খারদুঙ্গলা পাস, ভারত: লাদাখের কাছাকাছি এই পাস হল বিশ্বের বৃহত্তম পাস। এখানকার দীর্ঘ আঁকা বাঁকা পাহাড়ি পথে ড্রাইভ করাটা সত্যিই দুষ্কর।
গুয়োলিয়াং টানেল, চিন: এটি ১২০০ মিটার দীর্ঘ একটি টানেল। এই টানেলে প্রবেশ করার আগের মুহূর্তটাও ভয়ঙ্কর। ততোধিক ভয়ঙ্কর এর ভিতর দিয়ে ঘুটঘুটে অন্ধকারে গাড়ি চালানো।
ডালটন হাইওয়ে, আলাস্কা: এই রাস্তাকে বলা হয় বিশ্বের বিচ্ছিন্নতম রাস্তা। রাস্তাটা পুরোটাই বরফে ঢাকা থাকে সারা বছর। সামান্য অসতর্ক হলে পিছলে গিয়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা প্রবল।
এশিমা ওহাশি সেতু, জাপান: এটি জাপানের ‘রোলার কোস্টার ব্রিজ’ বলেই অধিক খ্যাত। বড় বড় জাহাজ যাতে এই সেতুর তলা দিয়ে যেতে পারে, সে দিক মাথায় রেখেই এই সেতু তৈরি।
অতলান্তিক ওশিয়ান রোড, নরওয়ে: পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই রাস্তা। সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস ছিটকে এসে গাড়ি ধুয়ে দেয়। জল ছিটকে লাগে সওয়ারির গায়ে।
জোজিলা পাস, ভারত: এবড়ো খেবড়ো পাথরে ঢাকা জম্মু ও কাশ্মীরের এই এই রাস্তাকে ভয়ঙ্কর বললে কম বলা হয়। লাদাখ আর কাশ্মীরের সংযোগকারী এই পাথুরে সরু রাস্তা দিয়ে গাড়ির পাশাপাশি ছাগল-ভেড়াও চলে বেড়ায়। প্রচণ্ড সরু হওয়ার কারণে বড়মাপের গাড়ি চালানো খুবই চ্যালেঞ্জিং।
হানা, হাওয়াই: মাউই আইল্যান্ডের গা ঘেঁষে এই সরু রাস্তার বিস্তার। তবে এই রাস্তা অনেক সময়ই বন্ধ করে দেওয়া হয় শুধুমাত্র ধসের কারণে।
কোলিমা, রাশিয়া: এই রাস্তার আরেক নাম ‘ডেথ রোড’। রাশিয়ার এক কোণ ঘেঁষে রয়েছে এই রাস্তা। এই রাস্তাটি তৈরি করেছেন জেলবন্দিরা।
ইউঙ্গাস রোড, বলিভিয়া: বিপজ্জনক এই রাস্তাটিতে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। তবে রোমাঞ্চের স্বাদ পেতে অনেকেই এই রাস্তায় ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন।
লে প্যাসেজ দু গোইস, ফ্রান্স: সুন্দর এই রাস্তা দিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্যই খোলা থাকে। জোয়ারের সময় জলের নীচে চলে যায় এই রাস্তা। রাস্তার সৌন্দর্য দেখতেই মূলত মানুষে এখানে আসেন।
‘কাওকাসাস’ রোড, রাশিয়া: বিশ্বের পাহাড়ি রাস্তাগুলোর মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত এই রাস্তা। তবে সৌন্দর্যে এই রাস্তা যেমন বিখ্যাত, তেমনই এই রাস্তা বিপজ্জনকও।