পূর্বানুবৃত্তি: মনুভাইয়ের কথামতো সাপ্লাই পাঠাতে না পারার মতো লজ্জার কথা বাবুরাওয়ের কাছে আর দু’টো নেই। উসমানভাইয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য ইনস্পেক্টর যশবন্ত তাওড়েকে পাঠায় বাবুরাও। সে এসে উসমানভাইকে এনকাউন্টারের ভয় দেখিয়ে বাবুরাওয়ের কাজ তাড়াতাড়ি করে দিতে বলে। অন্য দিকে, রুদ্রকে মিশনে রাজি করাতে না পেরে হতাশ হন মজিদসাহেব। বিফল মন নিয়ে তিনি ফিরে যান। তবু ক্ষীণ আশায় তাঁর ফোন নম্বরটা রেখে যান শ্রীপর্ণার কাছে।
কিমের ঠিক মুখোমুখি একটা হাতলভাঙা কাঠের চেয়ারে বসা সদানন্দ সিসোদিয়া। সোনাগাছিতে তিনপুরুষের খানদানি দালাল। তালঢ্যাঙা চেহারা। মাঝে মাঝেই এখানে এবং আশপাশের গ্রামগুলোয় আসে সদানন্দ। শুধু ও কেন, ওর লাইনের, ওর ভাইবেরাদর লোকজনরাও নিয়মিত ঢুঁ মারে এ সব দিকে। ধান্দা তো একটাই। ওদের লব্জে— ‘চামড়ি খরিদনা’, সোজা কথায় মেয়েমানুষ কেনা।
খুব নিচু গলায় কিম বাহাদুরের সঙ্গে কথা বলছিল সদানন্দ। কিম বাহাদুর, আপাতদৃষ্টিতে কুতকুতে ভাবলেশহীন এক জোড়া চোখ। কিন্তু মনের মধ্যে হাজারো প্রশ্নের তোলপাড়। নেপালের এই সব দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে ওদের মতো অনেক আদিবাসী জনজাতিদের মধ্যেই ঘরের মেয়ে-বৌদের ওই সব পাড়ার দালালদের কাছে বিক্রি করাটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। একটা প্রথার মতো। দু’টো কায়দায় এই বিকিকিনির ধান্দাটা চলে। ‘একাই’ আর ‘বারবারি’। একটা মেয়ে কলকাতার সোনাগাছি অথবা মুম্বইয়ের কামাথিপুরায় গিয়ে ধান্দায় নামবে। মাসে মাসে বাড়িতে টাকা পাঠাবে। বাড়ির লোকজন মাঝে মাঝে মেয়ের কাছে ঘুরতে যাবে। মেয়েরাও বছরে দু’বছরে এক-আধ বার বাড়িতে আসবে। মোট কথা মেয়ের সঙ্গে বাড়ির লোকের যোগাযোগ থাকবে, মেয়ের কামানো টাকায় সংসার চলবে। এই কায়দাটার নাম ‘বারবারি’। কিম বাহাদুরের বড়মেয়ে লছমিও এ ভাবেই রয়েছে দিল্লির জি বি রোডে। মাস গেলে টাকা পাঠায় নিয়ম করে। এখানে এই বারবারি নিয়মটাই চলে বেশি। কিন্তু কিম লক্ষ করছে, মাসকয়েক ধরে ওর নিজের এবং আশপাশের দু-দশটা গাঁয়ে ‘একাই’-এর ধান্দাটা বেড়ে গেছে খুব। এই কায়দাটা বেশ খানিকটা খতরনাকও বটে। এ নিয়মে একটা মেয়েকে এক থোকে টাকা দিয়ে বরাবরের জন্য কিনে নেওয়া হবে। তার পর সে মেয়ের কী হল, কোথায় রইল, এ সব কোনও কিছুই মেয়ের বাড়ির লোকজন জানতে পারবে না, অথবা দালাল বা খদ্দেরদের এ ব্যাপারে একটা কথাও জিজ্ঞেস করতে পারবে না। একে ওই সব পাড়ার ভাষায় ‘ছুকরি কেনা’ বা ‘ছোকরি খরিদনা’-ও বলা হয়। কিম বাহাদুর জানে সেটা। ও এটাও জানে, এই কায়দায় একটা মেয়ের দাম চড়ে যায় অনেক গুণ বেশি। কারণ টাকাটা এক বারই পাওয়া যাবে। একটা মেয়ে, সে যত সুন্দরী আর কমবয়সি হবে, তার দামও চড়বে পাল্লা দিয়ে। এই যেমন এই মুহূর্তে চড়ছে। কথার ফাঁকে ফাঁকে থেকে থেকে