প্রায় ১৬ বছরের ব্যবধান। ১৬ বছর আগে ভারতের সর্বোচ্চ উপার্জনকারী অভিনেতাদের তালিকার শীর্ষে নাম লিখিয়েছিলেন দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত। সময়ের চাকা ১৬ বছর পর ঘুরে আবার একই জায়গায় গিয়ে থেমেছে। আবার সর্বোচ্চ উপার্জনকারী অভিনেতাদের তালিকার শীর্ষে নাম জ্বলজ্বল করছে রজনীকান্তের।
২০০৭ সালে তামিল পরিচালক এস শঙ্করের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘শিবাজি: দ্য বস’। এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করে সারা ভারতের সর্বোচ্চ উপার্জনকারী অভিনেতাদের তালিকার শীর্ষে পৌঁছে যান রজনীকান্ত।
শুধুমাত্র ভারতেই নয়, ‘শিবাজি: দ্য বস’ মুক্তির পর সমগ্র এশিয়ার অভিনেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ উপার্জনকারীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন রজনীকান্ত।
‘শিবাজি: দ্য বস’ ছবিটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ৬০ থেকে ৮৯ কোটি টাকা।
রজনীকান্তের ‘শিবাজি: দ্য বস’ মুক্তির পর বক্স অফিস থেকে ১০০ থেকে ১৬০ কোটি টাকা উপার্জন করে।
২০০৭ সালের পর দীর্ঘ ১৬ বছরের ব্যবধান। চলতি বছরে আবার ভারতের সর্বোচ্চ উপার্জনকারী অভিনেতা হিসাবে নজির গড়লেন রজনীকান্ত।
১০ অগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে রজনীকান্তের ছবি ‘জেলার’। মুক্তির ২৩ দিনের মাথায় ৬০০ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করে ফেলেছে ছবিটি।
‘জেলার’ ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করে ১০০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছেন রজনীকান্ত।
কিন্তু বক্স অফিসে ‘জেলার’-এর সাফল্যের পর রজনীকান্ত ছবির লভ্যাংশ থেকে আরও ১১০ কোটি টাকা উপার্জন করেন।
‘জেলার’ ছবির প্রযোজক কলানিধি মারান ছবির সাফল্যের পর রজনীকান্তকে মোটা টাকার চেক দেন বলে অন্দরমহল সূত্রে খবর।
সব মিলিয়ে ‘জেলার’ ছবি থেকে ২১০ কোটি টাকা আয় করেন রজনীকান্ত। শুধু অর্থই নয়, এই ছবির সাফল্যের পর বিলাসবহুল গাড়িও উপহার পান অভিনেতা।
সূত্রের খবর, রজনীর বাড়ি গিয়ে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ির মডেলের মধ্যে যে কোনও একটি গাড়ি বেছে নিতে বলেন ‘জেলার’-এর প্রযোজক।
বিএমডব্লিউ এক্স৭ মডেলের একটি গাড়ি পছন্দ করেন রজনীকান্ত। উপহার হিসাবে অভিনেতাকে ওই গাড়িটি দেন কলানিধি।
৭ সেপ্টেম্বর অ্যামাজন প্রাইম ভিডিয়োতেও মুক্তিও পাবে ‘জেলার’ ছবিটি। এক দিকে প্রেক্ষাগৃহে শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’ মুক্তি। অন্য দিকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে রজনীকান্তের ‘জেলার’। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার এই দুই অভিনেতারই দিন।