ছবি: প্রসেনজিৎ নাথ।
পূর্বানুবৃত্তি: তনুময়ের আত্মহত্যার খবরে রাগ এবং হতাশা দুই-ই হল অভ্রর। সে মল্লারকে জানাল তার অবসাদের কথা। প্যারামেডিক্যাল কলেজের অল্প মাইনের চাকরিটাও তার হয়নি, উপরন্তু তিন হাজার টাকা মাইনের একটা টিউশনিও চলে গেল। অভ্রর মনে হয়, এক দিন হয়তো তনুময়ের পরিণতিই তার পক্ষেও স্বাভাবিক। সুমির ফোন আসে। তার পরিস্থিতি জানতে চায়। অভ্র বলে, ও রকম ঘটনা সেই প্রথম। সে কালেভদ্রে মদ্যপান করে, মাতাল নয়। টাকাপয়সার কিছু সমাধানের রাস্তা দেখাতে সুমি তাকে শেয়ার-ট্রেডিংয়ের পরামর্শ দেয়। অভ্র বিশেষ গুরুত্ব দেয় না। সন্ধেয় সুমির সঙ্গে তার রাস্তায় দেখা হয়ে যায়। সে জানায়, শেয়ার কেনাবেচা করে তার হাতে বেশ কিছু বাড়তি টাকার সংস্থান হয়। একটু একটু করে অভ্র সে দিকে আগ্রহী হয়। সুমি তাকে প্যারামেডিক্যাল কলেজে ফিজ়িয়োথেরাপির কোর্সটাও করে রাখতে বলে। সুমির পরামর্শ খারাপ লাগে না অভ্রর।
অভ্র কষ্ট করে হাসল, “মায়েরা ও রকম হয়। রিয়েলিটিটা বুঝতে চায় না। পাত্র হওয়ার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারিনি। নিজেরই ঠিক নেই, অন্যের জীবন বরবাদ করতে যাব কোন দুঃখে? তা তুমি সত্যিই দেখবে নাকি পাত্রী?”
সুমি হাত নেড়ে বলে, “দূর! খেয়েদেয়ে কাজ নেই আমার। কোনও ঝামেলা নিতে আমি রাজি নই। যার নিজের বিয়েই টেকেনি সে করবে অন্যের ঘটকালি! ও ব্যাপারে নিজেরা বুঝে নেওয়াই মঙ্গল। সন্ধে হয়ে আসছে, এ বার ওঠা যাক,” সুমি বলল, “তুমি আজ পা-গাড়িতে বেরিয়েছ কেন?”
“ইচ্ছে হল।”
“যেমন আমার ফুচকা খাওয়ার ইচ্ছে। এত হাঁটাহাঁটি, অটো-টোটো ইত্যাদি পোষাচ্ছে না। ঠিক করেছি একটা টু-হুইলার কিনব। বাইক নয়, স্কুটি। পরশুই কিনব।”
“এখন শুনেছি ওগুলোর দাম নাকি প্রায়লাখের কাছাকাছি।”
“এত কাল সাধ-আহ্লাদের গলা টিপে বেঁচেছি। এখন যেমন তুমি ও ভাবে বাঁচতে বাধ্য হচ্ছ। ভেবেছি যখন কিনেই ফেলব। একটা ফ্ল্যাটও কিনব। কোথায় সেটলড হব ঠিক ছিল না। এই শহরে প্রাইভেট নার্সিং হোম, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ছড়াছড়ি। একটা গেলে আর একটা পেয়ে যাব,” সুমি ঘাড় দোলাল, “নিজের মতো থাকা যাবে। তাই না?”
অভ্র বলল, “হুম, পকেটের জোর থাকলে অনেক কিছুই করা যায়, ভাবা যায়।”
“এটা কোনও নতুন কথা হল? টাকাতেই পৃথিবী চলছে। তবে পথ খুঁজে নিতে হয়, বসে বসে ভাবলে কিছুই হয় না।”
“শুনে মনে হচ্ছে তোমার হাতে মোটা অঙ্কের টাকা আছে। শুধু চাকরির সামান্য টাকায় এত দূর ভাবা যায় না।”
সুমি হাসল, “ঠিক ধরেছ। সবই যোগ-বিয়োগের খেলা। ডিভোর্সের বিনিময়ে কিছু অর্থযোগ হয়েছে। নিজের পাওনাগন্ডা বুঝে নিতে পেরেছিলাম। এই টোটো, দাঁড়াও। অশোকনগর যাব।”
সুমি একটা টোটোতে উঠে পড়ে হাত নাড়ল। অভ্র ইতস্তত করে নিছক ভদ্রতার খাতিরে পাল্টা হাত নাড়ে। সে হাঁটতে শুরু করে। ডিভোর্সের বিনিময়ে অর্থ! এই ব্যাপারে তার কোনও ধারণা নেই। সে খোরপোশের ব্যাপারটা জানে। কিন্তু একটি মেয়ে ডিভোর্স বাবদ কত পেতে পারে তা সে জানে না। তার মানে সুমির আর্থিক খুঁটির জোর আছে, তার মতো নড়বড়ে নয়।
সাধারণ মেয়ে, কিন্তু হাঁটাচলা-কথাবার্তায় কিছু যেন একটা আছে। এড়িয়ে থাকা যায় না। অভ্র একটা সিগারেট ধরিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়াল। এত দিন সবাই তাকে শুধু শুকনো জ্ঞান দিয়েছে, পথ দেখানোর কথা কেউ ভাবেনি।
রাতে তনুময় এল স্বপ্নে। হাতে তার লম্বা একটা ভোজালি, সেটা হাতে নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে তনুময়, কিছু ক্ষণ পরে নিজের গলাতেই সে কোপ বসিয়ে দিল। রক্তে ভেসে গেল তার শরীর। এক দল মুখোশধারী লোক সেই অবস্থাতেই তনুময়কে ছুড়ে ফেলে দিল খাদে।
আঁতকে জেগে উঠল অভ্র। ঘড়িতে রাত দেড়টা। ভোর থেকে রেডিয়োতে শুরু হবে মহিষাসুরমর্দিনী। আগের বছর কোভিডের কারণে মহালয়ার তর্পণ নিষিদ্ধ ছিল। বেলা করেই কংসাবতী নদীতে তর্পণে যাবে সে। বছরের এই দিনটায় বাবার কথা খুব মনে পড়ে। তার দুরবস্থা বাবাকে বেশি দিন দেখে যেতে হয়নি। এক হিসেবে বাবা বরং পার্থিব জ্বালা-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। দেয়ালে ঠেস দিয়ে অভ্র বসে থাকল অনেক ক্ষণ।
ওই অবস্থাতেই এক সময় ঘুমিয়ে পড়ল।
চিরশ্রী বলল, “কাল ওকে ‘এই যে নদী যায় সাগরে’ গানটা বাজিয়ে শোনালাম।”
“হুঁ, তার পর?”
“খুবই প্রশংসা করল,” মুখ টিপে হাসল চিরশ্রী, “শুনেই যে বাবুর মুখ গম্ভীর হয়ে গেল! এত পজ়েসিভ হলে চলবে?”
মল্লার সপ্রতিভ হওয়ার চেষ্টা করল, “আমি তো পরপুরুষ। পজ়েসিভ হওয়ার অধিকারই নেই।”
মুচকি হাসল চিরশ্রী, “তাই? আজ চোখের দিকে তেমন ভাবে তাকাতে পারছ না কেন?”
“এই আগুনরঙা শাড়িটা আজই প্রথম দেখলাম। এটা আর কখনও পরে বসবে না শিখতে।”
“কেন?”
মল্লার চুপ করে রইল।
চিরশ্রীর চোখে হাসি, “কেন মল্লারবাবু? কী সমস্যা এতে?”
“দেখে নিজেকে পাগল-পাগল লাগছে।”
“তার মানে তুমি পাগল হচ্ছ?”
মল্লার বলল, “হচ্ছিই তো।”
“তা হলে কী মেডিসিন দেওয়া যায় তোমাকে?” চিরশ্রী নিজের ঠোঁটে আঙুল রাখল, “কোন মেডিসিন তোমাকে ভাল করে দেবে?”
“জানি না।”
“আজ তা হলে নতুন কিছু শেখা হবে না?”
মল্লার বলল, “কেন হবে না?”
“তা হলে নোটেশন লেখো,” চিরশ্রী উঠে পড়ল, “আমি একটু উপর থেকে আসছি।”
মল্লার বিরসমুখে ‘তাই তোমার আনন্দ আমার পর’ গানের নোটেশন লিখতে শুরু করল রিড বাজিয়ে বাজিয়ে। নিখাদ ঈশ্বরপ্রেমের গান, সমর্পণের গান এটি। এখন তার মন মজে রয়েছে এক নারীর প্রেমে। আগুনরঙা শাড়ি পরে শরীরে আগুন জ্বালিয়ে কেউ যেন তাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। সে কি সেই আগুনে ঝাঁপ দেবে? তার শরীর ছটফট করছে, প্রতিটি রোমকূপে জাগছে কামনা, নিজেই জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে এখন। সিনেমাহলের অন্ধকারে ঘনিষ্ঠ যতটুকু হওয়া যায় ততটুকুই হয়েছিল তারা। সে চিরশ্রীর কোমল স্তনে হাত রেখেছিল, কোমর জড়িয়ে বসেছিল, বেশ কয়েক বার ঠোঁটে ঠোঁট রেখেছিল। তার পর আর সে চিরশ্রীকে একা পায়নি। প্রমিতদা বা অন্য কেউ থাকত শেখানোর সময়। অন্য রকম কথাবার্তা বলার ব্যাপারে ইশারায় প্রতি বারই আগেভাগে চিরশ্রী তাকে সাবধান করে দিয়েছিল। আজ ঘরে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি নেই, চিরশ্রীও প্রাণ খুলে কথা বলছে, এবং মল্লারের মধ্যে গোপন বাসনা ডালপালা মেলে চলছে। চিরশ্রীকে এক বার অন্তত সে সম্পূর্ণ ভাবে পেতে চায়।
মিনিট পনেরো বাদে চিরশ্রী ফিরে এল।
“হয়ে গেল নোটেশন?”
“হ্যাঁ।”
“বাজিয়ে শোনাবে না?”
“হ্যাঁ, শোনাচ্ছি,” মল্লার বাজানো শুরু করল।
চিরশ্রী মাথা নেড়ে বলল, “আজ তোমার বাজানোয় কেমন যেন প্রাণ নেই, অনুভব নেই।”
মল্লার অসহিষ্ণু গলায় বলল, “কী করেপ্রাণ আসবে?”
“মানে?”
“ও ভাবে আগুন জ্বেলে বসে থাকলে কিচ্ছু ঠিক থাকে না। তুমি বুঝছ না কেন?”
চিরশ্রী হাসল, “এত ছটফটানি?”
“কেন, হতে পারে না?”
চিরশ্রী অসহায় চোখে তাকাল, “কী করে তা হবে তুমিই বলো! ও যে কোনও মুহূর্তে এসে যেতে পারে। ফোন করে জানলাম যে, স্টেশনে এইমাত্র নেমেছে। আমারও ইচ্ছে হয়। ইচ্ছেটাকে সংযত করার জন্য উপরে পালিয়ে গিয়েছিলাম। কয়েক মুহূর্তের ভুলে সমস্ত কিছু নষ্ট করে দিতে চাই না। এক দিন নিশ্চয়ই সে রকম সময় ও সুযোগ আসবে। অপেক্ষা করো।”
মল্লার ম্লান হাসে, “আরও অপেক্ষা! চাকরি, স্থায়ী রোজগার ইত্যাদির অপেক্ষাতেই অর্ধেক জীবন কেটে গেল। এখন তোমার জন্যও অপেক্ষাকরতে হবে!”
চিরশ্রী বলল, “আমি কি তোমার দুঃখ বুঝি না? এখন রাগ না করে এসো।”
চিরশ্রী দু’হাত বাড়িয়ে মল্লারকে জড়িয়ে ধরল। মল্লার পাগলের মতো গলায় চুমু খেল, ঠোঁট শুষে নিল প্রাণপণে, গাল চুমুতে ভরিয়ে দিল বার বার।
চিরশ্রী বলল, “আর নয় প্লিজ়। আমি থাকতে পারছি না।”
মল্লার ফিসফিস করে বলল, “আমিও।”
চিরশ্রী আলতো ঠেলা দিল, “ছাড়ো। ভয় করছে। ও চলে আসতে পারে।”
প্রবল অনিচ্ছেয় চিরশ্রীকেও ছেড়ে দিয়ে মল্লার বলল, “এখন আসি তা হলে।”
“এখনই যেয়ো না। তুমি বেরোচ্ছ ও ঢুকছে, এতে সন্দেহ হতে পারে। তার চেয়ে আমি বাজানো শুরু করি,” নিজেকে ঠিক করে নিয়ে চিরশ্রী বিছানায় হাঁটু মুড়ে বসল। রিডে হাত রাখল। চিরশ্রীর গালে রক্তিম আভা, আদরের চিহ্ন লেগে রয়েছে গলায়ও চিবুকে।
মল্লার বলল, “যাও, মুখচোখ ধুয়ে এসো।”
চিরশ্রী বলল, “কেন?”
“সাবধানের মার নেই। তাই।”
চিরশ্রী বিছানা থেকে নেমে ম্লানমুখে বলল, “শরীরের ঝড় সামলানো বড় কষ্টের ব্যাপার।”
“আমারও কষ্ট হল খুব,” নিজেকে সংযত করতে করতে বলল মল্লার।
চিরশ্রী বলল, “সপ্তমীর দিন আমরা বেরোচ্ছি।”
মল্লার বলল, “পনেরো দিনের ট্যুর বলেছিলে। কী আর করা যাবে? অনেক দিন পরে দেখা হবে। তোমার আর কী? দিব্যি ঘুরে বেড়াবে, ফোটো তুলবে, আনন্দে থাকবে। আমারই খারাপ কাটবে।”
চিরশ্রী হাসল, “এত দিন তো আমি ছিলাম না। তখনও কি খারাপ থাকতে?”
“খারাপই থাকতাম। চাকরি নেই, বৌ-বাচ্চা নেই, বন্ধুরা দূরে চলে গেছে, প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরার উৎসাহ পাই না। তুমি আসায় জীবনে কিছুটা রং ফিরে এসেছে।”
“আমরা ভাল থাকার জন্য কারও না কারও উপর ডিপেন্ড করি। বোধহয় ভুল করি। আমি কি সারা জীবন তোমার পাশে থাকতে পারব? হাজার হোক তুমি পরপুরুষ। সারা ক্ষণ ধরা পড়ার ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকি। ও ঘুণাক্ষরে টের পেয়েছে বুঝলে কী যে হবে! ভাবলেই হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। নিজেকে বাঁচাতে হয়তো তোমার কাছ থেকে একেবারে সরে এলাম। তুমি আমাকে নিষ্ঠুর ভাবতে পারো, এমনকি চরিত্রের ঠিক নেই ভেবে মনে মনে গালাগাল দিতে পারো।”
“মোটেই না,” মল্লার মাথা নাড়ে।
“পুরুষদের বিশ্বাস নেই,” চিরশ্রী মুচকি হেসে চলে গেল।
খুব কঠিন কথা শুনিয়ে গেল চিরশ্রী। পরিস্থিতি তেমন হলে যে কী হবে, তা সে জানে না। চিরশ্রী সরে যাবে, হয়তো ক্ষণিকের মোহ ভেবে ভুলেও যেতে চাইবে, কিন্তু সে ভুলতে পারবে না। জীবনের প্রথম নারী ও প্রথম ভালবাসা হয়তো ভুলে যাওয়া যায় না। তখন আবার সমস্ত রং হারিয়ে ধূসর, ফিকে হয়ে যাবে তার দিন ও রাত।
দরজায় বেল বাজছে।
চিরশ্রী পাশ দিয়ে গিয়ে দরজা খুলে দিল।
জুতো খুলতে খুলতে প্রমিত বলল, “কী ব্যাপার? কেমন চলছে?”
মল্লার হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইল।
“বলছিলাম, কেমন শিখছে ও?”
মল্লার ঘাড় একটু বেশিই নাড়াল, “খুব ভাল।”
“কখন এসেছ?”
“মিনিট চল্লিশ আগে।”
“শেখানো শেষ? কোনও শব্দ পেলাম না, যন্ত্রও নীরব,” প্রমিত হাসল।
মল্লারের জিভে কথা আটকে গেল, গলাশুকিয়ে এল।
চিরশ্রী বলল, “উনি চলেই যাচ্ছিলেন। আমিই আটকেছি। কিছু না খেয়ে চলে যাচ্ছিলেন। ওঁর জন্য চা বসাতে যাচ্ছিলাম। তখনই তুমি এলে। তুমি হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে এসো। চিঁড়ের পোলাও করে রেখেছি, গরম করে দিচ্ছি।”
“এই জন্যই তুমি আমার সুইটহার্ট,” প্রমিত প্রগল্ভ হল, “তোমার আদেশ শিরোধার্য। তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আসছি।”
মিনিট তিনেক পরে চিরশ্রী টি-টেবিলে চা এবং স্ন্যাকস রেখে নিচু গলায় বলল, “আর একটু হলে ডুবিয়ে দিচ্ছিলে। উপস্থিত বুদ্ধি বাড়াও। কাল ফাঁকা থাকলে ফোন করব।”
চা খুব তাড়াতাড়ি শেষ করে মল্লার উঠে পড়ল। তাড়াতাড়ি বিদেয় হওয়াটাই নিরাপদ। বাইক স্টার্ট করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল সে। প্রমিতদা কি কিছু টের পেয়েছে? হয়তো বিন্দুমাত্র সন্দেহও করেনি। তারই মনে পাপ। তাই মামুলি প্রশ্নেও ঘাবড়ে হতবুদ্ধি হয়ে যাচ্ছিল। প্রমিতদা চিরশ্রীকে খুব ভালবাসে। চিরশ্রীও কি ভালবাসে না? নাকি একটা হৃদয় দু’জনের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া যায়, অর্কিডের পাশাপাশি ক্যাকটাসকেও মন দেওয়া যায়? সম্পর্কের রসায়ন বোঝা বড় মুশকিল, তার মতো নারীসান্নিধ্যে এত কাল বঞ্চিত থেকে কিছু না বোঝাটাই স্বাভাবিক।
ক্রমশ