দাম বাড়াচ্ছে সদানন্দ দালাল। দম চেপে অপেক্ষা করছে কিম বাহাদুর। আরও একটু চড়ুক দামটা, আরও একটু, আরও... অবশেষে এক সময় হাসি ফুটল কিমবাহাদুরের কুতকুতে চোখদু’টোয়। উনুনের সামনে বসে থাকা তাশিকে কিছু একটা বলল দুর্বোধ্য আদিবাসী ভাষায়। উঠে গিয়ে কাঠের তাক থেকে একটা রকসির বোতল পেড়ে আনল তাশি। স্থানীয় দিশি মদ। ছিপি খুলতেই তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধে ভরে গেল ছোট ঘরটা। তিনটে গেলাসে ঢেলে একটা সদানন্দর দিকে এগিয়ে দিল তাশি। এর মানে, কথাবার্তা পাকা হল। পেটের ভাত উঠে আসছে গা-গুলোনো উৎকট গন্ধে। কিন্তু কিছু করার নেই। এটাই এদের প্রথা। না খেলে ডিল পাক্কা হবে না। ‘সালে মাদার…’ মনে মনে একটা কাঁচা গালাগাল দিয়ে পাঁচনগেলা মুখ করে গেলাসে চুমুক দিল সদানন্দ সিসোদিয়া।
ঘরের আর এক কোণে পাতা আর একটা খাটিয়া। আকারে কিছুটা ছোট। আপাদমস্তক কম্বলে মুড়ি দিয়ে ভেতর থেকে পেট খামচে উঠে আসা শিরশিরানি ভয়টাকে সামলানোর প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছিল ফুল্লি। কিম আর তাশির ছোট মেয়ে। বয়েস বছর পনেরো। ফুলের মতো টুকটুকে মিষ্টি চেহারা। ফুল্লি জানে রকসির বোতল খোলা হয়েছে মানে পাকা কথা হয়ে গেছে। এটাই নিয়ম এখানে। এক-একটা বোতল খোলা মানে এক-একটা মেয়ের চলে যাওয়া গ্রাম থেকে। ওর দিদিও এই ভাবেই গেছে। তবুও বুক ফাটিয়ে উঠে আসতে চাওয়া প্রচণ্ড ভয় আর ককিয়ে ওঠা কান্নাটা যে সামলানো যাচ্ছে না কিছুতেই। বিছানার চাদরটা খামচে ধরে ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ফুঁপিয়ে উঠল ফুল্লি।
গভীর নিশুতি রাত। মরণঘুমে অচেতন সুন্দরবনের অজ পাড়াগাঁ। আলরাস্তার ওপর অনেকটা দূর থেকেই দেখা যাচ্ছিল বার বার জ্বলে ওঠা ছোট আগুনের ফুলকিটা। দাওয়ায় বসে একটার পর একটা সিগারেট খেয়ে চলেছে রুদ্র। রাতের পর রাত ঘুম আসছে না কিছুতেই। মজিদসাহেব
চলে গেছেন তিন দিন হল, কিন্তু ওর শেষ কথাগুলো এখনও প্রতিটি মুহূর্তে হাতুড়ি পিটিয়ে চলেছে
মনের মধ্যে। প্রত্যেকটা ঘায়ে ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে ভেতরটা।
“মেয়েগুলো চিৎকার করে ডাকছে আপনাকে— ‘বাঁচাও, বাঁচাও আমাদের!’ আপনি সাড়া দিচ্ছেন না...” কথাটা মনে পড়লেই কানের মধ্যে গরম সিসে ঢেলে দেওয়ার মতো তীব্র যন্ত্রণার অনুভূতি একটা! মৃগীগ্রস্ত রোগীর মতো ছটফটিয়ে উঠে দাঁড়াল রুদ্র। কাঁপা কাঁপা হাতে ফতুয়ার পকেট হাতড়ে সিগারেটের প্যাকেট আর লাইটারটা বার করে আনতে যাচ্ছে ফের, ঠিক তখনই পেছন থেকে কাঁধে আলতো হাতের স্পর্শ, “আর খেয়ো না।”
শ্রীপর্ণা। কখন যেন নিঃশব্দে এসে দাঁড়িয়েছে দাওয়ায়। উথালপাথাল একটা ঘোরের মধ্যে থাকা রুদ্র, খেয়ালই করেনি।
“বোসো,” হাত ধরে রুদ্রকে দাওয়ায় বসাল শ্রীপর্ণা। চোখ সরাসরি রুদ্রর চোখে। “আমার কয়েকটা কথা মন দিয়ে শোনো এ বার,” মৃদু, শান্ত কণ্ঠস্বর আরও শান্ত এখন, “অনেকগুলো বছর হয়ে গেল একে অন্যকে দেখে আসছি আমরা। এত দিনে তুমি আমাকে কতটুকু চিনেছ জানি না, তবে তোমাকে আমি অনেকটাই চিনেছি। তাই বলতে পারি, তোমার যে কাজের জগৎ তুমি পিছনে ফেলে চলে এসেছ অনেক দিন হল, আসলে সেটাকে যতটা ভালবাসো আবার ততটাই ঘৃণা করো তুমি। তোমার প্রফেশন্যাল হ্যাজ়ার্ডস, কমপ্লিকেসি, ডেঞ্জার অ্যান্ড ডার্ক সাইডগুলোর মতো নেগেটিভ সব ব্যাপার থেকে যত বেশি দূরে সরে থাকতে চেয়েছ, তত বেশি বেশি করে ওগুলো কাছে টেনেছে তোমাকে। আসলে ওই কাজটা তোমার ডেস্টিনি। ওটা ছাড়া বাঁচবে না তুমি। আমার কথা শোনো, কাল সকালে মজিদসাহেবকে ফোন করে জানিয়ে দাও, তুমি কাজটা নিচ্ছ।”
“তুমি… তুমি এই কথা বলছ পর্ণা!” আবেগে বিস্ময়ে কথা আটকে যাচ্ছিল রুদ্রর। “বলছি, তোমাকে খুব ভাল করে চিনি বলে। একই সঙ্গে এও জানি ওখানে পার্মানেন্টলি কখনও থাকতে পারবে না তুমি, ফিরে আসবে এই এখানেই,” বলতে বলতে রুদ্রর মাথাটা বুকে টেনে নিল শ্রীপর্ণা, “যে দিন একটা ভাঙাচোরা মানুষ হয়ে এখানে এসেছিলে, একটু আশ্রয় চেয়েছিলে, ফেরাইনি তোমাকে। এ বার আমি কিছু চাইছি তোমার কাছে, বলো দেবে!”
“কী?” গলা বুজে আসছিল রুদ্রর। এই ছোট্ট একটা শব্দ উচ্চারণ করতে অনেকটা সময় লাগল যেন। প্রশ্নের জবাবে চোখ তুলে তাকাল শ্রীপর্ণা। থিরথিরে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, “আবার একটা মিমো চাই আমার। পাব?” জবাবে সপাট আলিঙ্গনে শ্রীপর্ণার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিল রুদ্র। আর কোনও কথা নেই। চারপাশের নিস্তব্ধতা আরও গভীর ভাবে নিশ্চুপ এখন এই মুহূর্তে, এই অপার আদিম নৈকট্যের কাছে। অনেক দিন, প্রায় বছরদুয়েক পর, একই ঘরে পাশাপাশি দু’টো আলাদা বিছানায় রাত কাটানো, বিস্তর মানসিক ব্যবধানের দুর্লঙ্ঘ্য দেয়ালটা কিছুতেই অতিক্রম না করতে পারা দুই নরনারী এ ভাবেই হঠাৎ কাছে চলে এল আবার।
পরদিন ভোর ছ’টা। পুলিশ আবাসনের ফ্ল্যাটে গভীর শীতঘুমে নিমজ্জিত মজিদ আলি। হঠাৎই তার তীব্র নাসিকাগর্জন ছাপিয়ে কর্ণকুহরে গিন্নির ঘুমজড়ানো বিরক্তিমাখা কণ্ঠস্বর, “বলি কানের মাথা কি খেয়েছেন, কখন থেকে ফোন বাজছে যে!” ধড়মড় করে উঠে মোবাইলটা কানে তুলতেই বহুদিনের চেনা সেই ব্যারিটোন গমগম করে ওঠে—“আমি আসছি মজিদসাহেব।”
কলকাতার দিক থেকে সল্টলেক হয়ে রাজারহাট নিউটাউনের দিকে ক্রমাগত এগোতে থাকলে মনে হয়, শুধু শহর কেন, পুরো
দুনিয়াটার সীমানাই বোধহয় শেষ হয়ে যাবে আর কিছু ক্ষণের মধ্যে। নেচার পার্ক ছাড়িয়ে আধ ঘণ্টা মতো যাওয়ার পর এই অনুভূতি বাড়তে থাকে উত্তরোত্তর। রাস্তার দু’ধারে সার সার হাইরাইজ়ের খাঁচা। অধিকাংশই অসম্পূর্ণ। মাঝে মাঝেই অসমান, এবড়োখেবড়ো ঘাসজমি আর আগাছার ঝোপ। ফুটপাতে এ দিক-ও দিক ছড়িয়ে থাকা লোহার রড, স্টোন চিপস, বালি আর সিমেন্টের বস্তা। রাত আটটা নাগাদ প্রায়
নির্জন রাস্তা ধরে হু-হু করে ছুটছিল লালরঙা
