বলিপাড়ার এক দিকে সুখবরের বন্যা বইছে। বলি তারকাদের ঘর আলো করে আসছে নতুন অতিথি, মাঝেমধ্যেই বিয়ের সানাই বাজছে টিনসেল নগরীতে। এত খুশির মাঝেও শিরোনামে রয়েছেন প্রাক্তন ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরী সুস্মিতা সেনের ভাই রাজীব সেন এবং তাঁর স্ত্রী চারু অসোপার দাম্পত্য জীবন।
দুই পক্ষের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি লেগেই রয়েছে। এক জন অভিযোগ জানালে অন্য জনও পাল্টা অভিযোগ করছেন। চারুর অভিযোগ, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রাজীব। রাজীবের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগও তোলেন তিনি।
সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন চারু। তিনি জানান, অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন কয়েক মাসের জন্য রাজস্থানের বিকানেরে ছিলেন। মুম্বইয়ে ফিরে আসার পর তিনি সন্দেহ করেন, রাজীব অন্য একটি সম্পর্কে রয়েছেন।
চারুর অভিযোগ, সেই সময় রোজ সকালে জিমে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন রাজীব। কিন্তু ফিরতেন রাত করে। কেন দেরি হয়েছে তা জিজ্ঞাসা করলে রাজীব জানাতেন, রাস্তায় ট্রাফিক বেশি ছিল বলে তাঁর বাড়ি ফিরতে দেরি হয়েছে।
চারুর অভিযোগ, রাজীবের ব্যাগের ভিতর থেকেও এমন কিছু জিনিস খুঁজে পান যা দেখে তিনি নিশ্চিত হন যে, রাজীব পরকীয়ায় জড়িয়েছেন।
কিন্তু চারুর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ আনেন রাজীব। তাঁর অভিযোগ, গাড়ির চালকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন চারু।
চারু জানান, ম্যারেজ কাউন্সেলরের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন চারু। রাজীবকেও তাঁর সঙ্গে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু চারুর সঙ্গে যেতে চাননি রাজীব। তাই গাড়ির চালকের সঙ্গে বেরিয়ে যান চারু।
চারুর অভিযোগ, বিনা কারণে তাঁকে সন্দেহ করতেন রাজীব। এই নিয়ে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত। কিন্তু শুধু গাড়ির চালকের সঙ্গেই নন, অভিনেতা কর্ণ মেহরার সঙ্গেও পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন চারু, অভিযোগ রাজীবের।
রাজীবের দাবি, তিনি চারুর মায়ের কাছ থেকে একটি ভয়েজ় নোট পান। এমনকি কিছু ভিডিয়োও তাঁকে পাঠান চারুর মা, যেখানে সব তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। কিন্তু চারু এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
চারু জানান, ‘ইয়ে রিস্তা ক্যায়া কহেলতা হ্যায়’ ধারাবাহিকে কাজ করার সময় কর্ণের সঙ্গে তাঁর আলাপ ছিল। মাঝে ১২ বছর কোনও দেখাসাক্ষাৎ হয়নি তাঁদের। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন চারু।
কানাঘুষো শোনা যায়, নিশা রাওয়ালের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর চারুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন কর্ণ।
চারুর সঙ্গে কিছু রিল ভিডিয়োতেও দেখা গিয়েছে কর্ণকে। রাজীবের অভিযোগ, চারু এমন কিছু কাজ করেছেন যাতে তাঁর সম্মানহানি হয়েছে।
চারু নাকি রাজীবের পরিবারের নাম খারাপ করেছেন, অশালীন আচরণও করেছেন। এমনটাই অভিযোগ রাজীবের।
অন্য দিকে চারু জানিয়েছেন, তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে পরিবারের সকলে খুব খুশি হয়েছেন। সুস্মিতার দিকেও আঙুল তুলেছেন তিনি।
সুস্মিতা নাকি চারুকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, এই সম্পর্কে থেকে ভাল না থাকলে যেন বেরিয়ে আসেন চারু।
চারুর অভিযোগ, সুস্মিতা কোনও দিন চাইতেন না যে রাজীবের সঙ্গে চারু সংসার করুক। তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে আনন্দ পেয়েছেন সুস্মিতা।
সুস্মিতা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এখনও চারুর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তাঁর।
২০১৯ সালে টেলি অভিনেত্রী চারু অসোপাকে বিয়ে করেন রাজীব। কিন্তু দিন দিন জটিল হয়েছে চারু-রাজীবের বৈবাহিক সম্পর্ক।
যদিও সম্পর্কের সুতো এখনও পুরোপুরি ছিঁড়ে যায়নি। তবে শেষমেশ কী পরিণতি হয় এই যুগলের, তা সময়ই বলবে!