উপার্জনের নিরিখে শাহরুখ খান, আমির খান, সলমন খান এবং অক্ষয় কুমারের মতো বলি অভিনেতারা প্রথম সারিতে তাঁদের নাম লিখিয়েছেন। ছবিপ্রতি মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক পান তাঁরা। বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, বলি অভিনেতারা ছবিপ্রতি সর্বাধিক ১০০ থেকে ১৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত উপার্জন করে থাকেন। কিন্তু পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে শাহরুখ, সলমনদের টেক্কা দিয়েছেন অন্য এক অভিনেতা।
চলতি বছরের অগস্ট মাসে মুক্তি পায় অ্যাকশন ঘরানার তামিল ছবি ‘জেলার’। নেলসন দিলীপকুমারের পরিচালনায় এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন রজনীকান্ত।
২০০ থেকে ২৪০ কোটি টাকা বাজেটে তৈরি ‘জেলার’ মুক্তির পর বক্স অফিস থেকে ব্যবসাও করেছে প্রচুর। সূত্রের খবর, ৬০০ থেকে ৬৩৫ কোটি টাকা বক্স অফিস থেকে উপার্জন করেছে ‘জেলার’।
‘জেলার’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রাথমিক ভাবে ১১০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পান রজনীকান্ত। প্রযোজনা সংস্থার তরফে চেকের মাধ্যমে সেই টাকা দেওয়া হয় দক্ষিণী তারকাকে।
তবে ‘জেলার’ ছবির ব্যবসার দিকে তাকিয়ে রজনীকান্তের সঙ্গে লাভের পরিমাণও ভাগ করা হয়। ছবি মুক্তির পর পারিশ্রমিক হিসাবে আরও ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয় অভিনেতাকে।
সব মিলিয়ে ‘জেলার’ ছবি থেকে মোট ২১০ কোটি টাকা উপার্জন করেন রজনীকান্ত।
বলিপাড়া-সহ দক্ষিণী ফিল্মজগতে এমন কোনও অভিনেতা নেই যিনি একটি ছবি থেকে ২০০ কোটি টাকার বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছেন। সে দিক থেকে সারা ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নজির গড়লেন রজনীকান্ত।
ছবিপ্রতি সর্বাধিক আয় করে ভারতীয় অভিনেতাদের তালিকায় শীর্ষে নাম লিখিয়ে ফেলেছেন রজনীকান্ত। ভারতের সর্বোচ্চ উপার্জনকারী অভিনেতা হিসাবে নজির গড়লেন তিনি।
‘জেলার’ ছবি থেকে শুধুমাত্র ২১০ কোটি টাকাই পাননি রজনীকান্ত। ছবির সাফল্যের জন্য দক্ষিণী অভিনেতা একটি দামি উপহারও পেয়েছেন।
‘জেলার’ ছবির নেপথ্যে যে প্রযোজনা সংস্থা রয়েছে তাদের তরফে রজনীকান্তকে নামী সংস্থার একটি গাড়ি উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রজনীকান্ত যেন নিজের ইচ্ছে মতো গাড়ির পছন্দ করতে পারেন তার জন্য নামী ব্র্যান্ডের গাড়ির একটি তালিকাও অভিনেতাকে পাঠানো হয় বলে কানাঘুষো শোনা যায়।
‘জেলার’ ছবির সাফল্য উপলক্ষে রজনীকান্তকে তাঁর পছন্দ অনুযায়ী বিএমডব্লিউ এক্স৭ মডেলের গাড়ি উপহার দেওয়া হয়েছে। এই গাড়িটির মূল্য এক কোটি ২৫ লক্ষ টাকা।
‘জেলার’ ছবির সাফল্যের পর রজনীকান্তের সঙ্গে নতুন একটি ছবিতে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন ওই ছবির প্রযোজক কলানিথি মারান। কানাঘুষো শোনা যায়, ‘থালাইভার ১৭১’ ছবির কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর রজনীকান্তের সঙ্গে পরবর্তী ছবি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করবেন প্রযোজক।