Lionel Messi

আর্জেন্টিনার হৃদয়ে এখন একটাই নাম! বিশ্বকাপের আগে মেসিকে তাতিয়ে দিলেন তরুণী

আর্জেন্টিনার অধিনায়ককে সেমিফাইনালে জয়ের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন সাংবাদিক সোফিয়া মার্টিনেজ। সাড়ে ৪ কোটি দেশবাসীর মনের কথা তিনি জানিয়ে দিয়ে এসেছেন এলএম১০-কে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৪৭
Share:
০১ ১৯

আর্জেন্টিনার মানুষের কাছে বরাবর ফুটবলের ‘ঈশ্বর’ দিয়েগো মারাদোনা। তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি হিসাবে লিয়োনেল মেসির নামও করা হয়। তবে দেশবাসীর হৃদয়ে মারাদোনার যে স্থান, মেসি তা নিতে পারেননি বলেই মনে করেন অনেকে।

০২ ১৯

সমগ্র ফুটবলবিশ্ব যখন মেসির বাঁ পায়ের জাদুতে মজে, তখন তাঁর নিজের দেশের মানুষের কাছে মেসি কতটা প্রিয়, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে। কারণ, মারাদোনা দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন, মেসি এখনও তা পারেননি।

Advertisement
০৩ ১৯

কিন্তু কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের আগে ফুটবলবিশ্বে আর্জেন্টিনীয়দের নিয়ে প্রচলিত সেই ধারণাই কার্যত ভেঙে দিলেন তরুণী সাংবাদিক। এলএম১০-এর সামনে গিয়ে তিনি জানিয়ে দিলেন সাড়ে ৪ কোটি দেশবাসীর মনের কথা।

০৪ ১৯

ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে মেসির স্বপ্নের দৌড় দেখেছে গোটা বিশ্ব। ৩-০ জয়ের নেপথ্যে ছিল তাঁর পায়ের ছোঁয়া। সেই ম্যাচের পর সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়েছিলেন মেসি।

০৫ ১৯

আর্জেন্টিনার অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলতে যান সে দেশের সাংবাদিক সোফিয়া মার্টিনেজ। মেসিকে জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানান তিনি। তার পর বলেন, ‘‘আমি আপনাকে একটাই কথা বলতে চাই, ফাইনালে খেলার ফলাফল যা-ই হোক না কেন, একটা জিনিস আপনার থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।’’

০৬ ১৯

কী সেই জিনিস? সোফিয়া বলেন, ‘‘আপনার নাম আর্জেন্টিনার মানুষের হৃদয়ে অনুরণিত হয়। তাঁদের প্রত্যেকের মনে আপনি রয়েছেন। দেশে কোনও এক জন শিশুও নেই, যে আপনার নামের জার্সি কেনেনি। তা সে নকল হোক, সত্যি হোক, বা কারও বানানো হোক।’’

০৭ ১৯

আর্জেন্টিনার প্রত্যেক নাগরিকের জীবনে মেসি কোনও না কোনও ভাবে দাগ কেটেছেন, জানান সোফিয়া। তাঁর কথায়, ‘‘আমার কাছে কোনও বিশ্বকাপ জেতার চেয়েও বড় পাওয়া। এই সম্মান আপনার কাছ থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। আপনি অসংখ্য মানুষের জীবনে খুশির কারণ হয়ে উঠেছেন। সব কিছুর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’’

০৮ ১৯

সেমিফাইনালের পরেই মেসি ঘোষণা করে দিয়েছেন, দেশের জন্য ফাইনালের ম্যাচই হবে তাঁর শেষ খেলা। এর পর আর তাঁকে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে দেখা যাবে না।

০৯ ১৯

ফুটবলের কেরিয়ারে এখনও পর্যন্ত ৭ বার বর্ষসেরার পুরস্কার জিতেছেন মেসি। যে কোনও সাক্ষাৎকারে তাঁর কাছে ফিরে ফিরে এসেছে একটাই প্রশ্ন, আরও ব্যালন ডি’অর, না কি বিশ্বকাপ, এলএম১০-এর সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত কী?

১০ ১৯

মেসি বারবার উত্তর দিয়েছেন, বিশ্বকাপ হাতে নিয়ে চুম্বন করা তাঁর চিরকালের স্বপ্ন। ফিফার বর্ষসেরার পুরস্কারের চেয়েও কয়েক গুণ দামি সেই সম্মান। তিনি দেশকে আরও এক বার বিশ্বকাপ এনে দিতে চান।

১১ ১৯

সেই স্বপ্ন পূরণের শেষ সুযোগ রবিবার পাবেন মেসি। ফাইনালে তাঁর আর্জেন্টিনা হেরে গেলে কি দেশে তারকা ফুটবলারকে নিয়ে তিক্ততা বাড়বে? জবাবটা কাতারে সাংবাদিক সোফিয়া দিয়ে দিয়েছেন।

১২ ১৯

কাতারে ফাইনালের পর আর্জেন্টিনার ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে মেসি বনাম মারাদোনার দ্বন্দ্ব ঘুচবে কি না তার নিশ্চয়তা নেই। তবে সোফিয়ার কথা ফাইনালের আগে মেসিকে তাতাবে বলে মনে করছেন সমর্থকদের কেউ কেউ।

১৩ ১৯

সেমিফাইনালের আগে মেসি জানিয়েছিলেন, তাঁদের জয়ের নেপথ্যে মারাদোনার হাত রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। স্বর্গ থেকে মারাদোনার আশীর্বাদ তাঁদের সঙ্গে রয়েছে বলেই এতটা দূরে আসতে পেরেছেন তাঁরা।

১৪ ১৯

অদৃশ্য সেই হাত কি ফাইনালেও কেরামতি দেখাতে পারবে? অপেক্ষা আর তিন দিনের।

১৫ ১৯

অনেকেই বলছেন, ’৭৮ বিশ্বকাপের স্মৃতি ফিরে এসেছে গ্রুপপর্বে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের হারের কারণে। ৪৪ বছর আগের সেই বিশ্বকাপেও ফাইনালে ওঠার পথে গ্রুপপর্বে একটি ম্যাচ হেরেছিল আর্জেন্টিনা। ফাইনালের অপর দল নেদারল্যান্ডসও হেরেছিল গ্রুপপর্বে। এ বারও তেমনটা হল— ফাইনালে উঠে আসার পথে একটি করে ম্যাচ হেরেছে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স।

১৬ ১৯

’৭৮ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা! যে হেতু ’৭৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা দুই দলের সঙ্গে এ বারের বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা দুই দলের বেশ কিছু সাদৃশ্য রয়েছে, তাই কাপ জয় নিয়ে আশাবাদী হতেই পারেন আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা।

১৭ ১৯

তবে এমন পরিসংখ্যান ফ্রান্সেরও রয়েছে। যেমন, ১৯৯৮ বিশ্বকাপে প্রথম বিশ্বকাপ জেতে ফ্রান্স। সে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ২–১ গোলে হারিয়েছিল তারা। জোড়া গোল করেছিলেন ফ্রান্সের ডিফেন্ডার লিলিয়ান থুরাম। তার ঠিক ২০ বছর পর ২০১৮ সালে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের মুখোমুখি হয় ফ্রান্স। ১–০ জয়ে ওঠে ফাইনালে। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের হয়ে গোলটি করেছিলেন ডিফেন্ডার স্যামুয়েল উমতিতি। সে বারও ফ্রান্সই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

১৮ ১৯

এর আগে যে দু’টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ডিফেন্ডাররা গোল করেছেন, দু’বারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফ্রান্স। এ বারও যে হেতু সেমিফাইনালে ডিফেন্ডার গোল করেছেন, ফ্রান্স তাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা করতেই পারে।

১৯ ১৯

এমবাপে, গ্রিয়াজমানরা যেমন রয়েছেন ফ্রান্সে, তেমন মেসির পাশে রয়েছেন ‘মাকড়সা’ আলভারেস কিংবা মার্টিনেজের মতো ফুটবলার। ফলে দেশের জার্সি গায়ে শেষ ম্যাচ খেলার আগে মেসি যে মারাদোনাকে স্পর্শ করার শেষ চেষ্টা করবেন, তা কি বলার অপেক্ষা রাখে?

ছবি: রয়টার্স এবং ইমাগো।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement