আবার ইডি হানা এবং কোটি কোটি টাকা উদ্ধার। এ বার ঘটনাস্থল ‘বাণিজ্য নগরী’ মুম্বই। নিশানায় আবাসন কেলেঙ্কারি মামলায় যুক্ত ব্যবসায়ী ললিত টেকচন্দানি ও তাঁর সহযোগীরা।
পেশায় ইমারত ব্যবসায়ী টেকচন্দানির বাড়ি-সহ ২২টি ঠিকানায় তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ই়ডি)। মুম্বইয়ের আবাসন কেলেঙ্কারিতে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁদের বিরুদ্ধে।
সেই তল্লাশি অভিযানে নগদ ছাড়াও মোট ৩০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে ইডির এক সূত্র।
ইডি সূত্রের খবর, ললিত এবং তাঁর দুই সহযোগী অমিত এবং ভিকি ওয়াধানির বিরুদ্ধে ৪০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠে।
সেই মামলায় গত ৭ ফেব্রুযারি মুম্বই এবং নভি মুম্বইয়ে ওই ইমারত ব্যবসায়ী এবং তাঁর দুই সহযোগীর বাড়ি-সহ ২২ ঠিকানায় তল্লাশি চালায় ইডি।
শুধু সম্পত্তি বাজেয়াপ্তই নয়, ব্যবসায়ী এবং তাঁর সহযোগীদের বেশ কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ় করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর।
তালজোলা এবং চেম্বুর থানায় ওই ব্যবসায়ী এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে একাধির ধারায় দু’টি এফআইআর দায়ের হয়েছিল।
অভিযোগ ওঠে, নভি মুম্বইয়ের তালজোলায় ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে ক্রেতাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করেন।
১৭০০ জনের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই টাকার পরিমাণ ৪০০ কোটি।
আরও অভিযোগ, টাকা নেওয়ার পরেও ফ্ল্যাট দেওয়া হয়নি ক্রেতাদের। তার পরই দু’টি থানায় মামলা দায়ের হয়। সেই মামলারই তদন্ত করছে ইডি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় আবাসন কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত বেশি কিছু নথি তাদের হাতে এসেছে।
ক্রেতাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পরিবারের সদস্য-সহ বেশ কিছু ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা গচ্ছিত রাখা হয়। সেই অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ় করা হয়েছে।