চেন্নাইকে পঞ্চম বারের জন্য আইপিএল ট্রফি উপহার দেওয়ার দক্ষিণা হিসাবে তাঁর পকেটে নাকি ১২ কোটি টাকা ঢুকেছে। তবে আইপিএলের মঞ্চ ছাড়াও আয়ের নানা পথ খুলে রেখেছেন চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন মাহি। তবে তার পরেও টি-টোয়েন্টি এবং এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছেন তিনি।
২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি এবং এক দিনের ফরম্যাট থেকেও সরে দাঁড়ান ধোনি। এর পর থেকে আইপিএল ছাড়া কোনও টুর্নামেন্টেই দেখা যায় না তাঁকে। তবে আইপিএল ছাড়াও অসংখ্য উপায়ে আয় করছেন তিনি। সেগুলি কী কী? কতটা ধনবান ধোনি?
অনেকের মতে, দেশের অন্যতম ধনী খেলোয়াড়দের তালিকায় একেবারে উপরের দিকে রয়েছেন ধোনি। ২২ গজের বাইরেও নানা ক্ষেত্রে তাঁর বিনিয়োগ। ক্রিকেটার ধোনিকে তো সকলেই চেনেন। তবে উদ্যোগপতি ধোনিকে ক’জন চেনেন?
একটি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় স্বত্ব রয়েছে ধোনির। আইপিএলে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী দল বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি এই সংস্থার গ্রাহকদের তালিকায় রয়েছেন।
এ ছাড়া, এই স্পোটর্স ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কাছে টিম ইন্ডিয়ায় অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং জোরে বোলার ভুবনেশ্বর কুমারের কাজকর্ম সামলানোর দায়িত্বও রয়েছে।
৭ নম্বরের জন্য আলাদা টান রয়েছে ধোনির। আইপিএলে এই নম্বরের জার্সিতে তাঁকে দেখা যায়। তার কারণও অবশ্য সিএসকে-র ইউটিউব চ্যানেলে খোলসা করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, ৭ জুলাই তাঁর জন্মদিন হওয়ায় ওই নম্বরের জার্সি গায়ে চড়িয়েছেন।
২০১৬ সালে পোশাক ও জুতোর যে নিজস্ব ব্র্যান্ড খুলেছিলেন ধোনি, তার নামও ছিল এই ৭ সংখ্যা দিয়েই। সে ব্র্যান্ডের সম্পূর্ণ মালিকানাই ধোনির।
খাদ্য ও পানীয়ের একটি ব্র্যান্ডের মালিকও ধোনি। সেই স্টার্ট-আপ ব্র্যান্ড ছাড়াও একটি চকোলেট ব্র্যান্ডের মালিকানা রয়েছে তাঁর। নিজস্ব ব্র্যান্ডের মালিকানা ছাড়া আরও একাধিক নামী ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে দেখা যায় ধোনিকে।
৪১ বছর বয়সেও ২২ গজে ধোনির মতো ফিট ক্রিকেটার কমই রয়েছেন। ফিটনেসের প্রসারে দেশ জুড়ে ২০০টির বেশি জিম রয়েছে তাঁর।
ছোটবেলায় উইকেটরক্ষা এবং ব্যাটিং করার পাশাপাশি গোলরক্ষক হিসাবেও ময়দানে নেমেছেন ধোনি। অন্য খেলাধুলোয় উৎসাহ থেকে ফুটবল দল কিনেছেন তিনি। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের দল চেন্নাইয়ান এফসি-র মালিকানা ছাড়াও রাঁচী রেজ় নামে একটি হকি দলেরও অংশীদার মাহি।
ফিটনেস বা পোশাকের ব্র্যান্ড ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রেও বিনিয়োগ করেছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’। বেঙ্গালুরুতে একটি স্কুল খুলেছেন তিনি। ওই স্কুলের পরিচালনায় গাঁটছড়া বেঁধেছেন মাইক্রোসফ্টের মতো বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে।
বিনোদন জগতেও পা রেখেছেন মাহি। তাঁর সংস্থা ইতিমধ্যেই ‘লেটস গেট ম্যারেজ’ নামে একটি তামিল সিনেমা তৈরি করেছে।
তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রেও নাকি বিনিয়োগ রয়েছে এমএসডি-র। একটি সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসাবে দেখা যায় তাঁকে। ওই ড্রোন তৈরির সংস্থায় নাকি বিনিয়োগ করেছেন তিনি।
হোটেল ব্যবসা থেকেও আয় করছেন ধোনি। মাহির একমাত্র হোটেলটি রয়েছে রাঁচীতে।
স্পোটর্স মোটরবাইক রেসিংয়েও নাম কামাচ্ছে মাহির দল। ইতিমধ্যেই সুপারস্পোর্টস ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছে তাঁর দল ‘মাহি রেসিং টিম ইন্ডিয়া’। ৬০০ থেকে ৭০০ সিসি ইঞ্জিনের বাইকারদের দলে রয়েছেন তেলুগু অভিনেতা নাগার্জুনও।
ক্রিকেট ছাড়াও নানা ক্ষেত্র থেকে মাহির উপার্জন নাকি চোখ কপালে তোলার মতো। সংবাদমাধ্যমের দাবি, ধোনির সম্পত্তির পরিমাণ ১ হাজার ৩০ কোটি টাকা।