হাজার সিসির একটা প্রাইভেট কার। সামনে চৌরাস্তাটার মোড়ে এসে বাঁ দিকে টার্ন নিল গাড়িটা। মিটারবিশেক এগিয়ে রাস্তার বাঁ ফুটে সদ্যসমাপ্ত একটা বহুতল। দরজার সামনে গিয়ে হর্ন বাজাল গাড়ি। ভেতর থেকে দরজা খুলে দিল সিকিয়োরিটির লোক। ভেতরে ঢুকে সোজা গিয়ে পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে পড়ল গাড়িটা। দ্রুত নেমে গিয়ে পিছনের দরজা খুলে দিল ড্রাইভার। গাড়ি থেকে নামল আগ্রাওয়ালি কৌশল্যা সিং। বয়স বছর পঞ্চান্ন। সোনাগাছিতে তিনটে বিলাসবহুল লাইনবাড়ির মালকিন। গা-ভর্তি ভারী ভারী সোনার গয়না। গায়ে সাদার ওপর কালো নকশা তোলা কলমকারি শাড়ি, তার ওপর একটা দামি শাল জড়ানো। চারপাশটা এক বার ভাল করে নজর চালিয়ে দেখে নিল কৌশল্যা। তার পর ঘুরে তাকাল ড্রাইভার ছোকরার দিকে, “তু এঁহি ঠ্যহের যা। আমি পাঁচ মিনিটের মধ্যে আসছি।” লিফটের দিকে এগিয়ে গেল কৌশল্যা।
তিন তলায় উঠে লিফটের সামনে আর ডান দিকে পর পর দুটো ফ্ল্যাট। দু’টোই কৌশল্যার। আর কোনও ফ্ল্যাট নেই এই ফ্লোরে। ওর কারবারে কেউ তাকঝাঁক করুক, এটা একদম চায় না কৌশল্যা। সামনের ফ্ল্যাটটার দরজার সামনে মজবুত লোহার কোল্যাপসিবল গেট। নামী কোম্পানির গাম্বাট সাইজের পেতলের তালা ঝুলছে একটা। এক ধারে ডোরবেল। বেল বাজাল না কৌশল্যা। গুনে গুনে তিনটে খুব মৃদু টোকা দরজায়। দরজা খুলল কিষান। ফ্ল্যাটদু’টোর পাহারাদার। মাঝারি উচ্চতা। নিকষ কালো গায়ের রং। দু’মানুষ সমান চওড়া কাঁধ। পেশি-খেলানো দু’টো হাত গাছের গুঁড়ির মতো। পরিষ্কার করে কামানো মাথা। নাকের নীচে মোটা পাকানো মোচ। এই শীতেও গায়ে একটা জালি গেঞ্জি আর ৮০-৮০ জরি পাড়ের লুঙ্গি। গাঁজার নেশায় রক্তলাল দু’টো চোখ। কৌশল্যার ডান হাত। দীর্ঘ কালের শাগরেদ। খুব বাচ্চা বাচ্চা ইসপেশাল ছুকরিদের এখানে এনে রাখে কৌশল্যা। সোনাগাছিতে শালা অনেক ফৈজত। যখন-তখন মামুদের রেড, এনজিও-ওয়ালিদের ঘোরাঘুরি, এ সব থেকে বাঁচতেই এই বন্দোবস্ত। তবে শুধু কৌশল্যা নয়, লাইনপাড়ার অনেক বড় বড় মালকিন আর বাড়িওয়ালিরাও এই একই তরিকা ইস্তেমাল করে। ফলে এ রকম অনেক ফ্ল্যাট ছড়িয়ে রয়েছে এই সব শরিফ মহল্লার আড়ালে, সল্টলেক, রাজারহাট , নিউটাউন অঞ্চলে। কৌশল্যার এই দু’টো ফ্ল্যাটের পুরা জিম্মাদার কিষান। ওর থাবার তলায় একদম মেহফুজ (সুরক্ষিত) থাকে মেয়েগুলো। ওর দিক থেকে কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই, কারণ মেয়েমানুষের কোনও নেশাই নেই কিষানের। মাসে দু’-চার বার চিকনা দেখে দু’-একটা কমবয়েসি লওন্ডা পাঠিয়ে দাও, সঙ্গে হর হফতায় দু’-চার থাম উমদা গাঁজা আর কালেভদ্রে গঙ্গার ঘাটে কুস্তির আখড়ায় দাঁওপ্যাঁচ... ব্যস, এতেই খুশি কিষান। কৌশল্যার মাঝে মাঝে মনে হয়, কিষানের গায়ে কত তাগদ সেটা ও নিজেই জানে না। এ রকম চেহারার লোকজনদেরই বোধহয় আগেকার মুনিঋষিরা রাক্ষস বলেছিলেন।
ক্রমশ