ছবি: দীপঙ্কর ভৌমিক।
তবে স্যর, মেয়েগুলোকে কৌশল্যার জিম্মায় জমা করে দেওয়ার পর ওদের কী হয়েছে, কোথায় গেছে, অনেক রগড়েও বের করা যায়নি শালার মুখ থেকে!” হতাশায় কাঁধ ঝাঁকালেন মজিদ, “আমার মনে হয়, শুয়ারটা কিছু জানে না এ ব্যাপারে। নইলে সুনীল আর আমি যা আদরযত্ন করেছি, তাতে মনে হয় জানা থাকলে এত ক্ষণে উগরে দিত। আপনি একটু জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখবেন না কি?”
জবাবে মজিদের দিকে চেয়ে মুচকি হাসল রুদ্র, “আপনাদের যত্নআত্তিতেও যখন কিছু বলতে পারেনি, তখন এ ব্যাপারে সত্যিই কিছু জানে না ও। আলটিমেটলি বেচারি মেয়েগুলোর কপালে ঠিক কী জুটেছে, সেটা পুরো র্যাকেটটা জালে তোলার পরই বোঝা যাবে। আমি সন্তোষীকে নিয়ে রেডে বেরোব সোনাগাছি আর রাজারহাট। আপনি আর সুনীল কালকেই ভোরের যে কোনও ফ্লাইটে রওয়ানা হয়ে যান নর্থ বেঙ্গল। আমি এক্ষুনি বড়সায়েবকে বলে অর্ডার করিয়ে দিচ্ছি। অর্ডারের কপি পাঠিয়ে দেব আপনার হোয়াটস্অ্যাপে। নেমেই গাড়ি নিয়ে সিধে ওই এরিয়ার লোকাল পি এস-এ যাবেন। প্রায়র ইন্টিমেশন দেবেন না। সোজা ওসির চেম্বারে ঢুকে অর্ডারটা দেখাবেন। ফোর্স নিয়ে তবেই স্পটে যাবেন। অর্ডারে সব লেখা থাকবে। আর তুই,” সুনীলের দিকে ঘুরে তাকাল রুদ্র, বলল “গত বার তুই-ই তো ছিলি সন্তোষীর সঙ্গে? ওই ভিকি মালটাকে ঠিকঠাক আইডেন্টিফাই করতে পারবি তো?”
উত্তরে সঙ্গে সঙ্গে ঘাড় নাড়ল সুনীল, “আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন স্যর। ফার্স্ট চান্সেই মালটাকে ঝোলায় পুরে ফেলব।”
“ঠিক আছে,” সন্তুষ্টির ছাপ রুদ্রর গলায়, “আর দেখিস, মজিদসায়েবকে যেন বেশি দৌড়ঝাঁপের ধকল পোয়াতে না হয়, মাথায় রাখবি ব্যাপারটা। একদম এক্সট্রিম স্টেজে না গেলে ফায়ার ওপেন করবি না কখনওই। মনে থাকবে?”
“ইয়েস স্যর!” লকআপের মেঝেয় পা ঠুকে জবাব দিল সুনীল।
পাশে দাঁড়ানো মজিদসাহেব। কেমন যেন একটা কিন্তু-কিন্তু ভাব চোখের কোণে। রুদ্রর তীক্ষ্ণ নজর এড়াল না সেটা, “কিছু বলবেন মজিদসায়েব ?” প্রশ্ন করল রুদ্র।
“বলছিলাম কী স্যর,” সংশয়ের ভাব স্পষ্ট মজিদের গলায়, “কৌশল্যা সিংয়ের রাজারহাটের ওই ফ্ল্যাটটা পাহারা দেয় কিষান নামে একটা লোক। সদানন্দর বয়ানে একটা কাঁচাখেকো দানো নাকি মালটা। গায়ে নাকি দশটা হাতির শক্তি। শা-জোয়ান চেহারার আচ্ছা আচ্ছা পালোয়ানকে মাথার ওপর তুলে মাটিতে আছড়ে ফেলতে পারে ও, নিজের চোখে দেখেছে সদানন্দ। এই রকম একটা ডেঞ্জারাস সিচুয়েশনে আমি আপনার সঙ্গে থাকব না ভেবে মনটা কেমন খুঁতখুঁত করছে স্যর।”
“একদম ভাববেন না মজিদসাহেব,” উজ্জ্বল হাসি রুদ্রর মুখে, “এই যে আপনার খুঁতখুঁতুনি, ইটস নাথিং বাট ইয়োর বেস্ট উইশেস ফর মি। ওটাই নিরাপদে রাখবে আমাকে। তা ছাড়া সন্তোষী রয়েছে, এনাফ ফোর্স যাবে সঙ্গে। নো নিড টু ওয়রি।”
“তবু স্যর, যদি…”
কথার মাঝখানেই মজিদসাহেবকে থামাল রুদ্র, “নো মোর ইফ অ্যান্ড বাট মজিদসায়েব। অনেক রাত হয়েছে, এ বার বাড়ি যান। কাল ভোরে বাগডোগরার ফ্লাইট ধরতে হবে। এজেন্সির সঙ্গে কথা হয়ে গেছে। এইমাত্র হোয়াটস্অ্যাপে আপনাদের টিকিটদুটো কনফার্ম করল। মোবাইলে চেক করে নিন। ওকে? গুড নাইট। হ্যাপি জার্নি!”
মজিদসাহেবকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে হনহন করে এগিয়ে গেল রুদ্র।
পাক্কা তিনটেয় মোবাইলের অ্যালার্মে ঘুম ভেঙে গেল রুদ্রর। সটান বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে ফ্রি-হ্যান্ড স্টাইলে শরীরটাকে খেলিয়ে নিল মিনিটপাঁচেক। কসরত সেরে বাথরুমে ঢুকে ঢুকে গেল দ্রুত পায়ে। বেরিয়ে এসে চুল আঁচড়ানোর জন্য আয়নার সামনে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই সন্তোষীর ফোন, “আমি আর তারক বেরিয়ে পড়েছি স্যর। মিনিটদশেকের মধ্যে পৌঁছব।”
“ঠিক আছে। ফোর্সের সঙ্গে কথা হয়েছে?” প্রশ্ন করল রুদ্র।
“তিনটে গাড়িতে কম্ব্যাট ফোর্সের বাছাই কুড়ি জন। ইন প্লেন ড্রেস অ্যান্ড আর্মড। ওয়েট করবে আমাদের জন্য। বিডন স্ট্রিটের মোড়ে। আপনার অর্ডার পেলে প্রসিড করবে।” জবাব দিল সন্তোষী।
“গুড, আমি নীচে ওয়েট করছি তোমাদের জন্য...” গায়ে জামা গলাতে গলাতে বলল রুদ্র।
শীতের কাকভোর। চারটে বাজতে দশ। কনকনে ঠান্ডা আর ঠাসঘন কুয়াশায় ঘুমিয়ে কাদা সোনাগাছির মতো সদাব্যস্ত মহল্লাও। মোটামুটি ভোর তিনটে থেকে ছটা— এই ঘণ্টাতিনেক এ পাড়ার রেস্ট আওয়ার্স। ইতিউতি দু’-চারটে বাড়ির জানলা দিয়ে ভেসে আসছে নাইটল্যাম্পের আলো। নিঝুম চারপাশ।
ইমাম বক্স লেনের আগের গলিটার মুখে কৌশল্যা সিংয়ের বাড়ির দরজায় পা টিপে টিপে এসে দাঁড়াল রুদ্র আর সন্তোষী। পিছনে ফোর্সের আরও জনাপাঁচেক। জেরায় আর এক বাড়িওয়ালি আর দু’-চার জন দালালের নাম করেছে সদানন্দ। তাদের কোন কোন বাড়ি থেকে তুলতে হবে, বাকিদের সবাইকে ভাল করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এগিয়ে গিয়ে দরজায় কড়া নাড়ল সন্তোষী। সাড়াশব্দ নেই। বারতিনেক জোরে জোরে খটখটানোর পর, “কওন হ্যায়!” একটা বিরক্ত গেঁজেল গলার আওয়াজ ভেসে এল ভেতর থেকে।
“পুলিশ হ্যায়, দরওয়াজা খোল,” কড়া গলায় বলল সন্তোষী।
“আভি নহি হোগা, মালকিন আভি সো রহি হ্যায়, কাল দশ বাজে আও।”
“দরওয়াজা নহি খোলোগে তো তোড়কে ঘুসেঙ্গে,” হুমকে উঠল রুদ্র।
“ঠ্যয়রো। পুছকে আ রহেঁ...” মিলিয়ে গেল গলার আওয়াজটা।
মিনিট দশেক পর। একতলার ঘরটায় কৌশল্যার মুখোমুখি বসা রুদ্র আর সন্তোষী। সদানন্দর বয়ানটা চলছে সন্তোষীর মোবাইলে। মিনিট কুড়ি পর মোবাইল বন্ধ করে কৌশল্যার দিকে তাকাল সন্তোষী।
“বুঝতেই পারছ, তোমার কুত্তা ঘেউঘেউ করে সব বমি করে দিয়েছে লক-আপে। এ বার ভাল কথায় যাবে, না টেনে নিয়ে যাব?”
“কোই জরুরত নেহি। হাম খুদ হি চলেঙ্গে,” বলে খাট ছেড়ে উঠে দাঁড়াল কৌশল্যা সিং।
লিবার্টি সিনেমার সামনে এসে পিছনের সব ক’টা গাড়িকে হাতের ইশারায় দাঁড়াতে বলল তারক। পিছনের গাড়িটা থেকে নেমে তড়িঘড়ি রুদ্রদের গাড়ির সামনে এগিয়ে এলেন কমব্যাট ফোর্সের এক জন এ এস আই।
“ইয়েস স্যর, এনি প্রবলেম?”
“আমাদের একটা অন্য কাজে যেতে হবে। আপনি এক কাজ করুন, কৌশল্যা সিং-সমেত যত জন অ্যারেস্ট হয়েছে, সবাইকে নিয়ে হেডকোয়ার্টার চলে যান। লক-আপ করুন সবক’টাকে। কেস কানেকশন যা দেওয়ার আমি এসে দেব। সমস্যা হলে ফোন করবেন আমাকে। আর আপনার স্কোয়াড থেকে এক জন মহিলা সমেত টাফ তিন জনকে পাঠিয়ে দিন আমার গাড়িতে। আমাদের সঙ্গে যাবে ওরা,” আদেশের সুর স্পষ্ট রুদ্রর গলায়।
“ইয়েস স্যর!” স্যালুট ঠুকে চলে গেলেন সাব ইনস্পেক্টরটি। পরমুহূর্তেই পিছনের গাড়িগুলো থেকে কম্ব্যাট ফোর্সের তিন জন চলে এল রুদ্রদের গাড়িতে। ইঞ্জিনের গর্জন তুলে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে বেরিয়ে গেল তিনটে গাড়ি। পিছনে বসা সন্তোষীর দিকে ঘুরে তাকাল রুদ্র, “মজিদসায়েব বলছিলেন, রাজারহাটের ওই ফ্ল্যাটে নাকি একটা রাক্ষস পুষে রেখেছে কৌশল্যা সিং। লেটস সি, হাউ গুড দিস ডেমন ইজ়। গাড়ি ঘোরা তারক।”
মহল্লার সামনে চায়ের দোকানের বেঞ্চে শাগরেদদের নিয়ে গুলতানি মারছিল ভিকি। উত্তরবাংলার কড়া শীতে গায়ে মোটা কম্বল ধরনের আলোয়ান। হাতে ধোঁয়া-ওঠা পোয়াপাত্তি চায়ের গ্লাস। হঠাৎই তার কাঁধে একটা গোদা হাতের চাপড়, “ক্যা রে ভিকি, কা খবর? বহোত দিন মুলাকাত নহি হুয়া তুঝসে।”
চমকে উঠে ঘাড় ঘোরাল ভিকি! আরে, এ তো সেই উর্দিওয়ালা লোকটা! ওই যে সেই নেপালি ম্যাডামের সঙ্গে এসেছিল মাসখানেক আগে। তত ক্ষণে বাঘের মতো পাঞ্জায় ঘাড়ের কাছে ভিকির আলোয়ানটা আঁকড়ে ধরেছে সুনীল। মুহূর্তের উপস্থিত বুদ্ধিতে এক ঝটকায় আলোয়ানটা খুলে ফেলে তিরবেগে মহল্লার ভেতর দৌড় লাগাল দৌড় লাগাল ভিকি। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব সুনীল! হাত ফস্কে শিকার পালাচ্ছে! সেকেন্ডের মধ্যে সেটা কাটিয়ে মজিদের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে উঠল সুনীল, “মজিদসাহেব! আপনি বাকিগুলোকে সামলান! আমি ওটাকে দেখছি।” বলেই ধাওয়া করলো ভিকির পিছনে। তত ক্ষণে কোমরের পিস্তল হাতে উঠে এসেছে মজিদের। হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন বেঞ্চে বসা ভিকির শাগরেদদের দিকে তাকিয়ে, “এক শালাও এক ইঞ্চি নড়েছিস তো খোপড়ি ফুটো করে দেব!” বলেই ঝটিতি ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেন লোকাল থানার লোকেদের দিকে, “আপনাদের মধ্যে দু’জন যান সুনীলের সঙ্গে! ওকে ব্যাক আপ দিন ইমিডিয়েটলি!” আদেশ পাওয়ামাত্র থানার দুই কনস্টেবল দৌড়ল সুনীলের পিছু পিছু।
মহল্লার গলিঘুঁজি ধরে পালাতে পালাতে ঝোপঝাড় ভর্তি একটা খোলা জায়গায় এসে পড়ল ভিকি। মিটারবিশেক দুরে ন্যাশনাল হাইওয়ে। সে দিকে দৌড় লাগাল প্রাণপণে। হাইওয়ে ধরে দৌড়তে দৌড়তেই ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাল এক ঝলক। পাশ দিয়ে দুরন্ত গতিতে ছুটে যাচ্ছে বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার। পেছনে খেপা যমদূতের মতো দৌড়ে আসছে লোকটা। প্রতি মুহূর্তে ভিকির কলজের সব হাওয়া যেন স্পঞ্জের মতো শুষে নিচ্ছিল কেউ। দু’জনের মধ্যে দূরত্ব যখন ফুটচারেক, উড়ে গিয়ে ভিকির পিঠে একটা মোক্ষম লাথি কষাল সুনীল। মেল ট্রেনে ধাক্কা খাওয়া মানুষের মতো হাতদশেক দূরে ছিটকে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল ভিকি। বাঘের মতো ছুটে গিয়ে ওর পিঠে চেপে বসল সুনীল। হ্যাঁচকা টানে ভিকির মুখটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে গরগর করে উঠল বাজ-পড়া গলায়, “বেকার এত মেহনত করলি রে শুয়োরের বাচ্চা। পাতালে গিয়ে ছুপলেও তোকে ওখান থেকে টেনে বের করতাম, বেহেন—!”
তত ক্ষণে পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে লোকাল থানার দুই কনস্টেবল। এসে পড়েছে থানার জিপও। হাইওয়ের ওপর গাড়ির চালকরা বিস্ময়স্তব্ধ চোখে দেখছিল রোমহর্ষক এই তাড়া করার দৃশ্য! তাদের সবার বিস্মিত চোখের সামনে দিয়ে ভিকিকে একটা দলাপাকানো পুঁটলির মতো জিপের মধ্যে ছুড়ে দিল সুনীল। তার পর নিজে লাফিয়ে উঠে বসল গাড়িতে। পিছনে পিছনে দুই সেপাই। ধোঁয়া ছেড়ে হাইওয়ে ধরে বেরিয়ে গেল থানার পুরনো জিপ।
লিফ্ট দিয়ে উঠে বাঁ দিকে ফ্ল্যাট। মজবুত দরজা। সামনে লোহার কোল্যাপসিবল গেট। দরজার সামনে ঝোলানো লেবু-লঙ্কা। বেশ কয়েকবার ডোরবেল বাজানোর পর যে লোকটা দরজা খুলল, তাকে দেখে ছেলেবেলায় পড়া মহাভারতের একটা ছবি ভেসে উঠল রুদ্রর মনের মধ্যে। ঘটোৎকচ! উচ্চতায় রুদ্রর চাইতে ইঞ্চিদুয়েক বেশি বই কম নয়। মাথা আর কাঁধের মাঝখানে ঘাড় প্রায় অনুপস্থিত, সে জায়গাটায় মোটা তিন থাক মাংসল ভাঁজ। পরিষ্কার কামানো মাথার মাঝখানে শুধু একগোছা চুল, তাও গুঁড়ি গুঁড়ি করে ছাঁটা। তালগাছের গুঁড়ির মতো দুটো হাত। এই শীতেও পরনে স্রেফ একটা ফতুয়া আর লুঙ্গি। ঢুলুঢুলু দুটো চোখ। ঠোঁটের কোণে জান্তব একটা হাসি। মজিদসায়েব ঠিকই বলেছিলেন, ভাবল রুদ্র। আদিকালে এদেরই বোধহয় রাক্ষস বা দানব বলা হত।
“দরজা খোল,” ঠান্ডা গলায় বলল রুদ্র।
“আগর নেহি খোলা তো?” চূড়ান্ত স্পর্ধা আর অবহেলা মেশানো একটা হাসি হাসল লোকটা। মুহূর্তের মধ্যে কোমরের পিস্তল হাতে উঠে এল রুদ্রর। দেখাদেখি সন্তোষীরও।
কিষানের দিকে চেয়ে ধমকে উঠল রুদ্র, “দরওয়াজা খোল, নেহি তো গোলিমার দেঙ্গে!”
স্থির পাথরের মতো চোখে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে রইল কিষান। তার পর তালা খুলে এক হ্যাঁচকা টানে ফাঁক করে দিল দরজাটা।
হুড়মুড়িয়ে ভিতরে ঢুকে পড়ল সবাই। আর ঠিক তখনই, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে কম্ব্যাট ফোর্সের এক জন, সোজা এগিয়ে গিয়ে চেপে ধরল কিষানের ফতুয়ার কলারটা, “এ বার মামাবাড়ি চল!”