ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব ১১
Novel Series

হাওয়ার আড়ালে

রাধিয়া অবাক হয়েছিল, তা হলে কাকিমা কোথায় যাবেন? আদিনাথ বলেছিল, “কাকিমাকে কলকাতায় আমাদের কাছে এনে রাখব।”

Advertisement

অজিতেশ নাগ

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৩ ০৭:১২
Share:

ছবি: পিয়ালী বালা

পূর্বানুবৃত্তি: স্বর্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় মেহুলিকে তার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যান। তাদের ফোন নম্বর বিনিময় হয়। মেহুলিকে দেখে স্বর্ণেন্দুর নিজের মেয়ে পৌষালীর কথা মনে পড়ে। বাড়ি ফেরার পর মেহুলিকে তার কাজকর্মের জন্য কড়া ভাবে শাসন করে আকিঞ্চন। বাবার থেকে ও রকম ব্যবহার মেহুলি আশা করেনি। কস্তুরীর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করে অভিনেত্রী মিশুক মুখার্জি। অন্য দিকে, আকিঞ্চন হঠাৎ বেরিয়ে আসায় মন খারাপ হয় তার গোপন প্রেমিকা রাধিয়ার। তার অতীত জীবনেও অনেক দুঃখ কষ্টের কাহিনি আছে। স্বামী আদিনাথ নানা ভাবে কষ্ট দিয়েছিল তাকে।

Advertisement

রাধিয়া ফের শুয়ে পড়ল। চোখ থেকে জল গড়াচ্ছিল কিছু ক্ষণ আগেও, এখন শুকিয়ে গালের কাছটা চড়চড় করছে। কে ভাবতে পেরেছিল আদিনাথ এমন হবে, তাও সামান্য একটা বাড়ির জন্য! একটা বাড়ি! কত লোকের কত নেশা থাকে। জুয়ার নেশা, মেয়েছেলের নেশা, মদ-সিগারেটের নেশাও অনেক সম্পর্কে ফাটল ধরায়। তা নয়, শুধু একটা বাড়ি! বাড়িটা তাও জমিদারবাড়ির মতোও নয়। জলপাইগুড়ির শান্তিপাড়ায় রাধিয়ার কাকু কাকিমার একটেরে দোতলা বাড়ি। লাগোয়া অবশ্য দশ কাঠার মতো জমি আছে। তা সে রাধিয়া এমনিতেই পেয়ে যেত। নিজের একমাত্র মেয়ে মারা যাওয়ার পর কাকু-কাকিমা আরও বেশি করে আঁকড়ে ধরেছিল রাধিয়াকে। মানুষ তো সন্তান প্রসব করে ভবিষ্যতের আশাতেই। কাকু-কাকিমা মারা গেলে সেই জমি বাড়ি এমনিতেই রাধিয়ার কাছেই আসত, উইলে তাই লেখাপড়া করে নিয়েছিল। কিন্তু কাকু মারা যেতেই কী কারণে আদিনাথ খেপে উঠল। সেই বাড়িটা তার এক্ষুনি চাই।

Advertisement

রাধিয়া অবাক হয়েছিল, তা হলে কাকিমা কোথায় যাবেন? আদিনাথ বলেছিল, “কাকিমাকে কলকাতায় আমাদের কাছে এনে রাখব।”

রাধিয়া বলেওছিল, কিন্তু কাকিমা রাজি হলেন না তার শ্বশুরের ভিটে ছাড়তে। রাধিয়াও ভেবেছিল, কাকিমা আর কত দিন বাঁচবেন। না, কাকিমার তেমন বয়স হয়নি মারা যাওয়ার, কিন্তু কী একটা দুরারোগ্য ক্ষয়রোগে ভুগতে ভুগতে তিনি ক্রমশ ছোট হয়ে আসছিলেন। এই অবস্থায় বেচারাকে টানাহ্যাঁচড়া করতে মন যায়নি রাধিয়ারও।

