শনিবারই দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ৪৪ দিন ধরে চলবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। দেশের প্রথম লোকসভা নির্বাচনের পর এত দিন ধরে কখনও আর ভোট চলেনি। ২০০৪ সালে এর অর্ধেকের কম সময়ে শেষ হয়েছিল নির্বাচন।
ভারতীয় মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, এপ্রিল এবং মে মাসে দেশে তাপপ্রবাহ চলবে। এই তীব্র গরমেই ৪৪ দিন ধরে চলবে লোকসভা ভোট। যদিও অতীতে শরৎ এবং শীতকালে দেশে লোকসভা ভোট হত। ২০০৪ সাল থেকে ভরা গ্রীষ্মে হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন।
২০০৪ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকার প্রায় ছ’মাস এগিয়ে আনে ভোট। তাদের ধারণা হয়েছিল, সেই সময় ভোট হলে জনমত তাদের পক্ষেই যাবে। তার পর থেকে স্থায়ী ভাবে ভরা গ্রীষ্মেই লোকসভা ভোট হতে শুরু করে।
তার আগে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে লোকসভা ভোট হত দেশে। ৩০ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যেত ভোট।
দেশের প্রথম লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল ১৯৫১ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত দীর্ঘতম। ২৫ রাজ্যের ৪৮৯টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল।
পরিকাঠামো, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার অভাবে ৬৮ দফায় হয়েছিল ভোট। বেশির ভাগ কেন্দ্রে ভোট হয়েছিল ১৯৫২ সালের গোড়ায়।
হিমাচলে সে সময় প্রবল ঠান্ডা থাকে। সে কারণে সেখানে ১৯৫১ সালের অক্টোবরে ভোট হয়েছিল।
তবে জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও ভোট হয়নি। সেখানে প্রথম বার লোকসভা ভোট হয় ১৯৬৭ সালে।
১৯৬২ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ভোট চলেছে চার থেকে ১০ দিন। সব থেকে কম দিনে ভোট শেষ হয়েছে ১৯৮০ সালে। ৩ থেকে ৬ জানুয়ারি চলেছিল ভোট। সে বার ফের ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসেন ইন্দিরা গান্ধী।
১৯৯৮ সালে ইন্দ্রকুমার গুজরালের সরকার পড়ে যায়। ফেব্রুয়ারিতে হয় লোকসভা ভোট। ১৩ দিনেই শেষ হয়েছিল সেই ভোট।
১৯৯৯ সালে লোকসভা নির্বাচন চলেছিল ২৯ দিন।
২০০৪ সালে চার দফায় হয়েছিল লোকসভা নির্বাচন। চলেছিল ২১ দিন।
তার পর ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে থাকে ভোটের দিন। ২০০৯ সালে ২৮ দিন ধরে চলেছিল ভোট। পাঁচ দফায় নির্বাচন হয়েছিল সে বার।
২০১৪ সালে ন’দফায় হয়েছিল নির্বাচন। চলেছিল ৩৬ দিন ধরে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৩৯ দিন ধরে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। সাত দফায় হয়েছিল নির্বাচন।
এ বছর ৪৪ দিন চলবে নির্বাচন। সাত দফায় হবে ভোটগ্রহণ। প্রথম দফার ভোট হবে ১৯ এপ্রিল। দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ২৬ এপ্রিল, তৃতীয় দফা ৭ মে, চতুর্থ দফা ১৩ মে, পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৫ মে এবং সপ্তম দফা ১ জুন। ভোটগণনা হবে ৪ জুন।