ঠোঁটকাটা বলে তাঁর ‘বদনাম’ কম নয়। সে জন্য বহু বার বিতর্কেও জড়িয়েছেন কঙ্গনা রানাউত। তবে তাঁর ভক্তদের দাবি, ঝামেলায় জড়ালেও সোজা কথা বলতে ছাড়েননি কঙ্গনা।
বলিউড হোক বা রাজনীতি অথবা কোনও সামাজিক সমস্যা— প্রায় সব বিষয়েই নাকি মতামত জাহির করেন তিনি। তবে অনেকের মতে, সে সব করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে নিজের সীমানা অতিক্রম করে ফেলেন কঙ্গনা।
আজকাল কঙ্গনার অবশ্য তাঁর রিয়্যালিটি শো ‘লক আপ’ নিয়ে বেজায় ব্যস্ত। ব্যস্ত বলিউডও। শীঘ্রই কপূর খানদানে বিয়ের সানাই বাজবে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, রণবীর কপূর আর আলিয়া ভট্টের চার হাত এক হবে আগামী ১৪ এপ্রিল। তার আগের দিন মেহেন্দির অনুষ্ঠান। সে সবের তোড়জোড়েই সকলে ব্যস্ত। কঙ্গনার কথা শোনার সময় আছে কি?
চেম্বুরে কপূর খানদানের পারিবারিক বাংলোয় বসবে ‘রালিয়া’র বিয়ের আসর। পঞ্জাবি রীতিনীতি মেনেই বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হবে বলে বলিউডের অন্দরের খবর।
বিয়ে নিয়ে দুই পরিবারের এই ব্যস্ততার ফাঁকেই আবার ভেসে উঠেছে কঙ্গনার সেই আক্রমণাত্মক মন্তব্যগুলি। কিন্তু, সে তো বছর দুয়েক আগেকার কথা।
পুরনো হলেও কঙ্গনার মন্তব্য নাকি প্রাসঙ্গিক। কারণ, ওই মন্তব্য করা হয়েছে রণবীরকে নিয়ে। ফলে বিয়ের আগে রণবীর বা আলিয়া সম্পর্কে যাঁরা খুঁটিনাটি খবর রাখতে ব্যস্ত, তাঁরা এ নিয়ে হামলে পড়েছেন। ফলাফল— রণবীরকে নিয়ে কঙ্গনার এককালের হামলা আবারও শিরোনামে উঠে এসেছে। দানা বেঁধেছে নতুন করে বিতর্ক।
টুইটারের মাধ্যমে হামেশাই গোলাগুলি চালান কঙ্গনা। তাঁর নিশানায় রণবীর কপূর থেকে দীপিকা পাড়ুকোন, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত থেকে হৃতিক রোশন, কর্ণ জোহর থেকে দিলজিৎ দোসাঞ্জ— অনেকেই উঠে এসেছেন।
তেমনই এক পুরনো টুইট আজকাল সংবাদমাধ্যমে ঘোরাফেরা করছে। তাতে রণবীরের চরিত্র নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছিলেন কঙ্গনা।
টুইটারে কঙ্গনা লিখেছিলেন, ‘রণবীর হলেন ‘সিরিয়াল স্কার্ট চেসার’। তবে তাঁকে কেউ ধর্ষক বলতে সাহস পাবেন না।’
কপূর খানদানের অন্যতম উত্তরাধিকারীর বিরুদ্ধে এমন শক্তিশালী গোলাবর্ষণ বোধ হয় এর আগে হয়নি। ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। বলিউডে কঙ্গনার মন্তব্য নিয়ে তুমুল শোরগোল হয়েছিল। তবে কঙ্গনা সেখানেই থামেননি।
রণবীরের পাশাপাশি দীপিকাকেও টুইটারে আক্রমণ করেছিলেন কঙ্গনা। ওই একই টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘দীপিকা হলেন স্বঘোষিত মানসিক রোগী। তবে তাঁকে কেউ সাইকো বা ডাইনি বলে ডাকেন না।’
বলিউডে যে শ্রেণিবৈষম্য রয়েছে, সে দাবিও করেছিলেন কঙ্গনা। রণবীর-দীপিকার উদ্দেশে টুইটারে তাঁর দাবি ছিল, ‘এ ধরনের নাম (‘সিরিয়াল স্কার্ট চেসার’, ডাইনি) শুধুমাত্র (বলিউডের) বাইরের লোকজনের জন্য বরাদ্দ থাকে। যাঁরা ছোট শহরের কম রোজগেরে পরিবার থেকে এখানে আসেন।’
এ তো গেল রণবীর এবং তাঁর এককালের বান্ধবী দীপিকার কথা। রণবীরের পাশাপাশি তাঁর হবু স্ত্রী আলিয়াকেও কম আক্রমণ করেননি কঙ্গনা।
বেশ কয়েক বছর আগে সংবাদমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘‘রণবীর নাকি এই প্রজন্মের কমবয়সি অভিনেতা। তাঁকে আবার কমবয়সি বলা কেন? রণবীর কপূর ৩৭ বছর বয়সি! আমার বাবাকে ওই বয়সে মধ্যবয়সি বলা হত। আর আলিয়া ভট্ট সাতাশে পড়েছেন। ২৭ বছর বয়সে আমি ‘কুইন’-এর সংলাপ লিখেছিলাম। ওই বয়সে আমার মা তিন সন্তানের জননী ছিলেন। আমি এই ব্যাপারটা কিছুতেই বুঝতে পারি না। এই ‘কমবয়সি’ মানে কী?’’
কঙ্গনার দাবি, সামাজিক দায়িত্ব এড়াতেই ‘কমবয়সি’ থেকে যান রণবীরের মতো তারকারা। ‘‘এঁরা বাচ্চা নাকি, নির্বোধ... এঁরা কী! এ ভাবে এঁরা (সব কিছু) এড়িয়ে পেতে পারেন না!’’