এক দশক পরে শোলাপুরের গরিব মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিতে সফল হয়েছেন। সেই কারণেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। উদ্বোধন করলেন ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ প্রকল্পের।
শুধু তাই নয়, এই দিন বক্তব্য রাখার সময় ঢোঁক গিলে কান্না চাপারও চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে ।
শুক্রবার মহারাষ্ট্রের শোলাপুরে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ প্রকল্পের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মোদী।
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পেরেছেন বলেও দাবি করেন মোদী।
তিনি বলেন, “২০১৪ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তা পূরণ করতে পেরেছি। এখানে এসে তার সাক্ষীও রইলাম। আজ আমার কাছে অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত এটি।”
তিনি যে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পেরেছেন, আর সেই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারছেন, এটাই তাঁর কাছে বড় একটি বিষয়। আর এ কথা বলতেই বলতেই মোদীর গলা বুজে আসে।
যদিও ঢোঁক গিলে নিজেকে সামলে নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সরকারের প্রকল্পের বাড়ি বিতরণ করতে গিয়ে নিজের শৈশবের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী বলেন, “এই বাড়িগুলি দেখলে নিজের শৈশবের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আজ শোলাপুরের গরিব এবং শ্রমিকদের হাতে এই বাড়ি তুলে দিতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের সরকার গরিব মানুষের উন্নয়নে এবং তাঁদের জীবনের মানোন্নয়ের স্বার্থে নানা প্রকল্পের উপর জোর দিচ্ছে।”
দেশবাসীর আশীর্বাদেই এই ধরনের প্রকল্প সফল হয়েছে বলেই মনে করেন মোদী। এর পরই তিনি নাম না করে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন।
দীর্ঘ দিন ধরেই ‘গরিবি হটাও’ বলে যে স্লোগান তোলা হয়েছিল গোটা দেশে, সেই স্লোগানের প্রতিফলন যে কার্যক্ষেত্রে ঘটেনি তা ঠারেঠোরে নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী বলেন, “দেশে ‘গরিবি হটাও’ স্লোগান তোলা হয়েছিল অনেক বছর আগে। সেই স্লোগান তোলা হলেও কার্যক্ষেত্রে গরিবি দূর করা হয়নি।”
তবে তাঁর সরকার এই স্লোগানকে বাস্তবায়িত করার কাজ করছে। শুধু তাই-ই নয়, এই আবাস যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছেন বলেও দাবি মোদীর।
তাঁর কথায়, “দেশবাসীকে এই গ্যারান্টি দিচ্ছি যে, তৃতীয় বারের জন্য বিজেপি ক্ষমতায় এলে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত।”