মুকেশ অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্তের আংটিবদলের অনুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে সারা হল ‘অ্যান্টেলিয়া’য়। তার ঠিক এক মাস পর আবার মেতে উঠেছে অম্বানীর অন্দরমহল। মুকেশের ভাই অনিলের পুত্র জয় অন্মোল অম্বানী এবং কৃশা শাহের প্রথম বিবাহবার্ষিকী।
অনিলের স্ত্রী টিনা নিজের নেটমাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেন। সেই ছবিতে অনিল, টিনা, জয় এবং কৃশাকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে। ছবিটি পোস্ট করে জয় এবং কৃশাকে বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান। টিনা বলেন, ‘‘আমাদের পরিবারকে তুমি আলোকিত করছ।’’
নেটমাধ্যমে এই ছবিটি ছড়িয়ে পড়ার পর নেটব্যবহারকারীদের মধ্যে অম্বানীর পুত্রবধূকে নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়। তাঁর পরিচয় জানতে আগ্রহী হয়ে পড়েছেন অনেকেই। ২০২২ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন জয় এবং কৃশা।
কৃশার বাবা ‘নিকুঞ্জ এন্টারপ্রাইজ়েস’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন। এ ছাড়াও ‘এসভিএস অ্যাকোয়া টেকনোলজি’ নামে একটি সংস্থার ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। কৃশার মা ছিলেন এক জন পোশাকশিল্পী। একাংশের অনুমান, পরিবার সূত্রে আলাপ হয়েছিল জয় এবং কৃশার।
কিন্তু পরিবারের কাউকে না জানিয়ে জয় এবং কৃশা একে অপরকে ডেট করতে শুরু করেন। তার পর সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন দু’জনে। ২০২১ সালে মারা যান কৃশার বাবা।
২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে অম্বানী-পুত্র জয়ের সঙ্গে বাগ্দান পর্ব সেরে ফেলেন কৃশা। বাগ্দান পর্বের প্রায় দু’মাসের মধ্যেই বিয়ে করেন জয় এবং কৃশা। দুই ভাইবোনের সঙ্গে মুম্বইয়েই বড় হয়ে ওঠা অম্বানী পুত্রবধূর।
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন কৃশা। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া থেকে রাজনৈতিক অর্থনীতি নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করেছিলেন তিনি।
তার পর লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স থেকে সমাজনীতি এবং উন্নয়ন নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন কৃশা। সমাজসেবার সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুক্ত ছিলেন তিনি।
ব্রিটেনে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে দীর্ঘ দিন যুক্ত ছিলেন কৃশা। কিন্তু পরে সেই কাজ ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন তিনি।
ভারতে এসে ‘ডিস্কো’ নামে নিজস্ব সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন কৃশা। এই সংস্থা ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে নামী সংস্থাগুলির মধ্যে একটি যোগসূত্র তৈরি করে।
কৃশা জানিয়েছেন, শুধু ভারতেই নয়, আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যবসায়ীদের অনলাইন এবং অফলাইন মাধ্যমে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে সক্ষম তাঁর সংস্থা।
নিজস্ব সংস্থা তৈরির পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও কাজ করেন কৃশা। অতিমারির সময় কোন কোন ধরনের মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে, তা নিয়ে প্রচার করেছিলেন কৃশা।
যদিও কাজ নিয়েই বেশির ভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন কৃশা। সমাজমাধ্যমে তেমন সক্রিয় নন তিনি। ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুরাগী সংখ্যাও অনেকটাই কম। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুরাগী সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার ছুঁইছুঁই।