australia

Fatima Payman: প্রথম চেষ্টাতেই ভোটে জয়! ইনিই এখন ‘ভিন্‌ দেশের’ হিজাব পরা একমাত্র সেনেটর

আফগান-অস্ট্রেলীয় হিসাবে সেনেটের ইতিহাসে ঢুকে পড়লেও এ নিয়ে বেশি মাতামাতি করতে নারাজ ফাতিমা ফাতিমা পেম্যান।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২২ ১৩:০০
Share:
০১ ১৬

তালিবানের ভয়ে দেশছাড়া এক শরণার্থীর মেয়েই এখন আন্তর্জাতিক সংবাদের শিরোনামে। তিনিই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম হিজাব পরিহিতা সেনেটর। আবার এই মুহূর্তে সে দেশের সেনেটে সর্বকনিষ্ঠাও বটে। তিনিই প্রথম আফগান মুসলিম, যিনি অস্ট্রেলিয়ার আইনসভায় জায়গা করে নিয়েছেন। ফাতিমা পেম্যানের সঙ্গে এমন বেশ কয়েকটি ‘কীর্তি’ জুড়ে গিয়েছে।

০২ ১৬

গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার সেনেটর হিসাবে দায়িত্বভার নিয়েছেন ২৭ বছরের ফাতিমা। প্রথম আফগান-অস্ট্রেলীয় হিসাবে সেনেটের ইতিহাসে ঢুকে পড়লেও এ নিয়ে বেশি মাতামাতি করতে নারাজ তিনি। বরং জানিয়েছেন, তিনি এমন দিনের আশায় রয়েছেন, যখন শুধু মাত্র 'হিজাব পরা' সেনেটর বা মন্ত্রী হিসেবে তিনি আলোচিত হবেন না।

Advertisement
০৩ ১৬

হিজাব পরিহিতা সেনেটরকে নিয়ে এত মাতামাতি কেন? তিনিও তো অন্য অনেক অস্ট্রেলীয় নাগরিকের মতো ‘সাধারণ’। সেনেটে নিজের ভাষণে এমন কথাই বলেছেন ফাতিমা। তাঁর মন্তব্য, ‘‘কেউ যদি বড়সড় শর্টস বা চপ্পল পরেন, সেটা নিশ্চয়ই তাঁর পরিচয় হতে পারে না। আমি সে ভাবে কাউকে বিচার করি না। সুতরাং মাথায় এক টুকরো স্কার্ফ পরাটাই আমাকে বিচারের মাপকাঠি হতে পারে না। আমিও বাকি অস্ট্রেলীয়দের মতোই।’’

০৪ ১৬

নিজেকে আমঅস্ট্রেলীয় বলে পরিচয় দিলেও ফাতিমার জীবন আদৌ মসৃণ ছিল না। বাবা ছিলেন আফগানিস্তানের বাসিন্দা। কাবুলের হাজারা জনজাতির ফাতিমারা অবশ্য সে দেশে বেশি দিন থাকতে পারেননি।

০৫ ১৬

১৯৯৫ সালে ফাতিমার জন্মের পাঁচ বছর পর চার সন্তান এবং স্ত্রীকে ছেড়ে তাঁর বাবা বাধ্য হন দেশ ছাড়তে। তালিবানের ভয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিলেন ফাতিমার বাবা। ’৯৯-এ অস্ট্রেলিয়ার গিয়ে পৌঁছন তিনি।

০৬ ১৬

দু’বেলা দু’মুঠো জোটাতে অস্ট্রেলিয়ার ট্যাক্সি চালাতেন ফাতিমার বাবা। সেই সঙ্গে রেস্তরাঁর কিচেনে কাজের মতো টুকটাক রোজগারও শুরু করেছিলেন। এক সময় নিজের পরিবারকে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে আসেন তিনি। ফাতিমার তখন আট বছর বয়স।

০৭ ১৬

ছোটবেলায় ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পার্থে থাকতেন ফাতিমারা। বাবার মতো তাঁর মা-ও তখন রোজগার শুরু করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার ড্রাইভিং শেখানোর ব্যবসা শুরু করেন তিনি।

০৮ ১৬

২০১৮ সালে লিউকোমিয়ায় মারা যান ফাতিমার বাবা। তত দিনে অস্ট্রেলিয়ার ইসলামিক কলেজ থেকে ফার্মাসি নিয়ে পড়াশোনা সেরে ফেলেছেন ফাতিমা। নৃতত্ত্ব এবং সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকও হয়েছেন। সঙ্গে ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস-এ একটি ডিপ্লোমাও করে ফেলেছেন।

০৯ ১৬

ইচ্ছে ছিল, মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনার। তবে তার বদলে রাজনীতির আঙিনায় পা রাখেন ফাতিমা। ২০১৮ সালে ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নে যোগ দেন। পাশাপাশি, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় ইয়ং লেবার দলেও নাম লিখিয়েছিলেন।

১০ ১৬

লেবার পার্টির যুব শাখায় যোগ দেওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন ফাতিমা। জানিয়েছেন, কর্মজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাবাকে যে কতটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, তা প্রত্যক্ষ করেছিলেন। সে ঘটনাগুলিই তাঁকে শোষিতের হয়ে সরব হতে শিখিয়েছিল।

১১ ১৬

চলতি বছরে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া থেকে সেনেটর পদের দৌড়ে নামেন ফাতিমা। প্রথম চেষ্টাতেই সাফল্য। তবে প্রথম দফাতেই যে একেবারে সেনেটে পৌঁছে যাবেন, তা স্বপ্নেও ভাবেননি। উল্টে ভেবেছিলেন, ২০১৫ সালে সেনেটর হওয়ার জন্য খানিকটা ‘অনুশীলন’ সেরে নেওয়া যাক!

১২ ১৬

দীর্ঘ দিন ধরে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের পর ২০০৫ সালে ফাতিমাকে সে দেশের নাগরিকত্ব দেয় সে দেশের সরকার। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হওয়ার পর আফগানিস্তানের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি।

১৩ ১৬

যদিও নাগরিকত্ব ছাড়া নিয়ে আফগান দূতাবাস থেকে ফাতিমাকে নিরস্ত করা হয়। জন্মভূমির নাগরিকত্ব না-ছাড়ার পরামর্শ দেয় আফগান দূতাবাস। ইতিমধ্যেই সে দেশে তালিবান শাসন শুরু হয়ে গিয়েছিল। এই ডামাডোলে আফগানিস্তানের নাগরিক থেকে গিয়েছেন ফাতিমা।

১৪ ১৬

লেবার পার্টির হয়ে বিজেতা ফাতিমাই হলেন সে দেশের তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ সেনেটর। এই মুহূর্তে তিনিই সর্বকনিষ্ঠ অস্ট্রেলীয় সেনেটর।

১৫ ১৬

সেনেটর হিসাবে নিজের লক্ষ্যও জানিয়ে দিয়েছেন ফাতিমা। বলেছেন, ‘‘বিবিধ ক্ষেত্র থেকে প্রতিনিধিদের রাজনীতিতে আনতে চাই। শিশুশিক্ষার মান উন্নত করা এবং পরিবেশ রক্ষার কাজেও নিজেকে নিয়োজিত করতে আগ্রহী আমি।’’

১৬ ১৬

আরও একটি ইচ্ছে রয়েছে ফাতিমার। হিজাব যে অন্যান্য পোশাকের মতোই ‘স্বাভাবিক’, সে কথাও সকলের মনে গেঁথে দিতে চান ফাতিমা!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement