Rabibashoriyo Feature

তাঁর আমলে চিড়িয়াখানায় ওয়াজিদ আলি শাহ থেকে বিবেকানন্দ

চোখের সমস্যায় ডাক্তারি পড়া সম্পূর্ণ হয়নি। তবু পশুপাখির চিকিৎসা বা ছোটখাটো অপারেশনও নিজে হাতে করতেন। আয় বাড়ানোর জন্য চিড়িয়াখানার ভিতরে চালু করেছিলেন ইলেকট্রিক ট্রেন। তিনি রামব্রহ্ম সান্যাল, চিড়িয়াখানার প্রথম ভারতীয় অধিকর্তা। চোখের সমস্যায় ডাক্তারি পড়া সম্পূর্ণ হয়নি। তবু পশুপাখির চিকিৎসা বা ছোটখাটো অপারেশনও নিজে হাতে করতেন। আয় বাড়ানোর জন্য চিড়িয়াখানার ভিতরে চালু করেছিলেন ইলেকট্রিক ট্রেন। তিনি রামব্রহ্ম সান্যাল, চিড়িয়াখানার প্রথম ভারতীয় অধিকর্তা।

Advertisement

গায়ত্রী সেন

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২০ ০০:৫৯
Share:

অগ্রণী: রামব্রহ্ম সান্যাল। (ডান দিকে) ১৮৯০-এর দশকে আলিপুর পশুশালার ‘ডিয়ার শেড’।

শীতকালে ভিড় জমে ওঠে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায়। হরেক পশুপাখি দেখে খুশির বাধ মানে না বাবা-মায়ের হাত ধরে আসা শিশুদের। কিন্তু অনেকেই জানেন না এই চিড়িয়াখানার প্রাণপুরুষ কে। তিনি রামব্রহ্ম সান্যাল, চিড়িয়াখানার প্রথম ভারতীয় অধিকর্তা। কলকাতা চিড়িয়াখানার সুনাম পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বের দরবারে। অথচ এ যুগের বাঙালির কাছে তিনি প্রায় অপরিচিত, বিস্মৃত।

Advertisement

রামব্রহ্মর জন্ম ১৮৫১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, লালগোলায়। ১৮৬৯-এ বহরমপুর কলেজিয়েট স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলকাতা আসেন তিনি, ভর্তি হন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। তিন বছর পড়লেও চোখের রোগের জন্য তাঁর ডাক্তারি পড়া আর হয়ে ওঠেনি। হতাশ রামব্রহ্মর দিকে তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাঁর শিক্ষক, মেডিক্যাল কলেজের বোটানির প্রফেসর ড. জর্জ কিং ও অ্যানাটমির প্রফেসর ও মিউজিয়ামের কিউরেটর ড. জন অ্যান্ডারসন। চিড়িয়াখানার কর্মজগতে রামব্রহ্ম সান্যালের আসার পিছনে ভূমিকা ছিল এঁদেরই।

১৮৬৭ সালে এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ই সি বেইলি সোসাইটির বার্ষিক সভায় কলকাতায় একটি পশুশালা স্থাপনের কথা তোলেন। পরের বছর সোসাইটির সভাপতি ড. জোসেফ ফেরার বিভিন্ন উপসমিতি গঠন করে চিড়িয়াখানা স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যান। ১৮৭৫-এর ২ অক্টোবর বাংলার ছোটলাট স্যর রিচার্ড টেম্পলের চেষ্টায় কলকাতার জিরাট বস্তিতে ১৫৬ বিঘা ১৮ কাঠা ৯ ছটাক জমি অধিগৃহীত হয়। পরের বছর ১ জানুয়ারি থেকে এখানেই শুরু হয়ে যায় চিড়িয়াখানা তৈরির কাজ।

Advertisement

সেই সময় এই পশুশালা গঠনের দায়িত্বে ছিলেন তিন জন— দুই প্রফেসর জর্জ কিং ও জন অ্যান্ডারসন এবং কার্ল লুই সোয়েন্ডলার নামের এক জন, পেশায় যিনি ছিলেন ইলেকট্রিশিয়ান। তিন জনই জীবজন্তু বিষয়ে অভিজ্ঞ ছিলেন। তাঁরা খুঁজছিলেন শিক্ষিত ও কর্মঠ এমন এক জনকে, তাঁদের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় কাজ করতে যিনি আগ্রহী হবেন। জর্জ কিং তাঁর প্রাক্তন ছাত্র রামব্রহ্মকে চিড়িয়াখানায় কাজে নিযুক্ত করলেন। ১৮৭৬-এর ২৪ জানুয়ারি প্রথমে অস্থায়ী ভাবে কুলির সর্দার পদে রামব্রহ্মকে কাজে নেওয়া হয়। জিরাট বস্তিতে একটা তাঁবুতে থেকে তিনি কুলি ও মিস্ত্রিদের কাজের তদারকি করতেন।

আলিপুর পশুশালায় তৈরি হল পশুপাখিদের খাঁচা ও ঘর। ব্যারাকপুরে লাটবাগানের পুরনো চিড়িয়াখানা থেকেও কিছু পশুপাখি নিয়ে আসা হল। ১৮৭৬-এর ৬ মে সাধারণ মানুষের জন্য চিড়িয়াখানার দরজা খোলা হয়। মাত্র ৩১টি বন্যপ্রাণী নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল পশুশালার।

১৮৭৭ সাল থেকে রামব্রহ্ম হেডবাবু হিসেবে কাজের দায়িত্ব পান। তিনি আলিপুর পশুশালার নামকরণ করেছিলেন ‘আলিপুর জীবনিবাস’। পশুপাখিদের বিজ্ঞানসম্মত নামের উল্লেখ থাকা দরকার, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। জীবজন্তুদের স্বাস্থ্য, অসুখবিসুখ, খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারেও খোঁজ রাখতেন। লিখে রাখতেন, কোন পশুপাখি কেনা হয়েছে, কোনটা দান হিসেবে বা অন্য চিড়িয়াখানা থেকে ‘বিনিময়’ হিসেবে এসেছে। কোনও জীবজন্তু মারা গেলে তার কারণ অনুসন্ধান করে কমিটিকে জানানোর দায়িত্বও ছিল তাঁর।

প্রথমে ছিলেন এক জন সাধারণ কর্মচারী। কিন্তু তাঁর কর্মদক্ষতার পাশাপাশি জীবজন্তু বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা, শিক্ষা ও গবেষণায় আগ্রহ দেখে জর্জ কিং ও অ্যান্ডারসনের সুপারিশে ১৮৭৯ সালে রামব্রহ্ম চিড়িয়াখানার প্রথম ভারতীয় সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হন। প্রতিদিন সকাল-বিকেল কর্মচারীদের নিয়ে পশুশালা ঘুরে দেখতেন। তাদের নিজের হাতে খাওয়াতে ভালবাসতেন। সাধ্য মতো অসুস্থ প্রাণীর চিকিৎসা করতেন, প্রয়োজনে পশুচিকিৎসককে দেখিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন। অনেক সময় ছোটখাটো অপারেশন করতে হত, সে ক্ষেত্রে তাঁর ডাক্তারি বিদ্যা কাজে লাগত। কোনও পশুর মৃত্যু হলে তার পোস্টমর্টেমে পশুচিকিৎসককে সাহায্য করতেন, কমিটির কাছে রিপোর্ট পাঠাতেন। সব সময় সিলভার নাইট্রেট দ্রবণ, কার্বলিক অ্যাসিড, কস্টিক সোডা, চক পাউডার ইত্যাদি হাতের কাছে রাখতেন এবং প্রয়োজনে প্রাণীদের সুস্থ করে তোলার কাজে সেগুলি ব্যবহার করতেন। পশুশালায় কোনও পশুর মৃত্যু হলে শোকে অভিভূত হতেন তিনি।

তাঁর রেজিস্টারে পশুশালার যাবতীয় ঘটনা লেখা থাকত। অনেক বিচিত্র তথ্য জানা যায় এ থেকে। ১৮৭৭-এর ২৩ জানুয়ারি বিকেলে বর্ধমান হাউসের খাঁচা থেকে বেরিয়ে পড়েছিল দু’টি বাঘ। সারা রাত চিড়িয়াখানার মধ্যে ঘুরছিল তারা। মিস্ত্রিরা কাজ সেরে খাঁচার দরজা বন্ধ না করেই চলে যায়, তাতেই এই বিপত্তি। বেগতিক বুঝে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার গোটা চিড়িয়াখানা ঘিরে রাখার ব্যবস্থা করলেন। রামব্রহ্ম কর্মচারীদের নিয়ে দরমার বেড়ার ফাঁক দিয়ে বাঘেদের গতিবিধি লক্ষ রাখছিলেন। দুর্ভাগ্যের কথা, খাঁচায় পুরতে না পেরে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পুলিশ কমিশনার পরদিন ভোরে বাঘ দুটোকে গুলি করে মেরে ফেলেন।

১৮৮৬ সালে তিন মাস বয়সের একটি বাচ্চা জলহস্তীকে কিনে আনা হয়েছিল জাঞ্জিবার থেকে। সুপার রামব্রহ্ম ঘন দুধ, জোয়ার-ভুট্টার বীজ সেদ্ধ করে খাইয়ে তাকে তাজা রেখেছিলেন। ছোট্ট একটি পুকুরও বানিয়ে দিয়েছিলেন তার জন্য।

১৮৮৯ সালে বাংলাদেশের স্ত্রী গন্ডার ও সুমাত্রার পুরুষ গন্ডারের মিলনে একটি গন্ডারশাবকের জন্ম হয় পশুশালায়। বন্দি অবস্থায় গন্ডারের জন্ম ভারতের চিড়িয়াখানার ইতিহাসে এই প্রথম। আলিপুর চিড়িয়াখানার সুনাম দেশে ও বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

তাঁর রুটিন-বাঁধা জীবনে আনন্দের মুহূর্তও এসেছে বিশেষ বিশেষ অতিথির আগমনে। আলিপুর পশুশালায় ছোট লাট, বড় লাট যেমন বেড়াতে এসেছেন, তেমনই ভারতের রাজা-মহারাজরাও আসতেন সদলবলে। চিড়িয়াখানায় ফুলের বাগান, সবুজের সমারোহ সবাইকে মুগ্ধ করত। রামব্রহ্ম তাঁদের পশুশালা ঘুরিয়ে দেখাতেন, চায়ের আসরে আপ্যায়িত করতেন।

অযোধ্যার নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ মাঝেমধ্যে চিড়িয়াখানায় আসতেন এবং তাঁর জাপানি কায়দার রিকশায় পশুশালা ঘুরতেন। রামব্রহ্মর সঙ্গে পশুপ্রেমিক নবাবের কথাও হত। নবাব তাঁর ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানা থেকে একটি ভারতীয় বাঘ, এক জোড়া মালয় দেশের বাঘ ও এক জোড়া চিতাবাঘ, দুটো বাঘিনি উপহার হিসেবে পশুশালায় পাঠিয়েছিলেন। কিছু রঙিন মাছও দিয়েছিলেন। নবাবের পাঠানো একটি বাঘিনিকে এক বার হামবুর্গ চিড়িয়াখানায় পাঠানোর অনুরোধ আসে। যে সব পশুপাখি বিদেশে পাঠানো হত, তাদের জন্য বিদেশে যোগাযোগ করা, যাত্রাপথে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা— সব দায়িত্বই রামব্রহ্মকে পালন করতে হত।

১৮৯১ সালের ২৭ জানুয়ারি বড়লাটের অতিথি হয়ে আলিপুর পশুশালা দেখতে আসেন রাশিয়ার জ়ারের বড় ছেলে। চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখে তিনি খুশি হন। গোখরো সাপ দেখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সরীসৃপ ভবন তখনও তৈরি হয়নি। পরে বিভিন্ন মানুষের দানে এই ভবনটি তৈরি হয়।

এর পরের বছরেই সাপের বিষ নিয়ে গবেষণার জন্য আলিপুরে একটি গবেষণাগার তৈরি করা হয়। এর জন্য জয়গোবিন্দ লাহা পনেরো হাজার টাকা দান করেন। সাপের বিষ নিয়ে এখানে গবেষণা চালান রামব্রহ্ম। বিজ্ঞানী ড. কানিংহামের অধীনে কাজ করে এই ব্যাপারে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন তিনি। আলিপুরের গবেষণাগারে এই গবেষণার ফলাফল তাঁকে খ্যাতি এনে দিয়েছিল।

১৮৮০ থেকে ১৯০৮ পর্যন্ত চিড়িয়াখানার সুপারিনটেনডেন্ট ছিলেন রামব্রহ্ম সান্যাল। কাজের ফাঁকে বই লিখতেন। দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা ও গবেষণা নিয়ে লেখা তাঁর বই ‘আ হ্যান্ডবুক অব দ্য ম্যানেজমেন্ট অব দি অ্যানিম্যালস ইন ক্যাপটিভিটি ইন লোয়ার বেঙ্গল’ প্রকাশিত হয় ১৮৯২ সালে। বিভিন্ন দেশের ২৪১ প্রজাতির বন্যপশু, ৪০২ প্রজাতির পাখি ও তাদের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে লেখা এই গ্রন্থটি জীববিজ্ঞানীদের কাছে একটি মূল্যবান গ্রন্থ বলে বিবেচিত হয়। বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ে রামব্রহ্ম সান্যালের নাম। ইংল্যান্ডের ‘নেচার’ পত্রিকায় বইটির আলোচনা প্রকাশিত হয়।

১৮৯৬ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর দ্বিতীয় বই ‘আওয়ার্স উইথ নেচার’। এই বইয়ে তিনি আমাদের দেশের নদীনালা, বনজঙ্গল, পুকুর থেকে শুরু করে চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, বোটানিকাল গার্ডেন নিয়ে আলোচনা করেছেন। ছোটদের জন্য গল্পের আকারে বিভিন্ন প্রাণী সম্বন্ধে তথ্য পরিবেশন করেছেন, যাতে তারাও জীবজন্তুদের ভালবাসতে শেখে।

চিড়িয়াখানার আয় বৃদ্ধির জন্য নানা পরিকল্পনা করা হত। ১৮৮০-র ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে দর্শকদের টানতে চিড়িয়াখানার ভিতরে ইলেকট্রিক ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রামব্রহ্ম ট্রেন চালানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন বার্ন কোম্পানিকে। পশুশালায় এই ছোট ট্রেন দেখতে খুব ভিড় হয়। বাংলার ছোটলাট স্যর অ্যাশলে ইডেন স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন সে দিন। চিড়িয়াখানায় টিকিট বিক্রি বেড়ে গিয়েছিল হু-হু করে।

১৮৯৮ সালের ৪ জুন কেমব্রিজে এক আন্তর্জাতিক প্রাণিবিজ্ঞানী সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন রামব্রহ্ম সান্যাল। সম্মেলনের পর তিনি ইউরোপের বিভিন্ন শহরের চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করেন। লন্ডন, বার্লিন, হামবুর্গ, প্যারিস, ভিয়েনার পশুশালা দেখে এসে, আলিপুর পশুশালার উন্নতি সাধনে কী কী করতে হবে তা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বিদেশের পশুশালাগুলির দোষত্রুটিও উল্লেখ করেছেন, বন্দি অবস্থায় প্রাণীদের সুস্থ জীবনযাপনের বিষয়ে তাঁর প্রস্তাব পেশ করেছেন বিদেশে। রামব্রহ্ম বিদেশ সফর করে ফেরার পর, ১৮৯৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর স্বামী বিবেকানন্দ, ভগিনী নিবেদিতা ও স্বামী যোগানন্দ চিড়িয়াখানা দেখতে আসেন। জীবজন্তুদের পাশাপাশি চিড়িয়াখানায় মনোরম পরিবেশের প্রশংসা করেন তাঁরা। প্রাণীদের বিবর্তন বিষয়ে বিবেকানন্দের সঙ্গে রামব্রহ্মের আলোচনা হয়েছিল, জানা যায়।

ওই বছরেই ভারত সরকার রামব্রহ্মকে ‘রায়বাহাদুর’ খেতাব দেয়। এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল তাঁকে অ্যাসোসিয়েট মেম্বার নির্বাচিত করে। লন্ডন জুলজিকাল সোসাইটির সাম্মানিক পদও পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর লেখা গবেষণাপত্রগুলিও জীববিজ্ঞানীদের কাছে মূল্যবান। অন্য রাজ্যে পশুশালার কোনও সমস্যায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাঁর পরামর্শ চাইত। উপদেষ্টা হিসেবে তাঁকে বম্বে (এখন মুম্বই) গিয়ে কিছু দিন থাকতে হয়েছিল। যেতে হয়েছিল তৎকালীন রেঙ্গুনেও।

১৮৯৯ সালে একমাত্র পুত্র হেমন্তকুমারের অকালমৃত্যুতে এবং কিছু দিন পরে স্ত্রীর মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। পশুশালার কাজ তবু নিয়মমাফিক করতেন। ১৯০৮ সালের ১৮ অক্টোবর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন, দুপুরেই মারা যান। আলিপুর চিড়িয়াখানায় তখন ৩৯০টি পশু, ৭৭৭টি পাখি, ২১৭টি সরীসৃপ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement