Snake Fight

‘চাঁদের পাহাড়ে’ শঙ্করের বুকে ভয় ধরানো ব্ল্যাক মাম্বার লড়াই বাস্তবে, দেখুন সেই ছবি

প্রথম বার ১৮৬৪ সালে এই সাপটি সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছিলেন জার্মানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রাণিবিদ অ্যালবার্ট গুন্থার। বাঙালির সঙ্গে এই সাপের আলাপ হয় অবশ্য শঙ্করের হাত ধরে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কেপটাউন শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৩ ১২:৪৪
Share:
০১ ১৫

‘চাঁদের পাহাড়’-এর শঙ্কর তার মুখোমুখি হয়েছিল। সেই বর্ণনা দিতে গিয়ে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখছেন, ‘‘দেওয়াল ও তার বিছানার মাঝামাঝি জায়গায় মাথা উঁচু করে তুলে ও টর্চ্চের আলো পড়ার দরুন সাময়িক ভাবে আলো-আঁধারি লেগে থ’ খেয়ে আছে আফ্রিকার ক্রুর ও হিংস্রতম সর্প‌— কালো মাম্বা! ঘরের মেঝে থেকে সাপটা প্রায় আড়াই হাত উঁচু হয়ে উঠেচে— সেটা এমন কিছু আশ্চর্য নয় যখন ব্ল্যাক মাম্বা সাধারণতঃ মানুষকে তাড়া করে তার ঘাড়ে ছোবল মারে! ব্ল্যাক মাম্বার হাত থেকে রেহাই পাওয়া এক প্রকার পুনর্জ্জন্ম তাও শঙ্কর শুনেছে।’’ সেই ব্ল্যাক মাম্বা যদি বাস্তবে চোখের সামনে মারপিট করে?

ছবি: সংগৃহীত।

০২ ১৫

একে অপরের গায়ে জড়িয়ে গিয়েছে দু’টি সাপ। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে রাজি নয়। দু’টি ব্ল্যাক মাম্বার এমন লড়াইয়ের মুহূর্তই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

ছবি: সংগৃহীত।

Advertisement
০৩ ১৫

সাপে কে না ভয় পায়! আর সেই সাপ যদি ব্ল্যাক মাম্বা হয়, তা হলে ভয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। কেননা, ব্ল্যাক মাম্বার এক ছোবলেই মৃত্যু! উপন্যাসে এমন বিষধর সাপের মুখোমুখি হয়েও শঙ্কর প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে এই সাপের কবলে পড়লে রেহাই পাওয়া এক দুঃসাধ্য ব্যাপার। বাঙালির সঙ্গে এই সাপের পরিচয় ঘটেছিল শঙ্করের হাত ধরেই।

ছবি: সংগৃহীত।

০৪ ১৫

মূলত আফ্রিকার মহাদেশের সাহারা মরুভূমির দক্ষিণ প্রান্তের দেশগুলিতেই দেখা মেলে এই বিষধর সাপের। বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর সাপগুলির মধ্যে অন্যতম এই ব্ল্যাক মাম্বা।

ছবি: সংগৃহীত।

০৫ ১৫

সেই বিষধর সাপেরই মারপিটের ভিডিয়ো দেখে অনেকেই আঁতকে উঠেছেন। ঘটনাটি দক্ষিণ আফ্রিকার। সে দেশে একটি বাড়ির পিছনে দু’টি ব্ল্যাক মাম্বার যুদ্ধের মুহূর্ত ভাইরাল হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত।

০৬ ১৫

দু’টি সাপই লম্বায় ৮ ফুটেরও বেশি। ব্ল্যাক মাম্বাকে উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারী কর্মী নিক ইভান্স। ভিডিয়োটি নিজের ফেসবুক পেজে তুলে ধরেছেন নিক।

ছবি: সংগৃহীত।

০৭ ১৫

ওই সাপ উদ্ধারকারী জানিয়েছেন, একটি ব্ল্যাক মাম্বার দৈর্ঘ্য ৮.৫ ফুট। অন্যটি লম্বায় প্রায় ৮.২ ফুট।

ছবি: সংগৃহীত।

০৮ ১৫

নিক আরও জানিয়েছেন, কিছুতেই লড়াই থামছিল না দু’টি ব্ল্যাক মাম্বার। শেষে চেহারায় ছোট ব্ল্যাক মাম্বাটি হাল ছেড়ে রণে ভঙ্গ দেয়। তার পরই দুই সাপের লড়াই শেষ হয়। যে সাপটি জখম হয়েছে, তাকে উদ্ধার করেছেন নিক। পরে অন্যত্র তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ছবি: সংগৃহীত।

০৯ ১৫

কিন্তু কী এমন হল যে, সাপে-সাপে যুদ্ধ বাধল। নিকের অনুমান, এক স্ত্রী ব্ল্যাক মাম্বাকে নিয়ে ওই দুই পুরুষ ব্ল্যাক মাম্বার এত লড়াই।

ছবি: সংগৃহীত।

১০ ১৫

তাঁর মতে, এই সময়টা ব্ল্যাক মাম্বাদের প্রজননের সময়। তাই হয়তো স্ত্রী ব্ল্যাক মাম্বাকে নিয়েই দুই বিষধর সাপের ঝগড়া বেধেছিল।

ছবি: সংগৃহীত।

১১ ১৫

নিক আরও জানিয়েছেন, দু’টি ব্ল্যাক মাম্বা যখন লড়াই করে, তখন তারা কখনওই একে অপরকে কামড়ায় না।

ছবি: সংগৃহীত।

১২ ১৫

আফ্রিকা তো বটেই বিশ্বেও যত বিষধর সাপ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম কুখ্যাত ব্ল্যাক মাম্বা। এই সাপের কামড়ে মানবশরীর অবশ হয়ে যায়। ছোবলের ২০ মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু নিশ্চিত।

ছবি: সংগৃহীত।

১৩ ১৫

আইরিশ রিসার্চ কাউন্সিলের ‘ভেনোম সিস্টেমস ল্যাবের’ গবেষক জন ডানবার জানিয়েছেন, ব্ল্যাক মাম্বারকে নিয়ে এত ভয় এবং আতঙ্কে ভোগেন সকলে। অথচ, এই সাপ কিন্তু স্বভাবে ভীতু।

ছবি: সংগৃহীত।

১৪ ১৫

তাঁর মতে, মানুষকে তখন ব্ল্যাক মাম্বা আক্রমণ করে, যখন তারা নিজেদের বিপজ্জনক মনে করে। অর্থাৎ, তাদের বিরক্ত না করলে নিজে থেকে ছোবল মারে না এই সাপ।

ছবি: সংগৃহীত।

১৫ ১৫

প্রথম বার ১৮৬৪ সালে এই সাপটি সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছিলেন জার্মানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রাণিবিদ অ্যালবার্ট গুন্থার। ব্ল্যাক মাম্বার গায়ের রং ধূসর এবং কালচে বাদামি রঙের হয়। ব্ল্যাক মাম্বাকে নিয়ে জনমানসে কৌতূহলের অন্ত নেই। তাই দু’টি ব্ল্যাক মাম্বার মারপিটের ভি়ডিয়ো নজর কেড়েছে সকলের।

ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement