‘বিশ্বের দ্রুততম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সম্পন্ন সুপার কম্পিউটার’ তৈরি করে ফেলেছে মার্ক জ়াকারবার্গের সংস্থা মেটা। গত দু’বছরের চেষ্টায় অবশেষে সাফল্য পেল তারা।
২০২০ সালে জাপানের সুপার কম্পিউটার ‘ফুগাকু’ তকমা পেয়েছিল ‘বিশ্বের দ্রুততম এআই সুপার কম্পিউটার’-এর। এ বার তাকে ছাপিয়ে যেতে চলেছে মেটা।
জ়াকারবার্গের সংস্থার তৈরি নতুন এআই সুপার কম্পিউটারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘এআই রিসার্চ সুপারক্লাস্টার’। সংক্ষেপে একে আরএসসি নামে ডাকছে মেটা।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ফেসবুকে বিশ্বের দ্রুততম এআই সুপার কম্পিউটার নির্মাণের ঘোষণা করেছিলেন জ়াকারবার্গ। জানিয়েছিলেন, দ্রুত শেষ হবে কাজ।
মেটা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আরএসসি তাদের ‘নিউরাল নেটওয়ার্ক’ শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে ‘রিয়েল-টাইম ভয়েস’ অনুবাদ করা যাবে সহজেই।
‘ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসর’ জিপিটি-৩-তে আছে সাড়ে ১৭ হাজার কোটিন প্যারামিটারের ‘নিউরাল নেটওয়ার্ক’। আরএসসি এ ক্ষেত্রে লক্ষ কোটি প্যারামিটারের।
জ়াকারবার্গের স্বপ্নের ‘মেটাভার্স’ (ত্রিমাত্রিক ভার্চুয়াল দুনিয়া) প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ‘সুপার কম্পিউটার’ আরএসসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে জানা গিয়েছে।
‘ইউনিভার্স’-এর সমান্তরাল দুনিয়া ‘মেটাভার্স’ গড়তে চায় জ়াকারবার্গের সংস্থা। তাদের দাবি, একে কেন্দ্র করে বদলে যাবে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক চেহারা।
আগামী দিনে বিনোদন জগৎ থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক আদানপ্রদান, সবই ‘মেটাভার্স’-এর মাধ্যমে হবে বলে মনে করে মেটা। আর সেখানে প্রধান ভূমিকা নেবে আরএসসি।
২০২০ সালে বিশ্বের দ্রুততম সুপার কম্পিউটারের তকমা পেয়েছিল ‘ফুগাকু’। সেটি তৈরি করেছিল জাপানের দুই সংস্থা ফুজিৎসু এবং রিকেন।
‘ফুগাকু’-তে রয়েছে দেড় লক্ষের বেশি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসিং ইউনিট। কিন্তু জ়াকারবার্গের সংস্থার তৈরি আরএসসি এ ক্ষেত্রে আরও অনেক এগিয়ে।
‘ফুগাকু’-র আগে আমেরিকার ‘ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি’র তৈরি ‘সামিট’ ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত গতির সুপার কম্পিউটার। এখন সেটি রয়েছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে।