ে দুর্গাদাস লাহিড়ী তানসেনের কয়েকটি গানের মধ্যে রেখেছিলেন ইমনকল্যাণ রাগে ও তেওড়া তালে নিবদ্ধ এই গানটি। তানসেন (৯৫৬-১০০২ খ্রিস্টাব্দ) জন্মসূত্রে ছিলেন হিন্দু, গ্বালিয়রের গৌড়ীয় ব্রাহ্মণ বংশের মানুষ। আসল নাম রামতনু পাঁড়ে। শোনা যায়, পরে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ৯৭০ সালে আকবরের রাজসভায় যোগ দেওয়ার পর সম্রাট তাঁর সঙ্গীত-দক্ষতা দেখে নাম দেন ‘তানসেন’। সঙ্গীতজ্ঞের কি ধর্ম হয় কোনও? তানসেনের এই গানের বাণী ধারণ করে আছে দেবীস্তুতি।

Advertisement

কালীপুজোর দিনে আজ প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে বাজবেন পান্নালাল বা ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য। অনেক জায়গায় রাতভর পুজোর আবহে গীত হবে শ্যামাসঙ্গীত, যার অনেকগুলিই সাধক কবি রামপ্রসাদ সেনের (১৭২০-১৭৮১) লেখা। জানা যায় তিনি সংস্কৃত শাস্ত্র পড়েছিলেন, ফারসি ও উর্দু ভাষাও তাঁর আয়ত্তে ছিল। কিন্তু সঙ্গীতশিক্ষা কতটা পেয়েছিলেন, সে সম্বন্ধে বিশেষ জানা যায় না। যে অঞ্চলে তাঁর জন্ম, সেই হালিশহর ও তার আশপাশে তখন পড়াশোনার চর্চা ভাল মতোই ছিল। আবার এও ঠিক, তাঁর সময়ে বাংলায় চলছিল এক রাজনৈতিক অরাজক অবস্থা। নিজে ছিলেন অস্বচ্ছল পরিবারের মানুষ। এই সব কিছুই তাঁর উপরে প্রভাব ফেলেছিল। রচনা করলেন অজস্র শ্যামাসঙ্গীত। এমন এক নিজস্ব সুরবিন্যাস আনলেন যা ‘রামপ্রসাদি’ নামের বিশেষ এক সুর-আঙ্গিক হয়ে উঠল। তবে অন্যান্য সুরেও তাঁর অনেক গান আছে।

রামপ্রসাদি সুরে বহু সঙ্গীতস্রষ্টা পরবর্তী কালে বহু গান তৈরি করেছেন। তাঁর কয়েকটি গানের সঙ্গে মিল পাওয়া যায় কবীর, নানক, মীরাবাই, সুরদাস প্রমুখ ভারতের নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন সময়ে উঠে আসা সাধকদের গানেরও। যেমন, ‘মন রে কৃষিকাজ জান না...’ গানের দর্শনগত ভাবনার সঙ্গে নানকের ‘ইহু তনু ধরতি’ গানটির অদ্ভুত মিল চোখে পড়ে। (সর্বানন্দ চৌধুরী সম্পাদিত ‘রামপ্রসাদ’, সাহিত্য অকাদেমি, ২০০৭)। বাঙালির হৃদয় ছুঁতে রামপ্রসাদের গানের অসুবিধে হয়নি। ‘মন কেন মায়ের চরণছাড়া’, ‘ডুব দে রে মন কালী বলে’, ‘আয় মন বেড়াতে যাবি’, ‘তিলেক দাঁড়া

Advertisement

ওরে শমন’, ‘আসার আসা ভবে আসা’-সহ বহু গানে গভীর দর্শন ভক্তিরসে চান করে মনকাড়া শ্যামাসঙ্গীতের রূপ নিয়েছে।

সাধক কমলাকান্ত ভট্টাচার্যও রচনা করেছেন বহু কালীসঙ্গীত। ভক্তিরসাশ্রিত দর্শনভাবনার প্রকাশ সেখানেও— ‘মা যদি কেশে ধরে তোল/ তবে বাঁচি এ সঙ্কটে/ আমার একূল ওকূল দুকূল গেল/ পাথার মধ্যে সাঁতার বিষম হল’, বা ‘মজল আমার মনভ্রমরা/ শ্যামাপদ নীলকমলে’। শ্যামাসঙ্গীত লিখে গেছেন আরও বহু সঙ্গীতকার— ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর, দেওয়ান ব্রজকিশোর রায়, দেওয়ান রঘুনাথ রায়, রামনিধি গুপ্ত (নিধুবাবু), দাশরথি রায়, রাজা শিবচন্দ্র রায়, অযোধ্যানাথ পাকড়াশী, অতুলকৃষ্ণ মিত্র, ত্রৈলোক্যনাথ সান্যাল, রামলাল দত্ত, গোবিন্দ অধিকারী। শ্রীরামকৃষ্ণ নিজে গান বাঁধেননি বটে, কিন্তু অজস্র শ্যামাসঙ্গীত গেয়েছেন। ‘কথামৃত’-এর পাতায় পাতায় পাওয়া যায় তার প্রমাণ। তাঁর প্রধান শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন উচ্চমানের গায়ক। বৈষ্ণবচরণ বসাকের সঙ্গে যুগ্ম ভাবে ‘সঙ্গীতকল্পতরু’ নামে বিবেকানন্দ যে সঙ্কলনগ্রন্থটি সম্পাদনা করেছিলেন, তাতে রয়েছে অনেকগুলি শ্যামাসঙ্গীত। আধুনিক কালের রেকর্ড-চলচ্চিত্রের যুগেও শ্যামাসঙ্গীতের ধারা অব্যাহত ছিল, আজও তা বহতা। ‘বাল্মীকি প্রতিভা’-য় রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন ‘কালী কালী বল রে আজ’। এ ছাড়া অক্ষয় চৌধুরীর লেখা দুটি গান তিনি ব্যবহার করেছিলেন—‘এত রঙ্গ শিখেছ কোথা মুণ্ডমালিনী’ এবং ‘রাঙাপদ পদ্মযুগে প্রণমি গো ভবদারা’।

পর্তুগিজ বংশোদ্ভূত অ্যান্টনি কবিয়ালও ছিলেন মাতৃ-উপাসক। কলকাতায় ফিরিঙ্গি কালীমন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। তাঁর ‘আমি ভজন সাধন জানি নে মা, জেতেতে ফিরিঙ্গি...’ ‘জয়া যোগেন্দ্রজায়া মহামায়া...’ ইত্যাদি গানে ছড়িয়ে আছে ভক্তের আকুতি। এক কবিগানের আসরে কবিয়াল রাম বসুর গানের প্রত্যুত্তরে অ্যান্টনি কবিয়াল গেয়েছিলেন: ‘খৃষ্টে আর কৃষ্টে কিছু প্রভেদ নাই রে ভাই/ শুধু নামের ফেরে মানুষ ফেরে/ এ কথা তো শুনি নাই/ আমার খোদা যে/ হিন্দুর হরি সে...আমার মানবজনম সফল হবে/ যদি রাঙা চরণ পাই।’ গান তো কেবল গান নয়, রচয়িতার সম্যক উপলব্ধি। এমন অনুভব আমাদের আর হল কই! সৈয়দ জাফরের লেখা একটি গানের বাণী: ‘কেন গো ধরেছ নাম দয়াময়ী তায়/...সৈয়দ জাফর তরে/ কী ধন রেখেছ ধরে/ সম্পদ দুখানি পদ হরের হৃদয়।’ মুন্সী বেলায়েৎ হোসেন ছিলেন কলকাতার শিয়ালদার লোক। সংস্কৃত শাস্ত্রে তাঁর দারুণ দখল ছিল। তাঁর ভক্তিমূলক গান ও বাংলা পদাবলি রচনায় আপ্লুত তখনকার পণ্ডিতমহল তাঁকে ‘কালীপ্রসন্ন’ উপাধি দিয়েছিল। তাঁর ‘বিরহ অনল আসি’ গানটির শেষ দুটি লাইন: ‘কালী কালী বলে কালী, সহায় হইলে কালী/ নাথেরে পাইবে কালী/ ঘুচিবে এ বিরহানল।’ শেষের ‘কালী’ রচনাকার নিজে।

ধর্মবিশ্বাস, জাতপাত কখনওই শ্যামাসঙ্গীত রচনা বা পরিবেশনের সামনে বাধা হয়ে উঠতে পারেনি। এ ব্যাপারে উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত— কাজি নজরুল ইসলাম। কবি, সম্পাদক, রাজনৈতিক জগতের প্রতিবাদী মানুষটি ১৯২৮-এর পরে রেকর্ড-রেডিয়ো-চলচ্চিত্র-নাটকে প্রত্যক্ষ ভাবে যোগ দেওয়ার পরই যথার্থ ‘গানের নজরুল’ হয়ে উঠলেন। কাব্যগীতি, গজলের পাশে লিখলেন অজস্র ভক্তিগীতি। নজরুলের লেখা প্রায় বারোশো ভক্তিগীতির মধ্যে শ্যামাসঙ্গীতের সংখ্যা তিনশোর ওপরে। ভক্তি, প্রেম, আত্মনিবেদন, অন্তর্দর্শনের অপূর্ব নজির সে সব গান। গৃহী যোগী বরদাচরণ মজুমদারের কাছে নজরুল তন্ত্রসাধনা করেছিলেন। এ সবেরই ফলস্বরূপ আমরা পাই ‘কালো মেয়ের পায়ের তলায় দেখে যা আলোর নাচন’, ‘বল রে জবা বল’, ‘শ্মশানে জাগিছে শ্যামা’ ইত্যাদি কালজয়ী গান। যে ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতা লেখার কারণে ১৯২২-এ ইংরেজ সরকার তাঁকে কারারুদ্ধ করে, সেখানেও যোগমায়া-রূপী দুর্গাকে তিনি বলছেন— ‘তুই একা আয় পাগলী বেটি/ তাথৈ তাথৈ নৃত্য করে/ রক্ততৃষায় ‘ম্যায় ভুখা হুঁ’-র কাঁদন-কেতন কণ্ঠে ধরে।’

স্বদেশি আন্দোলনে নিহিত ছিল মাতৃচেতনা। বাংলার জাতীয়তাবাদী ভাবনায় দেশকে মা ভাবা হয়েছে, তাকে শৃঙ্খলমুক্ত করার সঙ্কল্প বার বার প্রকাশ পেয়েছে গানে। সেখানেও এসেছে শ্যামার রূপকল্প: ‘আজি মাগো খুলে রাখো মণিময় হার/ গলে পরে নরমুণ্ডমালা’, ‘দণ্ড দিতে চণ্ডমুণ্ডে এসো চণ্ডী যুগান্তরে’, ‘রাঙিয়ে দেব রাঙা চরণ মোদের বুকের রক্ত দিয়ে।’ গানে গানে আর তাঁর যাত্রাপালা ‘মাতৃপূজা’ দিয়ে আগুন ঝরিয়েছিলেন চারণকবি মুকুন্দদাস।

সে কালের বেশ ক’জন কণ্ঠশিল্পী ভক্তিগীতি, শ্যামাসঙ্গীত গাইতেন হিন্দু নামে, ইসলামি গান গাইবার সময় মুসলমান নাম নিতেন। বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী মহম্মদ কাশেম ভক্তিগীতি গাইবার সময় নাম নিতেন ‘কে মল্লিক’। আসল নামে গাইতেন ইসলামি গান। উল্টোটাও ছিল। ধীরেন্দ্রনাথ দাস, চিত্ত রায় প্রমুখ ইসলামি গান গাইতেন যথাক্রমে গণি মিঞা ও দিলওয়ার হোসেন নামে। এই শিল্পীদের প্রায় সবাই নজরুল-ঘনিষ্ঠ ও প্রভাবান্বিত, প্রত্যেকেই নজরুলের শ্যামাসঙ্গীত গেয়েছেন। গানের চরিত্র অনুযায়ী শিল্পীদের নাম বদলে নেওয়াকে শুধুমাত্র বাণিজ্যিক স্বার্থজনিত কারণ হিসেবে দেখাটা বোধহয় পুরোপুরি ঠিক নয়। সেই সময়ে দাঁড়িয়েও এঁরা যে উদার মানসিকতা দেখিয়েছিলেন, তা দৃষ্টান্তস্বরূপ।

শ্যামাসঙ্গীতের ধারা বাংলায় কোনও দিনই থেমে থাকেনি। ১৯৩০-৪০’এর দশক থেকে পরবর্তী কাল অবধি কে মল্লিক-ভবানী দাস-মৃণালকান্তি ঘোষ হয়ে ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য-হীরালাল সরখেল-রামকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ শিল্পী শ্যামাসঙ্গীত পরিবেশনে অসামান্যতা দেখিয়ে গিয়েছেন। তবে একটা কথা বলতেই হয়, পরবর্তী কালে বাঙালির মনে ও কানে শ্যামাসঙ্গীতের সঙ্গে যে শিল্পীর কণ্ঠ সবচেয়ে বেশি মিশে গিয়েছে, তিনি পান্নালাল ভট্টাচার্য। তাঁর দাদা ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যও ভক্তিগীতি তথা মাতৃসঙ্গীতের রাজা। তবে কালীপুজো এলেই ‘চাই না মা গো রাজা হতে’, ‘দোষ কারো নয় গো মা’, ‘আমার সাধ না মিটিল’, ‘আমার মায়ের পায়ের জবা হয়ে ওঠ না ফুটে মন’-এর মতো অজস্র গানে আলো করে থাকে পান্নালাল-কণ্ঠ। বাঙালি মানসে কালী আরাধনার সুর হিসেবে তাঁর কণ্ঠটি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, বললে অত্যুক্তি হবে না।

মাতৃসঙ্গীতের আবেদন এক সময় কোন স্তরে পৌঁছেছিল, সে বিষয়ে একটি ঘটনার উল্লেখ করে ইতি টানা যাক। ভারত-বিখ্যাত এক জন টপ্পা-গায়ক ও সারেঙ্গি-বাদক ছিলেন বেনারস ঘরানার উস্তাদ রমজান খান। টপ্পা-গায়িকা হিসেবে তাঁর মা ইমাম বাদীরও সারা দেশে সুনাম ছিল। মায়ের কাছেই রমজানের সঙ্গীত-শিক্ষা। মায়ের মৃত্যুর পর তিনি কলকাতায় এসে বাকি জীবন এখানেই কাটিয়েছিলেন। উনিশ শতকের শেষ ভাগ থেকে বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিক পর্যন্ত ছিল তাঁর সময়কাল। তাঁর তালিমে তৈরি হয়েছিলেন অনেক অসামান্য শিল্পী, যাঁদের মধ্যে ছিলেন লালচাঁদ বড়াল, আখতারিবাই প্রমুখ প্রবাদপ্রতিম শিল্পী।

দীর্ঘ দিন কলকাতায় থেকে বাংলা ভাষা ও বাংলা গান রপ্ত করেছিলেন রমজান খান। বিভিন্ন আসরে তাঁর গান ও সারেঙ্গি বাদন ছিল তখনকার এ শহরের অন্যতম আকর্ষণ। এ রকমই এক আসর বসেছে এন্টালির জিতেন্দ্রনাথ ঘোষের বাড়িতে। তিনি নিজেও এক জন গুণী সঙ্গীতশিল্পী। তাঁর আসরে রমজান গাইলেন কয়েকটি গান। শুনে সবাই মুগ্ধ! দুর্গাপূজার নবমীর রাত ছিল সে দিন। রমজান যখন সব ক’টি হিন্দুস্থানি গান গেয়েই আসর শেষ করতে যাচ্ছেন, তখন জিতেন্দ্রনাথবাবুর বাবা তাঁকে একটি বাংলা গান গাইতে অনুরোধ করলেন। দুর্গা-নবমীর রাত পেরিয়ে ভোর হতে তখন আর বিশেষ বাকি নেই। ভৈরবীর সুরে রমজান ধরলেন— ‘হায় হায় একি দায়/ কেন নিশি পোহাইল/ চরণে চন্দন জবা/ মঙ্গলঘট শুকাইল’। গান যখন শেষ হল, বিজয়া দশমীর ভোর স্পর্শ করছে সবাইকে। কারও মুখে কোনও কথা নেই। সব যেন বিষাদময়। ‘সঙ্গীতের আসরে’ গ্রন্থে দিলীপকুমার মুখোপাধ্যায় এই ঘটনাটির উল্লেখ করে লিখছেন— ‘বাতাসে যেন সেই পৌরাণিক বিদায়ের হাহাকার বাস্তব হয়ে মিলে গেছে। রম্‌জানের দরদভরা কণ্ঠের মাধুর্য— উদাসী ভৈরবীর উদাস-করা রূপ আর উমার দুঃখ একাকারে মিশিয়ে দিয়েছে। রম্‌জানের চোখ দিয়ে ভাবাবেগে জল পড়ছে।... সমস্ত শ্রোতার মনে ঝঙ্কার দিয়ে উঠছে উমা আর ভৈরবীর বেদনা একাত্ম হয়ে...।’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement