বলিপাড়ায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন তিনি। রণবীর কপূরের সঙ্গে কাজও করেছেন এই কন্যা। তাঁর অভিনয় নজর কেড়েছে দর্শকমহলে। তিনি শ্রেয়া নারায়ণ।
১৯৮৪ বা ১৯৮৫ সালে জন্ম শ্রেয়ার। বিহারের মুজফ্ফরপুরে জন্ম অভিনেত্রীর। শুধু অভিনেত্রী নয়, শ্রেয়ার আরও একটি পরিচয় রয়েছে।
অনেকেই হয়তো জানেন না যে, দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদের প্রপৌত্রী শ্রেয়া।
২০০৯ সালে বলিপাড়ায় পা রেখেছিলেন শ্রেয়া। ওই বছর তাঁকে দেখা গিয়েছিল ‘নক আউট’ নামে একটি অ্যাকশন-থ্রিলার ছবিতে।
সেই শুরু। তার পর বলিউডে একের পর এক ছবিতে অভিনয় করেছেন শ্রেয়া। অবশ্য নায়িকা হিসাবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটেনি।
বি-টাউনে তাঁকে বেশি পরিচিতি এনে দিয়েছিল ‘সাহেব বিবি অউর গ্যাংস্টার’ ছবি। পরিচালক তিগমাংশু ঢুলিয়ার এই ছবিতে মহুয়ার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল শ্রেয়াকে।
ওই ছবিতে শ্রেয়ার অভিনয় মন ছুঁয়েছিল চলচ্চিত্র সমালোচকদের। তার পর আর তাঁকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক ছবিতে নানা চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরেছেন শ্রেয়া।
‘সাহেব বিবি অউর গ্যাংস্টার’ ছবির আগে অবশ্য আরও কয়েকটি আলোচিত ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শ্রেয়া। যার মধ্যে অন্যতম হল ‘রাজনীতি’, ‘তনু ওয়েডস মনু’।
২০১০ সালে পরিচালক প্রকাশ ঝা’র ছবি ‘রাজনীতি’তে সাংবাদিকের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল শ্রেয়াকে। তবে সেটি ক্যামিয়ো চরিত্র ছিল।
কঙ্গনা রানাউত অভিনীত ‘তনু ওয়েডস মনু’ ছবিতে অতিথি শিল্পী হিসাবে অভিনয় করেছিলেন শ্রেয়া।
সে দিক থেকে দেখতে গেলে ২০১১ সাল শ্রেয়ার জন্য ভাল সময় ছিল। ওই বছরই মুক্তি পেয়েছিল ‘সাহেব বিবি অউর গ্যাংস্টার’। যে ছবির হাত ধরে অভিনয়ের প্রশংসা পেয়েছিলেন শ্রেয়া।
আবার ওই বছরই মুক্তি পেয়েছিল রণবীর কপূরের ‘রকস্টার’। ছবিতে রণবীরের চরিত্রের বৌদির ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল শ্রেয়াকে।
শুধু অভিনয় নয়। শ্রেয়া নিজেকে এক জন গীতিকার হিসাবেও তুলে ধরেছেন। মাধুরী দীক্ষিত অভিনীত ‘গুলাব গ্যাং’ ছবিতে ‘শরম লাজ’ গানটি লিখেছেন শ্রেয়া।
শুধু অভিনয় নয়। শ্রেয়া নিজেকে এক জন গীতিকার হিসাবেও তুলে ধরেছেন। মাধুরী দীক্ষিত অভিনীত ‘গুলাব গ্যাং’ ছবিতে ‘শরম লাজ’ গানটি লিখেছেন শ্রেয়া।
ছবির পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করেছেন শ্রেয়া। সম্প্রতি ‘পার্ট টাইম জব’ নামে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।