কৃষ্ণপক্ষে লোকটা কোথায় থাকে কে জানে! কিন্তু গত তিন-চার মাস ধরে দেখছি, যেই আকাশে চাঁদটা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, অমনই সে এসে হাজির হয় আমাদের বাড়ির উল্টো দিকের রাস্তায়। রোগা হয়ে বয়ে চলা আদিগঙ্গার তীরে। তার পর একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে আমাদের বাড়ির দিকে। লোকটার উলোঝুলো চেহারা। পরনে মলিন ট্রাউজ়ার আর হাফশার্ট। এক মাথা ঝাঁকড়া-ঝাঁকড়া চুৃল। কাঁধে শান্তিনিকেতনি কাপড়ের ব্যাগ। চট করে দেখলে শিল্পী-টিল্পী মনে হয়। আমি প্রথমটা তা-ই ভেবেছিলাম। কিন্তু সুগত লোকটার কথা শুনে বলল, ‘‘ধুস, এখানে শিল্পী কোথা থেকে আসবে? কেনই বা আসবে! তা ছাড়া যদি শিল্পীই হত লোকটা, তা হলে সে তো ব্যাগ থেকে আঁকার সরঞ্জাম কিছু না-কিছু বের করত।’’
সুগত বলার পরে মনে হল, ঠিকই তো, আর্টিস্টই যদি হবে, তা হলে আঁকার বিষয় খুঁজতে কি কেউ একই জায়গায় দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এমন তিথি-নক্ষত্র মেনে দাঁড়িয়ে থাকে না কি!
খানিকটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়ে আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘‘তা হলে অমন নিয়ম করে লোকটা কেন এসে দাঁড়িয়ে থাকে বলো তো আমাদের বাড়ির দিকে চেয়ে?’’
‘‘পাগল-টাগল হবে হয়তো,’’ সুগত হাই তুলে পাশ ফিরে শোয়।
‘‘লোকটা যদি পাগলই হবে, তা হলে রোজ এমন ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে আসতে পারে না কি? বেছে বেছে ঠিক শুক্লপক্ষেই? মেঘলা অথবা বৃষ্টিদিন বাদ দিয়ে প্রতি সন্ধেয়?’’
‘‘তা হলে লোকটা বোধহয় তোমাকেই দেখতে আসে,’’ সুগত আমার দিকে ফিরে মুচকি হাসল, ‘‘ওই সময় তুমিও তো রোজ বারান্দায় এসে দাঁড়াও...’’
‘‘ধ্যাত,’’ বলে উঠি আমি, কিন্তু রোমাঞ্চে গা শিরশির করে
ওঠে আমার।
‘‘লোকটা মনে হয় তোমার
প্রেমে পড়ে গিয়েছে, জানো,’’ আবার বলে সুগত।
‘‘খুব বিচ্ছিরি তুমি, ভয়ানক অসভ্য!’’ বলে সুগতর বুকের মধ্যে মুখ গুঁজে ফেলি আমি। নিজেই বুঝতে পারি, সুগতর কথায় আমার মুখ যতখানি রাঙা হয়ে উঠেছে এখন, তা লুকনোর জন্যে এইটাই আপাতত সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা।
‘‘ওকে নিয়ে তুমি এত ভাবছ কেন?’’ সুগত এক হাতে জড়িয়ে নেয় আমাকে, ‘‘আমার সুন্দরী বৌকে ও দেখে দেখুক না। হতেই তো পারে, বিয়ের আগে তুমি ওর ক্রাশ ছিলে, তখন তোমায় পায়নি। এখন দুম করে তোমার সন্ধান পেয়ে... আর যা-ই হোক, লোকটা তো আর তোমাকে বিরক্ত করছে না কোনও ভাবে...’’
‘‘খালি বাজে কথা!’’ সুগতর বুকের মধ্যে থেকেই মৃদু স্বরে আমি বলি। তার পরে চুপ করে যাই। আর কথা বলি না কোনও। লোকটার উদাস, তদ্গত দৃষ্টিটা মনে পড়ে যায় আমার। রাস্তার উল্টো দিকে ঠায় দাঁড়িয়ে সে সত্যিই কি আমাকেই দেখে? ভাবতে থাকি আমি।
*****
সুগত বড়সড় চাকরি করে না। মূল শহরের মধ্যে জায়গা কিনে বাড়ি করার সামর্থ্য আমাদের ছিল না। যখন এই জমিটা সুগত কিনেছিল, এ দিকটা খুবই নিরিবিলি। বাগান আর জঙ্গলে মোড়া ছিল চার পাশ। মাঝখান দিয়ে একটা সরু রাস্তা চলে গিয়েছে মূল শহরের দিকে। একটু দূরে বংশীবটতলার শ্মশান। দিনের বেলাতেও শেয়াল ডেকে উঠত শ্মশানের দিক থেকে। সন্ধে হলেই ঝাঁকে ঝাঁকে জোনাকি উড়ত বাড়ির সামনের ঝোপেঝাড়ে, আকাশে। এই বাড়িতে উঠে এসে সুগত খুব আনন্দ করেছিল। হাজার হোক নিজের বাড়ি। কিন্তু আমার এই বাড়িতে থাকতে একটুও ইচ্ছে করে না। সুগত অফিসে বেরিয়ে গেলেই আমার জগৎটা কেমন যেন শূন্য হয়ে যায় প্রতিদিন। বিকেলের পর থেকে একা থাকতে ভয় করে আমার। মনে হয় ফাঁকা বাড়িটা আমাকে যেন গিলে খেয়ে ফেলতে চাইছে।
সুগত আমার একা থাকার কষ্ট, আমার ভয়কে আমল দিতে চাইত না প্রথম প্রথম। বলত, ‘‘ক’টা মাত্র তো দিন। আমাদের বাড়ির সামনে দিয়েই বর্ধিত ই এম বাইপাসের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে আদিগঙ্গার দু’দিক দিয়ে। সোজা কামালগাজি পর্যন্ত। গঙ্গার উপর দিয়ে মেট্রো রেলও চলে আসবে শুনছি এই পর্যন্ত। এই জায়গা কেমন জমজমাট হয়ে যায় দেখবে ক’দিন পরে। এই গাছপালা, জঙ্গল, আদিগঙ্গার মরা খাল, কিচ্ছুটি থাকবে না আর— দেখো।’’
‘‘কবে হবে?’’
‘‘খুব শিগগির, শ্রী।’’
বাইপাস সত্যিই হল। আমাদের আশপাশের অনেক জমিজায়গা, পেয়ারা বাগান বিক্রি হয়ে পাঁচিল উঠে গেল। আর একটু এগিয়ে
দুমদাম ফ্ল্যাট উঠতে শুরু করল আকাশ আড়াল করে। আমি সুগতকে জড়িয়ে ধরে বললাম, ‘‘তুমি ঠিকই বলেছিলে। আমাদের এই জায়গাটা দারুণ জমজমাট হয়ে যাবে ক’দিন পরেই। শুনছি বাড়ির কাছেই মস্ত মল হবে একটা...’’
‘‘তোমাকে তো বলেইছিলাম,’’ সুগত হাসে। তৃপ্তির হাসি। বলে, ‘‘এই জায়গার ভ্যালুয়েশন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ভাবতে পারছ?’’
কিন্তু দুম করে সব কাজ এক দিন বন্ধ হয়ে গেল। বাঙালি রেলমন্ত্রী হঠাৎ পদত্যাগ করায় এ দিকে আর মেট্রো এল না। বাইপাসে কিছু প্রাইভেট কার আর মোটর বাইক ছাড়া অন্য কোনও গাড়ি চলাচল শুরু হল না। পাঁচিলে ঘিরে রাখা বাগানে আগাছা বাড়তে লাগল। আমাদের এলাকা তেমনই আদিম, তেমনই নিঝুম থেকে গেল আজ অবধি।
আমিও আবার সারা দিন ধরে একা অপেক্ষায় থাকি, কখন অফিস থেকে ফিরে আসবে সুগত...
মাঝে মাঝেই ক্লান্ত গলায় বলি, ‘‘এই বাড়িটা বিক্রি করে দিয়ে আমরা অন্য কোথাও উঠে যেতে পারি না একটা দু’ কামরার ছোট্ট ফ্ল্যাট কিনে?’’
সুগত দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, ‘‘কে কিনবে এই বাড়ি? একটা সময়
এই জায়গার ডিমান্ড তৈরি হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু এখন কেউ আর এখানে জমি-বাড়ি কিনতে চাইছে না
চট করে। আর এক-আধ জন যারা আগ্রহ দেখাচ্ছে, তারা এত কম দাম দিচ্ছে যে, সেই দামে বাড়ি বিক্রি করা যায় না শ্রী...’’
‘‘তবু চেষ্টা করে দেখো... আমি একা থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছি এখানে!’’ বলি আমি।
‘‘হুঁ,’’ সুগত মাথা নাড়ায়। আমি বুঝি, সে মাথা নাড়ানোয় তেমন জোর নেই আর।
*****
লোকটা আমার জীবনে কেমন একটা অন্য ধরনের রোমাঞ্চ নিয়ে এসেছে। সারা দিন আমি তার জন্যে অপেক্ষা করে থাকি এখন। পূর্ণিমা এসে গেলে মন ভারী হয়ে ওঠে আমার।
চাঁদ ছোট হয়ে এলে সে তো আর আসবে না এই দিকে।
রোজ বিকেল গড়িয়ে সন্ধে নামলে আমি ঘর ছেড়ে বারান্দায় এসে বসি। তাকিয়ে থাকি লোকটার দিকে। ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমার মনে হয়, আমি আর একা নই।
আগে রোজ বিকেল হলেই কান্না পেত আমার। এখন পায় না।
আজও বিকেল গড়াচ্ছে যখন, আমি বাইরে বারান্দায় এসে বসলাম। বাইরে আসার আগে আয়নার সামনে বসে হালকা প্রসাধন লাগিয়েছি মুখে। একটা আকাশি রঙের জামদানি শাড়ি আছে আমার। আজ সেইটা পরেছি। দুই ভুরুর মাঝখানে নীল রঙের ছোট টিপ। অন্য দিন বারান্দার আলো জ্বালি না। ইচ্ছে করেই বারান্দার উজ্জ্বল সাদা আলোটা জ্বেলে দিলাম আজ। লোকটা সত্যিই যদি আমাকেই দেখতে আসে তো দেখুক ভাল করে। আমাকে কেউ তো এমন আগ্রহ নিয়ে দেখতে চায় না আজকাল! সুগত প্রায়ই সামান্য ব্যাপারে খিটখিট করে আমার উপর। অফিস থেকে আরও রাত করে বাড়ি ফিরছে ইদানীং।
লোকটা অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার বাড়ির দিকে। মুখ ঈষৎ উঁচু করে দৃষ্টিটাকে ভাসিয়ে দিয়েছে ছাদের উপর দিয়ে। আমার দিকে সে এক বারও ফিরে তাকায়নি এখনও পর্যন্ত। আমার মজা লাগছিল। এমন করে আলো জ্বালিয়ে নিজেকে আরও স্পষ্ট করে তুলব তার চোখের সামনে, এ কথা নিশ্চিত কল্পনা করে উঠতে পারেনি মানুষটা। অথচ এইটুকু, অন্তত এইটুকু তার তো প্রাপ্যই। এত দিন ধরে সে এসে দাঁড়িয়ে থাকে চুপটি করে। আমারই জন্যে। তার এই নিরুচ্চার আহ্বান কত দিন আর ফেরানো যায়?
আজ আয়নায় অনেক দিন পরে নিজের দিকে পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম। নাহ, মোটেই বুড়িয়ে যাইনি আমি এখনও। ডাকসাইটে সুন্দরী না হলেও আয়নায় যথেষ্ট অ্যাট্রাকটিভ লাগছিল আমার নিজেকে।
আমি চমকে সামনে তাকালাম। মাথা নিচু করে লোকটা রাস্তা পেরোচ্ছে। কেন? এই কয়েক মাসে এক বারের জন্যেও তো দিক পাল্টায়নি সে।
লোকটা এ দিকে আসছে। আমাদের বাড়ির দিকেই। আমি এক অদ্ভুত উত্তেজনা বোধ করছিলাম মনে মনে। তবে কি, তবে কি...
মানুষটা সত্যিই আমার বারান্দার সামনে এসে দাঁড়াল। আমার এক্কেবারে মুখোমুখি। সে আর আমি। মাঝে শুধুমাত্র লোহার গ্রিলের নিরাপত্তাটুকু। আমি আজ ভাল
করে তাকালাম তার দিকে। লোকটার পোশাক মলিন, কিন্তু অপরিষ্কার নয়। তার মাথার এলোমেলো চুলে দু’-একটা পাতা আটকে আছে।
তার হাতের আঙুল শীর্ণ এবং লম্বা লম্বা। তার চেহারা, তার দাঁড়ানোর ভঙ্গিতে কোনও অসাধারণত্ব নেই। শুধু তার চোখদু’টো অন্য রকম। আর পাঁচ জন সাধারণ মানুষের থেকে একেবারেই আলাদা। এমন অসম্ভব উজ্জ্বল এবং মায়াবী চোখ আগে আমি দেখিনি কক্ষনও।
আমি তার চোখ থেকে কিছুতেই নিজের চোখ সরাতে পারছি না...
লোকটা মৃদু কণ্ঠে বলল, ‘‘কিছু মনে করবেন না, অনুগ্রহ করে যদি বারান্দার উজ্জ্বল এই আলোটা নিভিয়ে দেন...’’
‘‘কেন?’’ অবাক হয়ে আমি বলি।
‘‘আমার তাকে দেখতে বড় অসুবিধে হচ্ছে। এই উজ্জ্বল আলোর সামনে দাঁড়িয়ে তার আলো গায়ে মাখতে গিয়ে বার বার অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছি আমি...’’
‘‘কার আলো, কার?’’ আমি কৌতূহলী হয়ে বলি।
‘‘অন্ধকার আকাশের গায়ে ওই যে চাঁদটা...’’ লোকটা হাত তুলে আমার বাড়ির ছাদের উপর দিকে নির্দেশ করে, ‘‘ঠিক এই জায়গা থেকে এত অপূর্ব ভিউ আসে... মূল শহরের উজ্জ্বল আলোয় আর আকাশজোড়া ইলেকট্রিক তারের আড়ালে ওকে
তো দেখাই যায় না ভাল করে। আর এই রাস্তার অন্য দিকে জঙ্গল গাছপালার আড়াল... শুধু এই জায়গাটা থেকে, আপনাদের বাড়ির উপর দিয়ে এত সুন্দর লাগে ওকে... ব্যাকগ্রাউন্ডের গাছ, আকাশ... আপনি দেখেননি কখনও?’
‘‘কই না তো!’’ আমি অবাক
হয়ে বলি।
লোকটা আমার মুখের দিকে তাকিয়েও মাথা নামিয়ে নিল। মৃদু কণ্ঠে বলে উঠল আবার, ‘‘এই নকল আলোটা নিভিয়ে দেবেন প্লিজ়?’’
আমি বললাম, ‘‘দিনের পর দিন, মাসের পর মাস অমন করে কী দেখেন ওই চাঁদের মধ্যে?’’
‘‘তাকে।’’
‘‘কাকে?’’
‘‘চন্দ্রিমাকে।’’
‘‘চন্দ্রিমা কে?’’
‘‘আমার স্ত্রী,’’ লোকটা হাসে, ‘‘তার শরীরটা চলে গিয়েছে। কিন্তু তার আলো, তার স্নিগ্ধতা তো মরেনি। আমি রোজ তার আলো গায়ে মাখি। চেয়ে থাকি তার দিকে। এই চাঁদের মধ্যে। তখন নিজেকে আর একা লাগে না। খোলা আকাশের নীচে যখন দাঁড়িয়ে থাকি আর জ্যোৎস্না নেমে এসে আপাদমস্তক জড়িয়ে ধরে আমাকে, আদর করে, মুখের মধ্যে, চুলের মধ্যে ঢুকে যায় আমার,
মনে হয় এই প্রকৃতিতে সত্যিই তো কিছু হারায় না। সব কিছুই রয়ে গিয়েছে এখানে। কোথাও একটুও কম পড়েনি কিচ্ছুটি।’’
লোকটা জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছিল। এতগুলো কথা বলে বোধহয় হাঁপিয়ে গিয়েছে খানিক। তার কথা শুনতে শুনতে কেমন যেন ঘোর লেগে গিয়েছিল আমার। সেই ঘোরের মধ্যে থেকেই আমি বলে উঠি, ‘‘এই চাঁদের দিকে তাকালে সত্যিই নিজেকে একা লাগে না?’’
‘‘না,’’ দু’দিকে মাথা নাড়ায় লোকটা।
আমি বারান্দার আলো নিভিয়ে গ্রিলের দরজার তালা খুলে পথে নামি। লোকটা ফিসফিস করে বলে, ‘‘এ দিক থেকে বুঝতে পারবেন না। চলুন, রাস্তাটা পার হয়ে যাই।’’
আমিও নিচু গলায় বলি, ‘‘একা রাস্তা পেরোতে আমার ভয় করে।’’
লোকটা হাত বাড়িয়ে দেয় আমার দিকে। তার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে যাই আমি। মুখ তুলে তাকাই আকাশের দিকে। সত্যিই জ্যোৎস্না নেমে এসে আনখশির ভিজিয়ে দেয় আমাকে। আমি হাঁ করি। জ্যোৎস্না এসে ঢুকে পড়ে আমার মুখের মধ্যে।
আমারও তখন নিজেকে আর একলা মনে হয় না। সুগতর উপর জমে থাকা যাবতীয় অভিমান
ঝরে পড়ে যায় গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে। মনে হয়, আহা, এত বড় জনপদে
অন্তত এই অঞ্চলটুকু এমন অনুন্নত, এমন আদিমই থেকে যাক চিরকাল। এই একলা থাকার ছোট্ট বাড়িটাও আমারই থাক এমনি করেই।
ছবি: বৈশালী সরকার