Crime

তরুণীকে খুনের পর পুড়িয়ে খান কাটা মুণ্ড, দেহাংশ দিয়ে বানান স্যুপ! ভয় ধরাবে যুবকের কীর্তি

রুমমেটকে খুনের পর তাঁর দেহ টুকরো করেছিলেন ওই যুবক। তরুণীর দেহাংশ দিয়ে স্যুপ বানিয়ে আশপাশের লোকজনকে খাইয়েছিলেন তিনি।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৩ ১০:৪২
Share:
০১ ২২

৩৪ বছর আগের কথা। যে ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা আমেরিকাকে। রুমমেটকে খুন করেছিলেন এক যুবক। তার পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কাটেন। এতেই শেষ নয়। রুমমেটের মাথাও রান্না করে খান ওই যুবক। বাকি দেহাংশ সিদ্ধ করে স্যুপ বানান। সেই স্যুপও নাকি খান তিনি। প্রতিবেশীদেরও সেই ‘মানব স্যুপ’ খাওয়ান। ১৯৮৯ সালের এই ভয়ঙ্কর ঘটনা জানলে শিউরে উঠতে হয়।

প্রতীকী ছবি।

০২ ২২

ওই যুবকের নাম ড্যানিয়েল রাকোভিৎজ। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ২৯। পেশায় রাঁধুনি ছিলেন তিনি। অভিযোগ, তিনি মাদক কারবারের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। আবার, বিভিন্ন গোঁড়া ধর্মীয় রীতিও মেনে চলতেন ওই যুবক।

ছবি সংগৃহীত।

Advertisement
০৩ ২২

টেক্সাসের ছোট শহর রকপোর্টে বেড়ে ওঠা ড্যানিয়েলের। তাঁর বাবা ছিলেন স্থানীয় শেরিফের ডেপুটি। নিউ ইয়র্কে টম্পকিন্স স্কোয়্যার পার্ক সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের কাছে খুব পরিচিত ছিলেন ড্যানিয়েল।

ছবি সংগৃহীত।

০৪ ২২

হিটলারের পূজারি ছিলেন তিনি। একই সঙ্গে বিভিন্ন জন্তুকে নিধন করতেন ড্যানিয়েল। নিজের পোষ্যদেরও মারতেন। সকলেই জানতেন এ কথা। অনেকে মনে করতেন, ধর্মীয় রীতি পালনের জন্য এমনটা করতেন ড্যানিয়েল।

প্রতীকী ছবি।

০৫ ২২

১৯৮৫ সালে টেক্সাস থেকে নিউ ইয়র্কে যান ড্যানিয়েল। সেখানে সিলভিয়া এবং শাওন নামে এক দম্পতির সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। পরে শহরের লোয়ার ইস্ট সাইড এলাকায় ওই দম্পতির আবাসনে থাকতে শুরু করেন ড্যানিয়েল।

ছবি সংগৃহীত।

০৬ ২২

পরে ওই আবাসন ছেড়ে চলে যান দম্পতি। সেই সময় মনিকা বিয়ারলে নামে ২৬ বছরের এক তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয় ড্যানিয়েলের। সুইজারল্যান্ডের বাসিন্দা মনিকা পেশায় নৃত্যশিল্পী ছিলেন।

ছবি সংগৃহীত।

০৭ ২২

ওই আবাসনটিতে তার পর রুমমেট হিসাবে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন মনিকা এবং ড্যানিয়েল। পরে আবাসনটি লিজ় নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন মনিকা। ড্যানিয়েলকে আবাসনটি খালি করতে বলেন তিনি। যার জেরে রেগে যান ড্যানিয়েল। আর তার জেরেই ঘটে যায় ভয়ঙ্কর সেই কাণ্ড।

প্রতীকী ছবি।

০৮ ২২

ড্যানিয়েলকে ঘর ছাড়তে বলেছিলেন মনিকা। যা শুনে ড্যানিয়েল ঠিক করেন যে, তিনি মনিকাকে খুন করবেন। পুলিশের দাবি, এ কথা আবাসনের মালকিন সিলভিয়াকে জানান ড্যানিয়েল। কিন্তু তাঁর কথায় গুরুত্ব দেননি সিলভিয়া।

প্রতীকী ছবি।

০৯ ২২

মনিকাকে খুন করার পর দেহ লোপাটের জন্য সিলভিয়ার কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন ড্যানিয়েল। যা শুনে সিলভিয়া সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি এই ব্যাপারে সাহায্য করতে পারবেন না। ড্যানিয়েল যে খুন করতে পারেন, সে কথা বিশ্বাস না করলেও সিলভিয়ার মনে ড্যানিয়েলকে ঘিরে সন্দেহ দানা বাঁধে।

প্রতীকী ছবি।

১০ ২২

এই ঘটনার কিছু দিন পর ওই আবাসনে যান সিলভিয়া। আর সেখানে গিয়ে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় তাঁর। ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল তাঁর।

ছবি সংগৃহীত।

১১ ২২

ওই ঘরে ঢুকে সিলভিয়া দেখেন যে, স্টোভে পাত্রের উপর রাখা রয়েছে মনিকার কাটা মাথা। আগুনে মনিকার মুণ্ড ঝলসে গিয়েছে। তাঁর চোখগুলো বন্ধ। এই দৃশ্য দেখার পর গলা শুকিয়ে গিয়েছিল সিলভিয়ার। পরে তদন্তকারীদের কাছে এমন বিবরণই তুলে ধরেছিলেন সিলভিয়া।

ছবি সংগৃহীত।

১২ ২২

সিলভিয়া জানিয়েছিলেন, এর পর বাথরুমে গিয়ে তিনি দেখেন যে, সেখানে বাথটাবে হাড়গোড় পড়ে রয়েছে। চারদিকে রক্ত। এই হাড়হিম দৃশ্য দেখার পর কোনও মতে ওই ঘর থেকে বেরিয়ে যান সিলভিয়া। বেরোনোর সময় বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন।

প্রতীকী ছবি।

১৩ ২২

তদন্তকারীদের সিলভিয়া জানান, মনিকাকে খুনের কথা তাঁকে জানান ড্যানিয়েল। ড্যানিয়েল তাঁকে জানান যে, ব্রুকলিনে একটি গির্জার এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব ছিল। মনিকাকে খুনের সময় ড্যানিয়েলের সঙ্গে তাঁর ওই বন্ধু ছিলেন।

প্রতীকী ছবি।

১৪ ২২

সিলভিয়ার দাবি, ড্যানিয়েল তাঁকে জানান, প্রথমে মনিকাকে শ্বাসরোধ করা হয়। তার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় আঘাত করা হয়। এর পর মাথা, হাত-পা টুকরো টুকরো করে কেটে বাথটাবে রাখা হয়।

প্রতীকী ছবি।

১৫ ২২

মনিকার মাথা ড্যানিয়েল এবং তাঁর বন্ধু খেয়েছেন বলেও দাবি করেন সিলভিয়া। মনিকার বাকি দেহাংশও খেয়েছেন তাঁরা। তদন্তকারীদের এমনটাই জানিয়েছিলেন সিলভিয়া।

ছবি সংগৃহীত।

১৬ ২২

মনিকার দেহাংশ কেটে তা দিয়ে নাকি স্যুপও বানিয়েছিলেন ড্যানিয়েল। তার পর সেই স্যুপ পার্ক সংলগ্ন এলাকায় আশ্রয়হীনদের খাইয়ে দেন ড্যানিয়েল। কয়েক জন প্রতিবেশীকেও নাকি ওই স্যুপ খাওয়ান তিনি।

ছবি সংগৃহীত।

১৭ ২২

মনিকাকে হত্যার কথা বড়াই করে নিজেই স্থানীয়দের জানিয়েছিলেন ড্যানিয়েল। সঙ্গে সঙ্গে রটে গিয়েছিল যে, মনিকার দেহাংশের স্যুপ আশ্রয়হীনদের খাইয়েছেন ড্যানিয়েল।

প্রতীকী ছবি।

১৮ ২২

এই নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে গুজব রটে। ইতিমধ্যে আবাসন ছেড়ে চলেও যান ড্যানিয়েল। এর পরই আবাসনের সুপারকে শাওন গোটা ঘটনাটি জানান। ওই সুপারই তার পর বিষয়টি পুলিশের নজরে আনেন।

ছবি সংগৃহীত।

১৯ ২২

অভিযোগ পাওয়ার পর যখন ওই আবাসনে তল্লাশি চালায় পুলিশ, তখন কিছুই পাওয়া যায়নি। এর পর সিলভিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সিলভিয়াই সব কথা পুলিশকে জানান।

ছবি সংগৃহীত।

২০ ২২

তার পরই ড্যানিয়েলকে পাকড়াও করা হয়। জেরায় মনিকাকে খুনের কথা স্বীকার করেন তিনি। ড্যানিয়েল দাবি করেন যে, খুনের সময় তাঁর এক বন্ধু সঙ্গে ছিলেন। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে, আসলে ড্যানিয়েলের কোনও বন্ধুই ছিল না খুনের সময়। সবটাই কল্পনা করে বলেছিলেন ড্যানিয়েল।

ছবি সংগৃহীত।

২১ ২২

তবে খুনের ঘটনায় সাহায্যের জন্য এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু প্রমাণাভাবে তাঁকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

প্রতীকী ছবি।

২২ ২২

১৯৯১ সালে ড্যানিয়েলকে মুক্তি দেওয়া হয়। ড্যানিয়েলের মানসিক অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর পর মানসিক চিকিৎসালয়ে তাঁর চিকিৎসা করা হয়।

ছবি সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement