যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন— নারীরা বার বার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তা প্রমাণ করে দিয়েছেন। তবে একই সঙ্গে দুই পেশা সামলানো মুখের কথা নয়। কিন্তু চেষ্টা করলে যে বহু অসাধ্যসাধন করা যায়, তার উদাহরণ হলেন শিল্পী কুলশ্রেষ্ঠ।
ভারতের নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে কর্মরত শিল্পী। কী ভাবে প্রতিষ্ঠানের আরও উন্নতি করা যায় তা পর্যবেক্ষণ করা ছাড়াও সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে ব্যবসার লাভ-ক্ষতি পুরোটাই সামলান তিনি।
কিন্তু শুধু সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী হিসাবেই নয়, শিল্পী আরও একটি পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সবচেয়ে আগ্রহের জায়গা হল তাঁর দুই কাজের ধরন। যা একে অপরের সম্পূর্ণ বিপরীত।
সমাজমাধ্যমে নজরকাড়া কন্টেন্ট তৈরি করেন শিল্পী। ইনস্টাগ্রামে নানা রকম রিল এবং ছবি পোস্ট করেও নেটব্যবহারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
পেশাদার আলোকচিত্রীদের সঙ্গে মডেল হিসাবে ফোটোশুট করতে দেখা গিয়েছে শিল্পীকে। কখনও আলোছায়ার মাঝে, কখনও বা স্বল্প পোশাকে ক্যামেরায় ধরা দেন তিনি।
সাধারণত ইনস্টাগ্রামে বেশি সক্রিয় শিল্পী। মডেলিংয়ের সমস্ত ছবি এবং ভিডিয়ো সেখানেই পোস্ট করেন তিনি। মডেলের পেশায় থাকা শিল্পী আবার নিপুণ হাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও সামলান।
শুধু চাকরিই নয়, ক্রীড়াক্ষেত্রেও নিজের জায়গা করে নিয়েছেন শিল্পী। কাজের মাঝে টেনিস এবং স্কোয়াশও খেলেন তিনি।
রাজস্থানে জন্ম হলেও বাবার চাকরিতে বদলির সূত্রে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হয়েছিল শিল্পীকে। নসিরাবাদ, জামনগর, হিসার, চেন্নাই, কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে থাকলেও শৈশবের বেশির ভাগ সময় শিলংয়েই কাটিয়েছেন শিল্পী।
শিল্পীর বাবা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। টেনিস খেলায় পটু ছিলেন তিনি। খেলাধুলোর প্রতি শিল্পীর আগ্রহ জন্মায় তাঁর বাবার কারণেই।
ছোটবেলা থেকে টেনিস খেলেন শিল্পী। ঘরোয়া স্তর থেকে শুরু করে জাতীয় স্তরেও খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
চণ্ডীগড়, চেন্নাই, গুয়াহাটি, কেরলের বিভিন্ন প্রান্তে টেনিস খেলে স্বর্ণপদকও জেতেন শিল্পী। টেনিসে সিদ্ধহস্ত তরুণী কলেজে ভর্তি হওয়ার পর স্কোয়াশ খেলতে শুরু করেন।
ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার করার সময় ২০১৪ সালে বেঙ্গালুরুর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি পান তিনি।
হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ভালবাসেন শিল্পী। বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে ঘুরতে গেলে সেখানকার শিক্ষা এবং প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার দিকে খেয়াল রাখেন শিল্পী। তার ফলে নিজস্ব সংস্থা কোন দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে তা বুঝতে পারেন তিনি।
‘ফ্লো ডান্সিং’-এর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন শিল্পী। অবসর সময়ে নাচ করেই সময় কাটান তিনি। শিল্পীর মতে, নাচের মাধ্যমেই নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে পারেন তিনি।
সমাজমাধ্যমে শিল্পীর অনুরাগীমহলও চোখে পড়ার মতো। ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা ৭৮ হাজারের গণ্ডি পার করে ফেলেছে।