ভারতের প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের মধ্যে রতন টাটা, আজিম প্রেমজি, মুকেশ অম্বানী, আনন্দ মহিন্দ্রা, গৌতম আদানি প্রমুখ ব্যক্তির নাম শীর্ষস্থানীয়। সচরাচর এই ব্যক্তিরা সমাজমাধ্যমে ব্যবসা সংক্রান্ত অথবা প্রযুক্তি সংক্রান্ত কোনও পোস্ট করেন। কিন্তু মাঝেমধ্যে এমন কিছু পোস্ট করতে দেখা যায়, যার মাধ্যমে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের ছবিও ফুটে ওঠে।
‘মহিন্দ্রা গ্রুপ’ সংস্থার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে চেয়ারম্যান আনন্দ মহিন্দ্রা। তাঁর টুইটারে অনুরাগীর সংখ্যা ৯৮ লক্ষ পার করেছে। টুইটারে তিনি বেশ সক্রিয়ও বটে।
২০২১ সালে তিনি নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর পুরনো ছবি পোস্ট করেছিলেন। ক্যাপশনে আনন্দ লিখে জানান, এই ছবিটি ১৯৭২ সালের। ১৭ বছর বয়স ছিল তাঁর। সেই সময় মুম্বই থেকে মাঝেমধ্যেই পুণে যেতেন তিনি। রাস্তায় যে গাড়ি পেতেন, তাতেই উঠে পড়তেন। এই ছবিটিও পুণে যাওয়ার পথে একটি ট্রাকের পিছনে বসে তোলা বলে জানান আনন্দ। তিনি এ-ও জানান, এ ভাবে যাতায়াত করতেন বলেই খোলা রাস্তার প্রতি তাঁর ভালবাসা জন্মায়।
১৮৫৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯৫ সালে ‘আদিত্য বিড়লা গ্রুপ’ সংস্থাটিতে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসেন এই সংস্থার চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লা। বর্তমানে, ১ লক্ষ ৪০ হাজার কর্মী নিয়ে এই সংস্থা ভারতের সফল বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির মধ্যে শীর্ষস্থানীয়।
কুমারের একটি পুরনো ছবি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু এই ছবিটি ঠিক কত দিন আগেকার অথবা এই প্রসঙ্গে কোনও তথ্য জানা যায়নি।
বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ‘আদানি গ্রুপ’ সংস্থার চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। বিমানবন্দর থেকে শক্তি উৎপাদনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌতম তাঁর সংস্থার পরিধি বাড়িয়েছেন।
চলতি বছরের জুন মাসে গৌতমের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে সমাজমাধ্যমে শুভেচ্ছাবার্তা জানান আদানি-পত্নী প্রীতি। শুভেচ্ছাবার্তার সঙ্গে গৌতমের একটি পুরনো ছবিও পোস্ট করেছিলেন তিনি। ছবির ক্যাপশনে প্রীতি লিখে জানিয়েছেন, এই ছবিটি আজ থেকে ৩৬ বছরের পুরনো।
ধীরুবাই অম্বানী থেকে মুকেশ অম্বানী— অম্বানী পরিবারের সদস্যেরা ভারতের ‘ই-কমার্স টাইটান’ নামে পরিচিত। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ‘রিল্যায়ান্স ইন্ডাস্ট্রি’ সাফল্যের শীর্ষে রয়েছে।
এই সংস্থা প্রতিষ্ঠার সাত বছর পর দুই পুত্র-সহ বাবার ছবি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ পায়। চলতি বছরের জুন মাসে ‘ইন্ডিয়ানহিস্ট্রিপিক্স’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে তিন জনের ছবি পোস্ট করা হয়েছিল। এই ছবিতে ধীরুবাই অম্বানীর দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে তাঁর দুই পুত্র অনিল এবং মুকেশকে।
ভারতের শিল্পপতিদের মধ্যে রতন টাটার নাম যেমন উল্লেখযোগ্য, তেমনই সমাজসেবী হিসাবেও তিনি দেশবাসীর মন জয় করেছেন।
২০২০ সালে রতন তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে নিজেরই একটি পুরনো ছবি পোস্ট করেছিলেন। তাঁর পরনে সাদা টি-শার্ট। রতন জানান, তিনি যখন লস অ্যাঞ্জেলসে ছিলেন, সেই সময় এই ছবি তোলা। তবে, এটি কোন বছরে তোলা ছবি, তা জানা যায়নি।
বিশ্বের প্রথম ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে নাম রয়েছে ‘বায়োকন’ বায়ো-ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কিরণ মজুমদার শ-এর। ১৯৭৮ সালে তিনি এই সংস্থার প্রতিষ্ঠা করেন।
সমাজমাধ্যমে কিরণের একটি বহু পুরনো ছবি প্রকাশ্যে আসে। তাঁকে বায়োকন সংস্থার নির্মীয়মাণ বহুতলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এই ছবিটি কোন সালে তোলা হয়েছে তা জানা যায়নি।
ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের একচ্ছত্র সম্রাট বলা হয় আজিম প্রেমজিকে। ‘উইপ্রো লিমিটেড’ সংস্থাকে তিলে তিলে যে ভাবে গড়ে তুলেছেন, তার কথাই অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন আজিম-পুত্র রিশদ।
২০২১ সালে উইপ্রো সংস্থার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে রিশদ তাঁর বাবার একটি পুরনো ছবি তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেন। রিশদ লিখে জানান, ২১ বছর বয়সে তাঁর বাবা একটি বনস্পতি বীজ এনেছিলেন। ৫৩ বছর ধরে সেই বীজটি বেড়ে গেলেও মানুষ হিসাবে একটুও বদলাননি আজিম। তবে, এই ছবিটি কোন সালে তোলা, সেই প্রসঙ্গে কিছু জানাননি রিশদ।