১৬ বছর বয়সে স্কুলছুট হয়েছিলেন। গাড়ি চালানো শিখে রোজগার শুরু করেছিলেন। সেই ছেলেই নিজের চেষ্টায় হলেন কয়েকশো কোটি টাকার মালিক! ব্রিটেনের প্রথম ১০ ধনীর মধ্যে অন্যতম।
তাঁর নাম স্টিভ পার্কিন। ব্রিটেনের ইয়র্কশায়ারের বাসিন্দা তিনি। ১৯৯২ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারান স্টিভ। পরিবারে আর্থিক টানাপড়েনের কারণে স্কুল ছেড়ে উপার্জনের রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেন।
কী কাজ করবেন? হাতে কোনও ডিগ্রি ছিল না। তাই স্থির করে ফেললেন গাড়ি চালানো শিখবেন। বড় মালবাহী গাড়ি চালাতে শিখে চালকের শংসাপত্র বার করে নিলেন। প্রথম চাকরি পেলেন একটি কাপড় প্রস্তুতকারী সংস্থায়।
খুব পরিশ্রম করতেন স্টিভ। দিনরাত গাড়ি নিয়ে সংস্থার মালপত্র পৌঁছে দিতেন গন্তব্যে। আজ স্টিভ কী করেন? নিজের একটি সংস্থা চালাচ্ছেন। তাঁর সংস্থার নাম ক্লিপার। এটি একটি অনলাইন জিনিসপত্র বেচাকেনার সংস্থা।
১৯৯২ সালে এই সংস্থাটি চালু করেছিলেন তিনি। একটু একটু করে আজ গ্রাহকদের কাছে পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে তাঁর সংস্থা। অতিমারির সময়েই গ্রাহকদের আরও কাছে পৌঁছে গিয়েছে ক্লিপার।
তাঁর ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ ৪৫০ কোটি টাকা। ইয়র্কশায়ারের প্রথম ১০ ধনীর এক জন স্টিভ। আগে তাঁকে লোকে গাড়িচালক হিসাবে চিনতেন। আজ তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাত্রা চোখে ধাঁধা লাগিয়ে দেয়।
অতিমারিতে যখন বেশির ভাগ ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছিল, স্টিভের সংস্থা তখন ৩৯ শতাংশেরও কিছু বেশি ব্যবসা বাড়িয়ে নিয়েছিল। তাঁর সংস্থার বার্ষিক আয় প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা।
অতিমারিতে বহু সংস্থা ব্যবসায় মন্দার কারণে কর্মী ছাটাই করেছে। স্টিভের সংস্থা কিন্তু দু’হাজার লোককে নিয়োগ করেছে। তাঁর মোট কর্মী সংখ্যা ১০ হাজার।
ঘোড়দৌড় খুব সখের খেলা তাঁর। ঘোড়া পুষতেও ভালবাসেন। তাঁর কাছে একাধিক ঘোড়া রয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য একাধিক লোক রয়েছেন।
২০২০ সালে তাঁর ঘোড়া ঈগলস ইয়র্কের ঘোড়দৌড়ে অংশ নিয়েছিল। প্রথম হয়ে জন স্মিথ’স কাপ জিতে মালিককে গর্বিত করেছিল।