বেকহ্যাম, রোনাল্ডিনহো, ফিগো থেকে মেসি, রোনাল্ডো বা এমবাপে। বহু কোটি টাকায় দলবদল করে বার বার নজির গড়েছেন খ্যাতনামী ফুটবলারেরা। অসাধারণ ফুটবলারদের ক্লাব বদলের ইতিহাস খুবই সাধারণ। কিন্তু এমনও বহু তারকা ফুটবলার রয়েছেন যাঁরা পেশাদার জীবনে কখনও ক্লাব পরিবর্তন করেননি। আজীবন একই ক্লাবে খেলে গিয়েছেন তাঁরা। সেই তালিকায় রয়েছেন ইউরো থেকে বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারও।
ফ্রান্সিস্কো তোত্তি, রোমা: ইতালির বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। আজীবন রোমার হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেছেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। মনে করা হয় ক্লাব ফুটবলে মন দেবেন বলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন তোত্তি। ২৪ বছর একই ক্লাবের হয়ে ৬১৯টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি, করেছেন ২৫০টি গোল।
রায়ান গিগস, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড: তোত্তির মতো ২৪ বছর একই ক্লাবে খেলার রেকর্ড রয়েছে রায়ান গিগসেরও। তাঁকে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা উইঙ্গার বলে মনে করেন অনেকেই। ১৯৯০ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ৬৭২টি ম্যাচ খেলেছেন গিগস। করেছেন ১১৪টি গোল।
পাওলো মালদিনি, এসি মিলান: তালিকার আর এক বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার। যুব কেরিয়ার-সহ এসি মিলানের হয়ে ৩১ বছর খেলেছেন মালদিনি। ৩৯ বছর বয়সে পেয়েছেন উয়েফার সেরা ডিফেন্ডারের পুরস্কার। ৪১ বছর বয়সে অবসর নেওয়ার আগে দলের হয়ে ২৬টি খেতাব জিতেছিলেন তিনি।
কার্লোস পুয়োল, বার্সেলোনা: ২০০৮ সালের ইউরো এবং ২০১০ সালের বিশ্বকাপজয়ী স্পেন দলের সদস্য পুয়োল ২০১০ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে জার্মানির বিরুদ্ধে দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন। ক্লাব পর্যায়ে বার্সেলোনা ছাড়া আর কোনও দলের হয়ে খেললেননি এই ডিফেন্ডার। বার্সার হয়ে ১৫ বছরে ৩৯২টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
স্যান্দ্রো মাজ়োলা, ইন্টার মিলান: ইতালির আর এক ফুটবলার যিনি একটিমাত্র ক্লাবের হয়ে আজীবন খেলে গিয়েছেন। ১৯৬০ থেকে ১৯৭৭, টানা ১৭ বছর ইন্টার মিলানের হয়ে খেলেছেন এই আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার। ক্লাবের হয়ে ১১৭টি গোলও করেছেন স্যান্দ্রো।
ফ্র্যাঙ্কো বারেসি, এসি মিলান: এসি মিলানের ঘরের ছেলে। ২০ বছরের ক্লাব ফুটবলের কেরিয়ারে ১৫ বছর অধিনায়কত্ব করেছেন। এসি মিলানের হয়ে ৫৩২টি ম্যাচ খেলেছেন এই ডিফেন্ডার।
পল স্কোলস, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড: ২০ বছর ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলেছেন ব্রিটিশ মিডফিল্ডার। কেরিয়ারে তিন বার অবসর নিয়েছেন স্কোলস। কেরিয়ারে ১১টি প্রিমিয়ার লিগ, দু’টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং দু’টি এফ এ কাপ জিতেছেন স্কোলস।
লেভ ইয়াসিন, ডায়নামো মস্কো: অনেক ফুটবল বিশেষজ্ঞের মতে বিশ্বের সর্বকালের সেরা গোলরক্ষক। ২০ বছরের ক্লাব কেরিয়ারে কখনও ক্লাব বদল করেননি ইয়াসিন। ডায়নামো মস্কোর হয়ে ৩২৬টি ম্যাচ খেলেছেন ‘ব্ল্যাক স্পাইডার’।
গ্যারি নেভিল, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড: ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের আর এক ঘরের ছেলে। লাল ম্যাঞ্চেস্টারের হয়ে ৪০০ ম্যাচ খেলেছেন এই রাইট ব্যাক। ক্লাবের হয়ে আটটি প্রিমিয়ার লিগ এবং দু’টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন নেভিল।
টনি অ্যাডামস, আর্সেনাল: আর্সেনালের এই সেন্টার ব্যাক ক্লাবের হয়ে খেলেছেন পাঁচ শতাধিক ম্যাচ। ১৯ বছরের ক্লাব কেরিয়ারে টোনি পেয়েছেন বহু সম্মান, জিতেছেন একাধিক ট্রফি।