ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৮
Bengali Story

হাওয়ার আড়ালে

আচমকাই স্বর্ণেন্দুকে জড়িয়ে ধরল মেহুলি। প্রথমে চমকে গেলেও স্বর্ণেন্দু স্মিত হেসে আলতো জড়িয়ে ধরে মেহুলির মাথার চুলে একটা চুমু খেলেন।

Advertisement

অজিতেশ নাগ

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:৩২
Share:

ছবি: পিয়ালী বালা।

পূর্বানুবৃত্তি: মাঠ পেরিয়ে যে ভদ্রলোকের সঙ্গে মেহুলির দেখা হল, তাঁর নাম স্বর্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি এক জন লেখক। লেখালিখির জন্যই তাঁর অজ্ঞাতবাস। ইলেকট্রিক নেই, ব্যাটারির আলোয় কাজ করেন তিনি। স্থানীয় লোকজন তাঁকে জল ও খাবার দিয়ে যায়। সেই ছোট্ট ঘরেই মেহুলির সঙ্গে ভদ্রলোকের নানা কথা হয়। কথায় কথায় তারা বেরিয়ে আসে ঘরের বাইরে। মেহুলি জানতে পারে, ভদ্রলোকের বাবা-মা মারা গিয়েছেন। তিনি বিয়ে করেননি। কাজের লোক, রান্নার লোক আছে তাঁর।

Advertisement

মেহুলি আর কোনও কথা না বলে মাথার উপরের বিশাল আকাশটার দিকে তাকাল। উফ! ওদের বাড়ির ছাদ থেকে যে আকাশটা দেখা যায়, সেটা এত বড় নয়। ছেলেবেলায় বাপি-মার সঙ্গে এক বার বিড়লা প্ল্যানেটারিয়ামে গিয়ে এই রকম আকাশের নীচে বসে একটা শো দেখেছিল। কিন্তু ওটা নকল, এটা আসল। আসল জিনিসের মজাই আলাদা। একমনে সে আকাশটা দেখছিল। স্বর্ণেন্দু নীরবতা ভাঙলেন, “তুমি আমার খুব উপকার করলে যা হোক।”

অবাক হল মেহুলি, “আমি! কী ভাবে?”

Advertisement

“উপন্যাসের একটা জায়গায় আটকে গিয়েছিলাম। তুমি আসার ঘণ্টাখানেক আগেও চুপ করে বসে ছিলাম। একটা জায়গায় নায়ক আর নায়িকার প্রচণ্ড ঝগড়া। কথা কাটাকাটি। তার পর নায়ক রেগেমেগে চলে গেল। চলে তো গেল, কিন্তু এমন জায়গায় নায়িকাকে ছেড়ে গেল যে সে আর কহতব্য নয়। সামনে বিশাল মাঠের মতো ভ্যালি আর পিছনে নির্জন পাহাড়ি পথ। নায়িকা কী করবে? অনেক ভেবে তিন-চারটে পসিবল ওয়ে মাথায় আসছিল। তুমি আসায় আমি এগজ়্যাক্ট প্লট পেয়ে গেলাম। এ বার নায়িকাকে আমি সেই উপত্যকায় নামাব। সেই ভ্যালিতে পশুপালকদের ঘর থাকবে, তার পর... আচ্ছা বাদ দাও, আমার ব্যাপারে তো অনেক বললাম, তোমার বিষয়ে কিন্তু কিছুই জানতে পারিনি একমাত্র মেহুলি রায়টুকু বাদে।”

“সিগারেট খাওয়ালেন না?”