কিন্তু আদিনাথ যেন ক্রমে উন্মাদ হয়ে উঠল। তার কাপড়ের ব্যবসা তখন রমরমে। জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, মাথাভাঙা, রানিনগর, বিন্নাগুড়ি, লাটাগুড়ি থেকে শুরু করে জয়গাঁ অবধি। আদিনাথের তখন একটা গোডাউনের দরকার। ছোটখাটো গোডাউন নয়, ওয়্যারহাউস টাইপের। একটা গোডাউন ভাড়া নিতে আদিনাথের সাধ্যে কুলোত না তাও নয়, কিন্তু তার তখন পাখির চোখ শান্তিপাড়ার ওই তেরো-চোদ্দো কাঠা। কলকাতা থেকে যে রকেট অথবা ভলভো বাসগুলো রওনা দেয়, তার লাস্ট স্টপেজ জলপাইগুড়ির শান্তিপাড়া। ফলে বাসের তলপেট, ছাদ বোঝাই করে জামাকাপড় এনে আনলোড করতে শান্তিপাড়ার মতো জায়গা হয় না এটা ঠিকই। কিন্তু মৃত্যুপথযাত্রী এক জন মানুষকে উত্ত্যক্ত করতে যা যা পন্থা নেওয়া যেতে পারে, যত জঘন্যতম, সেগুলোকে হাতিয়ার করবে আদিনাথ, এটা ভাবনার অতীত ছিল। আদিনাথ শুরু করেছিল বৃদ্ধার উপরে মানসিক নির্যাতন।

অবশেষে রাধিয়াকে তীব্র প্রতিবাদ করতেই হল। কাকিমাকে ছেড়ে দাও। প্রথমে দমে গেলেও ভীমবিক্রমে আক্রমণ শানাতে লাগল আদিনাথও। চিড় ধরল সম্পর্কের দেওয়ালে।

মানুষের জীবন কত পাল্টে যায়। রাধিয়া মিত্র ভাবেনি, রাধিয়া শ্রীবাস্তবের জীবনটা এমন হবে। আবার এও ভাবেনি সে অচিরেই আর এক পুরুষের অঙ্কশায়িনী হবে। যেমন রাধিয়া ভাবতে পারেনি, কাকিমার সেই বাড়ির জন্য তার বিরুদ্ধেই কেস ঠুকে দেবেন তার স্বামী আদিনাথ শ্রীবাস্তব। এমনকি গুলু ওস্তাগর লেনের এই বাড়িটা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ারও দাবি ছিল সেই মামলায়। কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে রাধিয়া এর পরে? আদিনাথকে জিজ্ঞেস করতেই সে রাস্তার উল্টো ফুটপাত দেখিয়ে দিয়েছিল। রাধিয়া বিস্ময়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা কথা বলতে পারেনি। কারণ সে তত দিনে জেনে গেছে, রাস্তার উল্টো পিঠেই পৃথিবীর আদিমতম ব্যবসার পীঠস্থান। এই লোকটাকে ভালবেসে সে এক কথায় চলে এসেছিল কাকু কাকিমার নিশ্চিন্ত আশ্রয় ছেড়ে?

আদিনাথের প্রচুর লোকবল। সেই লোকবলের নিত্যনতুন হুমকির জন্যই কিনা কে জানে, রাধিয়ার কাকিমাকে ডেকে নিলেন ঈশ্বর। শ্রাদ্ধশান্তি মিটে যেতে দিন দশেকের মধ্যে পুরো বাড়িটা ভেঙে ফেলে নতুন কনস্ট্রাকশন উঠেছিল, আর আদিনাথও একটা রফা করতে চেয়ে রাধিয়ার কাছে ফিরেছিল। যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে, মাঝখান থেকে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বেমক্কা তেতো করে কী লাভ, তার চেয়ে একটা সন্তানের জন্য... আদিনাথের সাত-আটটা পাকাপোক্ত যুক্তির সব ক’টাই রাধিয়া ফিরিয়ে দিয়েছিল ঘেন্নার সঙ্গে। একটা মরণাপন্ন মানুষের সঙ্গে যে এমন জল্লাদের মতো ব্যবহার করতে পারে, স্বামী হিসেবে শুধুমাত্র সন্তানের জন্য তার সঙ্গে শুতে রাধিয়ার গা ঘিনঘিন করেছিল।

আদিনাথ এর পরেই তার আসল মূর্তি দেখিয়েছিল। ভয় দেখানো, গায়ে হাত, রাস্তায় বার করে দেওয়া অথবা খারাপ পাড়ায় নিয়ে গিয়ে ছেড়ে আসার হুমকি— মানে যতটা প্রতাপ দেখালে রাধিয়া বশে আসতে পারে। শেষে অনুনয়-বিনয় অবধি। এক বার কথা বলতে বলতে কেঁদেও ফেলেছিল সে। মুহূর্তে মন নরম হতে হতেও সামলে নিয়েছিল রাধিয়া। কাকিমার এই ভাবে চলে যাওয়াটাকে সে মেনে নিতে পারেনি কোনও ভাবেই। ঈশ্বর বলে এক জন উপরে আছেন। তার সামনে মাথা তুলে দাঁড়াবে কী করে সে? আজ সব কিছু মেনে নিলে আয়নায় নিজেকে তো বেশ্যার চেয়ে বেশি কিছু মনে হবে না!

আদিনাথ মামলায় নতুন পয়েন্ট জুড়ে দিল। চরিত্রহীনতা। রাস্তার উল্টো ফুটপাত থেকে কাস্টমার এনে ঘরে বসানো। প্রথমটা শুনে ভাবতে পারেনি রাধিয়া। মানুষ কতখানি নীচে নামতে পারে! কিন্তু এ বার তাকেও তো একটা উকিল খুঁজতে হয়। জানাশোনা তো তেমন কেউ নেই। নিরুপায় হয়ে এক দিন সে বেরিয়ে পড়েছিল ধর্মতলার দিকে। ওখানে হাইকোর্ট আছে। নিশ্চয় একটা উকিল পাওয়া যাবে। দু’-এক জন উকিলের পাল্লায় পড়ে যেটুকু রেস্ত ছিল তাও গেল।

এই রকম একটা অগস্টের দুপুর। হাইকোর্টের লোয়ার ডিভিশনের বেঞ্চে মাথা ঝুঁকিয়ে বসেছিল রাধিয়া। চোখ ফেটে জল আসছিল। সকাল থেকে কিছু পেটে না পড়ায় কান্নাটাও সে ভাবে বেরিয়ে আসছিল না। এমন সময় কাঁধে হাত, “শুনছেন, আপনি কি অসুস্থ বোধ করছেন?”

সে দিন অযাচিত ভাবে কাঁধে হাত যিনি রেখেছিলেন, তিনি সৌমিত্র সিকদার। হাইকোর্টের পেশকার। বয়োবৃদ্ধ মানুষ। সৌমিত্রবাবু অবশ্য মাস ঘুরতেই সানস্ট্রোকে মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু তত দিনে কাজের কাজটা তিনি করে দিয়েছিলেন। রাধিয়ার মুখে সব শুনে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন আকিঞ্চন রায়ের সঙ্গে। ব্যস, বাকিটা ইতিহাস। আকিঞ্চন কী দেখেছিলেন তার মধ্যে, কেন এক কথায় তাকে সাহায্য করতে রাজি হয়েছিলেন, কে জানে। পরে অনেক বার জিজ্ঞেস করেছিল আকিঞ্চনকে। কখনও প্রিন্সেপ ঘাটে কাঁধে মাথা রেখে, কখনও ডায়মন্ড হারবারে রাত্রিবাসের সময়, কখনও বা গুলু ওস্তাগর লেনের বাড়ির বিছানায় শুয়ে। কোনও দিন তেমন স্পষ্ট করেনি আকিঞ্চন। খালি হেসে উড়িয়ে দিয়েছে। রাধিয়াও দিয়েছে। তার শরীরের সবটুকু ইঞ্চির অধিকার আকিঞ্চনের হাতে তুলে দিয়েছে। এটা শারীরিক প্রলোভন দেখিয়ে কাজ হাসিলের পর্যায়ে পড়ে না।

আকিঞ্চন রায় দুঁদে উকিল। আদিনাথের লোকবল যথেষ্ট থাকতে পারে, তবে আকিঞ্চন কিছু কম যায় না। যেমন প্যাঁচালো বুদ্ধি, তেমন পুলিশ এবং গুন্ডা, দু’দিকেই অবাধ যাতায়াত। ফলে এই দৌড়ে শুধু কাদা ছেটানো ছাড়া আদিনাথ শ্রীবাস্তব কিছু সুবিধে করে উঠতে পারল না। রাধিয়া চাইছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শ্রীবাস্তব উপাধিটিকে ছুরি দিয়ে কেটে বাদ দিতে। আকিঞ্চন বুদ্ধি দিল। মামলাটাকে টানো, টেনে গার্ডারের মতো লম্বা করো। আদিনাথ বাধ্য হবে কেস তুলে নিতে। আর তুলে নিলেই, যে ভাবে কেস সাজানো হয়েছে, তাতে গুলু ওস্তাগর লেনের এই বাড়ির একচ্ছত্র অধিকার পাবে রাধিয়া এবং শুধু তা-ই নয়, এই ক’বছর মামলা চালানোর সমস্ত খরচও নাকি আদায় করবে আদিনাথের কাছ থেকে। আকিঞ্চন বলেছিল, “দেখো না কী হয়, বেটার ভিটেমাটি সব বিকিয়ে যাবে।” মামলার ঘাঁতঘোত অত কিছু বোঝে না রাধিয়া, সে শুধু চেয়েছিল আকিঞ্চন তার পাশে থাকুক।

পুরো দিনটা কস্তুরীর কাটল অন্যমনস্কতায়। সে ভাবে কাজে মন বসাতে পারলও না। বার বার মোবাইলে ফেসবুক খুলে মিশুকের প্রোফাইলে ঘুরে বেড়াতে লাগল। আজ অনেক দিন পরে একটা পোস্ট দিল, “স্বপ্নের ছোট বড় হয় না। স্বপ্ন শুধু বাস্তব হয়, এক দিন।”

এত বড় একটা সুখবর চেপে রাখতে না পেরে সে অদ্রিজাকে বলেছিল। বেটি এমনি বেরসিক, শুনে মুখে ঘুরিয়ে কাজে লেগে গেল। কাজে মন না বসাতে পারার ফল পেল অচিরেই। বিকেল নাগাদ অ্যাকাউন্টস-হেড প্রদীপ পাল এগিয়ে এসে ফায়ার ওয়ালের উপর দিয়ে উঁকি মেরে মিষ্টি মিষ্টি হেসে বলেছে, “আজ কী হল ম্যাডাম? কোম্পানি ডোবানোর প্ল্যানটা করেই এসেছেন তা হলে?”

কস্তুরী বুঝল কোথাও একটা ভুল হয়েছে। তবুও না বোঝার ভান করে বলল, “কী হয়েছে পালদা? আমি তো...”

“আইজিএসটি-র ঘরে টোটাল ট্যাক্সেবল অ্যামাউন্ট বসিয়ে দিলে তো জিএসটি সাবমিশনের মা-বাপ এক হয়ে যাবে ম্যাডাম। মাসের শেষে জিএসটিআর থ্রিবি সাবমিটের সময় যে হাতে হারিকেন হয়ে যাবে! বস শুধু মারবে না, বেঁধে পেটাবে যে। তাই জিজ্ঞেস করছিলাম কেসটা কী?”

“এ মা! তাই। স্যরি, স্যরি পালদা। আসলে বাড়িতে এমন একটা প্রবলেম চলছে যে...”

“বুঝলাম, সবারই কিছু না কিছু প্রবলেম থাকে, কিন্তু তার জন্য কোম্পানিকে প্রবলেমে ফেলাটা কী ঠিক হচ্ছে? আমি ভাগ্যিস চেক করছিলাম। রুংটাজি দেখে ফেললে কেলো হয়ে যেত।”

পাল নিজের সিটে ফিরে গেলে তমালিকা ফিসফিস করে বলল, “এক বার চান্স পেলেই হয়েছে, পাল উঁকি মারবেই। শালার জন্য লো-কাট পরা ছেড়েই দিয়েছি।”

“এ ভাবে বলিস না। পালদার কত বয়স!”

“বেশি বয়সেই তো বেশি রস ঝরে রে। দেখলি যখন ভুল করে ফেলেছে, নিজে থেকেই ঠিক করে দে। তা না, ভেসে ভেসে এসেছে ভুল ধরাতে। মুখে কী মিষ্টি হাসি! ক্যালানে!”

“ধ্যাত। আমারই তো দোষ। আজকে ভুলটা পালদা না ধরিয়ে দিলে কী হত বল তো? ট্যাক্স পেয়েবল অ্যামাউন্ট কত হয়ে যেত! সটান রুংটাজি তাড়িয়ে দিতেন। এই যে বলে গেলেন, দেখবি এর পরের বার আরও কেয়ারফুল...”

“তুই কি গাধা? এক্সেস পেমেন্ট করলে নেক্সট মান্থগুলোয় অ্যাডজাস্ট করা যেত না? খুব যেত। তা তোর ফ্যামিলি প্রবলেম হয়েছে বলিসনি তো? কী হয়েছে রে? আকিঞ্চনদা ঠিক আছেন তো?”

কস্তুরী কী বলবে ভাবছিল, এমন সময় পাশের পার্টিশন থেকে অদ্রিজার রিভলভিং চেয়ার গড়িয়ে এল, “ওর ফ্যামিলি নয়, ওর সিরিয়ালমিলিতে গ্যাঁড়াকল হয়েছে।”

“ক্কী? সিরিয়ালমিলি?”

“তোকে বলছি। অদ্রিজা জানে। আর কাউকে বলিস না।”

সবটা শুনে তমালিকা প্রায় নেচে উঠল, “মাইরি? কই দেখি, দেখা। ইসস, তা হলে এ বার আমার একটা হিল্লে হবে।”

“তার মানে? তুইও কি মিশুকের...”

“আরে না না। মিশুক মেয়েটা ভাল, তবে আমার ফেভারিট অলক্তিকা।”

“অলক্তিকা... কোন ক্যারেক্টারটা?”

“আরে ‘মিসেস বস’ বলে একটা কমেডি সোপ হয় না? ওর লিড।”

কস্তুরী বলে, “হ্যাঁ, হ্যাঁ। দেখেছি তো বেশ কয়েক বার। ও তো চান্দ্রেয়ী।”

“আরে বোকা, সেটা ওর ক্যারেক্টার নেম। তোরটার যেমন রিখি সেন। চান্দ্রেয়ীর আসল নাম অলক্তিকা সমাজদার।”

“কিন্তু তাতে হিল্লে মানে?”

“বুঝলি না? আসলে এই সব সেলেব্রিটিরা কমন ফ্রেন্ড না থাকলে অ্যাকসেপ্ট করতে চায় না। তুই রিখি সেনের ফ্রেন্ড হলি। তুই আবার আমার ফ্রেন্ড। তা হলে চান্দ্রেয়ী কী দেখবে? আমার বন্ধুর বন্ধু রিখি সেন, আই মিন মিশুক মুখার্জি। ব্যস। অ্যাকসেপ্টেড।”

“ধুর, এই ভাবে হয় না কি?”

ফের অদ্রিজার মুন্ডু উঁকি মারল, “অ্যাই তোরা থামবি? যত্তসব ফালতু ডিসকাশন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement