শুক্রবার থেকে টানা তিন দিন মুম্বইয়ে ছিল সাজ সাজ রব। ১২ জুলাই মুকেশ অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত অম্বানী তাঁর দীর্ঘকালীন প্রেমিকা রাধিকা মার্চেন্টের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিশ্বের সবচেয়ে দামি বিয়ের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে অনন্ত এবং রাধিকার বিয়ে।
শোনা যাচ্ছে, কনিষ্ঠ পুত্রের বিয়ে উপলক্ষে পাঁচ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছেন মুকেশ। শুধু অম্বানী পরিবারের সদস্যদের সাজপোশাকের জন্যই নয়, তাঁদের পোষ্যের জন্যও এলাহি আয়োজন করেছিলেন মুকেশ।
সমাজমাধ্যমে কয়েকটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, অনন্ত এবং রাধিকার বিয়েতে বিলাসবহুল গাড়িতে চেপে আসছে একটি কুকুর। তার পরনে লাল রঙের জমকালো পোশাক। এই দৃশ্য দেখে চমকে যান নেটাগরিকেরা।
বহুমূল্য গাড়িতে যে কুকুরটিকে দেখা গিয়েছে, সে অম্বানী পরিবারের পোষ্য। তার নাম হ্যাপি।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হ্যাপি আসলে অনন্তের পোষা কুকুর। গোল্ডেন রিট্রিভার প্রজাতির কুকুর সে।
চারপেয়ে হলেও অম্বানী পরিবারের সদস্যই হয়ে উঠেছে হ্যাপি। অটোমোবিলি আর্ডেন্ট ইন্ডিয়ার তরফে একটি পোস্টে দেখা গিয়েছে মার্সিডিজ় ব্র্যান্ডের একটি গাড়িতে বসে রয়েছে হ্যাপি।
মার্সিডিজ় বেঞ্জ জি ৪০০ডি গাড়িতে চেপেই অনন্ত এবং রাধিকার বিয়েতে যেতে দেখা গিয়েছে হ্যাপিকে। এই গাড়িটির বাজারমূল্য চার কোটি টাকার কাছাকাছি।
চলতি বছরের মার্চ মাসে গুজরাতের জামনগরে অনন্ত এবং রাধিকার প্রাক্-বিবাহেও দেখা গিয়েছিল হ্যাপিকে। হ্যাপির সঙ্গেই বেশির ভাগ সময় কাটান অনন্ত। তাই অনন্তের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তেও শামিল হয়েছিল হ্যাপি।
এই প্রথম নয়, এর আগেও অসংখ্য বার হ্যাপিকে দেখা গিয়েছে অনন্তের সঙ্গে। নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কে অনন্তের সঙ্গে হাঁটার সময়ে হ্যাপিকে ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন ছবিশিকারিরা।
অনন্ত কোথাও গেলে তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত বিমানে যাতায়াত করে হ্যাপি। তার জন্য রয়েছে রক্ষণাবেক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থাও।
টয়োটা ফরচুনার এবং টয়োটা ভেলফায়ারের মতো দামি গাড়িতে চড়েও যাতায়াতের অভ্যাস রয়েছে হ্যাপির।
পশুপাখিদের প্রতি যে অনন্তের ভালবাসা রয়েছে, সে কথা কারও অজানা নয়। হ্যাপিকে নিজের সন্তানের মতোই ভালবাসেন তিনি।
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে মুকেশ-পত্নী নীতা অম্বানী জানিয়েছিলেন, হ্যাপি আসলে অম্বানী পরিবারের সদস্য। অনন্ত পথকুকুরদের দেখাশোনা করেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
নীতার কথায়, ‘‘পাঁচ হাজার পথকুকুরদের দায়িত্বে রয়েছে অনন্ত। কিন্তু আমার কাছে এক জনই রয়েছে, সে হল হ্যাপি। ও আমার সন্তানের মতো।’’