ভদ্রলোক নিজে একটা ধরিয়ে আর একটা এগিয়ে দিলেন মেহুলির দিকে। মেহুলি একটা টান দিয়ে বুঝল এ জিনিস তার জন্য নয়। বেশ কড়া। তবু জেদের বশে টেনে যেতে লাগল। তবে কিসের জেদ সেটা ঠিক করে ঠাহর করতে না পেরে একটু রাগও আসছে। একটা কাশির দমক এলেও গিলে ফেলল।

ভদ্রলোক বললেন, “আমি তোমার বাড়ির ফেরার ব্যাপারে ভাবছি। চিন্তায় ফেললে।”

“আমাকে নিয়ে টেন্সড হতে হবে না। ডোন্ট ওরি। আমি চলে যাব।”

“জানি না কী বলব, তবে আমার মেয়ে হলে আমি আটকাতাম। কারণ জায়গাটা তো খুব একটা ভাল নয়। রাত হলেই অনেক কিছু হয়। তুমি যেয়ো না, এই কথাটা আমি বলতে পারি তোমায়?”

মেহুলি এই কথার কোনও জবাব দিল না। অন্ধকার মাঠের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকল। একটা কুকুর ডেকে উঠল অনেক দূর থেকে, আর ঠিক তখনই সে অনুভব করল তার বেশ খিদে পেয়েছে। সে জিজ্ঞেস না করে পারল না, “আপনি খাবেন না?”

“হুম। একটু পরে। এখনই খেলে রাতে খিদে পেয়ে যাবে যে।”

এইটুকু বলেই স্বর্ণেন্দুবাবুর খেয়াল হল। তিনি বললেন, “তার মানে তোমার খিদে পেয়েছে। দুপুর থেকে কিছু পেটে পড়েছে?”

“না মানে খেয়েছি... তেমন হেভি কিছু নয়।”

“কী খেয়েছ শুনি?”

“চিলি চিকেন।”

“আর?”

“আর কিছু না।”

“মেহুলি, অন্ধকারকে মিথ্যে বলতে নেই।”

“বাঃ। সুন্দর বললেন তো। আবার বলুন।”

“বলছি, অন্ধকারের সামনে দাঁড়িয়ে মিথ্যে বলতে নেই। অন্ধকার আরও গ্রাস করে।”

“আপনি লেখক মানুষ। তাই কত ভালএকটা কথা বললেন। অন্ধকারকে মিথ্যে বলতে নেই। স্প্লেনডিড!”

“তা হলে?”

“ওকে, বিয়ার নিয়েছিলাম।”

“হুম, জানতাম। তবু তোমার মুখ থেকে শুনতে চাইছিলাম।”

মেহুলি সামান্য অবাক হয়ে তাকাল। ভদ্রলোক হাসলেন, “বলেছি তো অন্ধকারের সামনে মিথ্যে বলতে নেই। খুব সত্যি। তুমি ঘরে এসে বসতেই গন্ধটা হালকা পেয়েছিলাম। তবু তোমার মুখ থেকে শুনতে চাইছিলাম। তুমি ডিনাই করতেই পারতে। করলে না। দ্যাট মিনস, তোমার হৃদয় নির্মল। এ বার গল্পটা বল তো? বয়ফ্রেন্ড কি হার্ট করেছে?”

সামনে দিগন্তবিস্তারী অন্ধকার আছে বলেই কি না কে জানে, মেহুলির এখন খুব ইচ্ছে করছে সব কিছু উগরে দিতে। যেন অনেকটা কষ্ট বমির মতো আটকে আছে গলার কাছে। বলে দিতে পারলেই শান্তি! সে বেশ কিছু ক্ষণ চেষ্টা করেও কিছু বলতে পারল না। একটা দলা-পাকানো ব্যাপার তার গলার কাছে আটকে সব পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিতে লাগল। ভীষণ অস্বস্তি হচ্ছে, ভীষণ অস্বস্তি। হঠাৎ সে অনুভব করল স্বর্ণেন্দুবাবু তার মাথায় হাত রেখেছেন, “খুব কষ্ট হচ্ছে তাই তো? বলতে চাইছ অথচ কোথা থেকে শুরু করবে ভেবে উঠতে পারছ না? সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। রাইট?”

“আপনি বুঝলেন কী করে?”

“আমরা, লেখকেরা এক-এক জন ম্যাজিশিয়ান। সব জানতে পারি।”

“অন্ধকারের সামনে মিথ্যে বলতে নেই।তবুও বলছেন?”

“হা হা হা! এখন সবার আগে তোমার কষ্টটা কমানো দরকার।”

“কী ভাবে?”

“কষ্টের সঙ্গে রাগও হচ্ছে কি? খুউব?”

“হচ্ছে তো। ফাটিয়ে রাগ হচ্ছে।”

“সব লাঠি মেরে ভেঙে ফেলে দিতেচাইছ? রাইট?”

“রাইট। কিন্তু...”

“চেঁচাতে পারো?”

“চেঁচাব! কেন?”

“পারো কি না বল। একদম চিৎকার মানে আটমোস্ট শাউটিং যাকে বলে।”

“কোনও দিন তো চেঁচাইনি। মানে সে ভাবে...”

“এখানে কেউ নেই। খুন করে ফেললেও কেউ আসবে না। তুমি চেঁচাও।”

অগ্রপশ্চাৎ না ভেবে চিৎকার করল মেহুলি। করেই বুঝল, নিজের কানেই কেমন অদ্ভুত শোনাচ্ছে। ভদ্রলোক বললেন, “উঁহু, এই ভাবে নয়। গলা ফাটিয়ে চিৎকার করো। বার বার করো।”

তাই করল মেহুলি। করতে করতেই টের পেল বাঁধ ভাঙছে। ধীরে ধীরে ধসে যাওয়া নয়, একেবারে হুড়মুড় করে তাসের ঘরের মতো ভেঙে চুরচুর হয়ে যাচ্ছে। আর সেই অবাধ, উন্মুক্ত পথে তার সব কষ্ট, সব যন্ত্রণা সারা শরীর ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দুটো চোখের জানলার সামনে সব কিছু ভরা বর্ষার মতো ঝাপসা হয়ে আসছে। সামনে বিশাল অন্ধকার মাঠের উপর দিয়ে তার উচ্চারিত কষ্টের সব ক’টি অক্ষর ভাঙা কাচের মতো গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে মিশে যাচ্ছে, উড়ে যাচ্ছে ওই বহু দূরের অস্পষ্ট সিল্যুটের মতো দাঁড়িয়ে থাকা তাল-নারকেল গাছগুলোর দিকে। মাঠের ওপর দিয়ে হা-হা করে হাওয়া ছুটে এসে অযাচিত ষড়যন্ত্রের মতো মেহুলির চুলগুলো অবিন্যস্ত করে দিয়ে চলে গেল।

মিনিট খানেক পর স্বর্ণেন্দুবাবু ফের তার মাথায় হাত রাখলেন, “হাউ আর ইউ ফিলিং নাউ?”

প্রথমে জবাব দিতে পারল না মেহুলি। যেন সাইক্লোন বয়ে যাওয়ার পর উড়ন্ত শুকনো পাতাগুলো ধীরে ধীরে ফিরে আসছে মাটির বুকে। মেহুলির ভাল লাগছে। মেহুলি হাসল সামান্য, “ভাল, অনেকটাই ভাল। ইউ আর আ গুড ম্যান। থ্যাঙ্কস, থ্যাঙ্কস আ টন।”

আচমকাই স্বর্ণেন্দুকে জড়িয়ে ধরল মেহুলি। প্রথমে চমকে গেলেও স্বর্ণেন্দু স্মিত হেসে আলতো জড়িয়ে ধরে মেহুলির মাথার চুলে একটা চুমু খেলেন। মনে মনে ভাবলেন, মেয়েরা হাতে পায়ে বড় হয়ে গেলেও মনে মনে একদম শিশুই থাকে। পৌষালীর মুখটা এক বার ভেসে উঠল। পৌষালীকে দেখেননি অনেক বছর। বেঁচে আছে কি না, তা জানেন না বটে, তবে বেঁচে থাকলে এই মেয়েটার কাছাকাছি বয়স হবে হয়তো। স্বর্ণেন্দু মনে মনে বললেন, ‘ভাল থাক মা, ভাল থাক।’

পরক্ষণেই মনে হল, যদি তিনি মেহুলিকে বলেন, ‘তুই থাকবি মা, আমার সঙ্গে? থাকবি? বাপে মেয়েতে দিব্যি কেটে যাবে।’ ভাবতেই হেসে ফেললেন স্বর্ণেন্দুবাবু। লেখক হওয়ার সুবাদে আজকাল তার কল্পনার গরু একেবারে পাইন গাছের মাথায় উঠছে। কী সব পাগলামি চিন্তাভাবনা!

“হাসছেন কেন?”

“হাসছি তোমার পাগলামিতে। মজা করলাম। আচ্ছা ছাড়ো, একটা পারমিশন নেব তোমার কাছ থেকে?”

“কী?”

“তোমাকে ‘তুই’ বলব? বেশ ইচ্ছে করছে আমার।”

“তা হলে আপনাকেও আর আপনি-আপনি করছি না। ইট’স আ ডিল?”

দু’জনেই হেসে ফেললেন খিলখিল করে। হাসি থামলে স্বর্ণেন্দুবাবু বললেন, “তোর খিদে পেয়েছে না রে? চল চল, ওসমান কী দিয়ে গেছে দেখি। তোর কষ্ট হবে জানি, ওসমানরা ঝাল দেয় বেশি, তবে ওটা দিয়েই ডিনার সেরে নে।”

“আমার ঝাল খাওয়ার অভ্যেস আছে। বাট, তুমি কী খাবে?”

“টিনে বিস্কুট আছে। চা দিয়ে মেরে দেব। এক প্যাকেট ডায়েট চিঁড়েও আছে। চিন্তা নেই। হয়ে যাবে। একটা তো রাত।”

“তা হয় না কি?”

“বাদ দে না, কত দিন লিখতে লিখতে খেয়াল করিনি, ভোর হয়ে গেছে। শেষ রাতে কলম থামিয়ে হয়তো দেখলাম ওসমান থালা যে ভাবে দিয়ে গেছে, সে ভাবেই রয়ে গেছে। ভুলেই গেছি খেতে!”

“সে হোক। এখন চলবে না। তার চেয়ে চলো, ওই খাবার, বিস্কুট, মুড়ি যা আছে সব নিয়ে বসি আর ভাগাভাগি করে খেয়ে নিই।”

“ওরে, তুই পারবি না, আমার কথা শোন।”

“তুমি আমার কথা শোনো। প্লিইইজ়! আজকের জন্য? আর তো কাল থেকে বলতে আসব না।”

স্বর্ণেন্দুবাবু আচমকাই অন্যমনস্ক হলেন, “আসবি না? তাই না? আচ্ছা, ঠিক আছে, কিন্তু...”

ড্রয়িংরুমের সিঙ্গল সোফাটায় গুম হয়ে বসেছিল কস্তুরী। ইনস্পেক্টর ওমর শেখ তার হাতের নোটবুকটায় চোখ রেখে দেখে নিচ্ছিলেন কোনও পয়েন্ট বাদ গেল কি না। কাল কী পোশাক পরেছিল মেহুলি, মেহুলির মোবাইল নম্বর, কোথায় কোথায় যেতে পারে মেয়েটা, বন্ধুবান্ধবদের ঠিকানা অথবা ফোন নাম্বার ইত্যাদি। একটা ছবি দরকার।

“আপনারা কাল রাতেই খবর দিলেন না কেন? অনেকটা সময় স্পয়েল হল ফর নাথিং। কালকে খবর পেলেই তো আমাদের মিসিং পার্সন স্কোয়াডের কাজ অনেকটা এগিয়ে যেত। ডোন্ট মাইন্ড, আজকাল যা সব হচ্ছে, মানে বুঝতেই পারছেন। লাস্ট মাসেই তো একটা মেয়ে পাচারের র‌্যাকেট ধরা পরেছে খাগড়াগড় থেকে। সে ভাবে দেখতে গেলে ধরা পড়ছেও বেশ কিছু ক্রিমিনাল, তবে কী জানেন, কিছুতেই সবটা আটকানো যাচ্ছে না।”

“অফিসার, মেহুলি কী...”

“আপনার মেয়ে ড্রিঙ্ক করে? মানে, আপনি বলতে পারেন, ইনভেস্টিগেশনে সুবিধে হবে।”

“হ্যাঁ, করে। নট রেগুলার, বাট...”

কস্তুরীকে থামিয়ে দিয়ে মি. শেখ বললেন, “ইয়েস। ধরে ফেলেছি। নিশ্চয়ই কোনও ফ্রেন্ডের পার্টি ছিল, সেখানে ড্রিঙ্ক করে ঘুমোচ্ছে।”

“বাট অফিসার, তা হলেও বাড়িতে একটা ইনফরমেশন দিয়ে রাখে মেহুলি।”

“আপনি এক কাজ করুন। মিস্টার রায় তো আজ ফিরছেন। ফিরলেই আমার সঙ্গে কন্ট্যাক্ট করতে বলবেন। এই নিন আমার কার্ড। আর হ্যাঁ, মিস মেহুলি রায়ের একটা ফোটোগ্রাফ চাই।”

“ওর ঘরে আছে সম্ভবত।”

“ওর ঘরটা এক বার দেখতে পারি?”

কস্তুরী অফিসারকে নিয়ে মেহুলির ঘরে এল। অফিসার এটা-ওটা নিয়ে নাড়াচাড়া করলেন। বিছানায় কাপড়ের স্তূপ ঘেঁটে দেখলেন। টেবিলের উপর বইপত্র নেড়েচেড়ে দেখলেন। ব্যস! কস্তুরী বুঝল, সবই নিয়মমাফিক। সেই নিয়ম মেনেই দু’-চারটে জিনিস উল্টেপাল্টে দেখা আর কী। টেবিলের উপর রাখা মেহুলির হাসিমুখ ছবিটা ফোনের ক্যামেরায় ধরে রাখলেন। কস্তুরীর মনে এটাও উঁকি মারছে যে, তার নাবালিকা কন্যা কি তা হলে কালকের রাতটা কারও সঙ্গে বিছানায় কাটিয়েছে? ভাবতেই কেমন গা গুলিয়ে উঠল। সেটা কাল রাত থেকে পেটে দানাপানি না পড়ার জন্যও হতে পারে।

কিন্তু কোথায় গেল মেহুলি? কোথায় যেতে পারে? ওর কি কোনও বয়ফ্রেন্ড আছে? অবশেষে থাকতে না পেরে ক্লাবের সেই পলাশ নামের ছেলেটাকে ফোন করেছিল কস্তুরী। ঘুম জড়ানো গলায় ছেলেটি জানিয়েছিল, সকাল হলে থানায় একটা এফ আই আর করে দেবে সে। বুদ্ধি করে ছেলেটিকে বলে দিয়েছিল, যেই আসুক যেন পুলিশের ফর্মাল ড্রেসে না আসে। পলাশ নিশ্চয়ই তার অনুরোধ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল। তাই ভোরের দিকে ঝিমিয়ে পড়া কস্তুরীকে ডেকে তুলেছিল মুহুর্মুহু ডোরবেলের শব্দ। এক জন সাদা পোশাকের মাঝবয়সি মানুষ পরিচয় দিয়েছিল স্থানীয় থানার অফিসার ওমর শেখ বলে। শাশুড়িমা ঘুম থেকে উঠে পড়লেও টয়লেটে ছিলেন। তাই টেনশন তৈরি হয়নি। তবে ডোরবেলের শব্দ তিনি নিশ্চয় পাবেন। পরে জিজ্ঞেস করলে কিছু একটা বলে দেওয়া যাবে’খন।

ক্রমশ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement