হিন্দি ছবির তালিকায় ‘সূর্যবংশম’ এমন একটি সিনেমা যা বক্স অফিসে ফ্লপ করলেও ছোট পর্দা থেকে ব্যবসা করে নিয়েছিল। অমিতাভ বচ্চন অভিনীত এই সিনেমাটিকে ঘিরে সমাজমাধ্যমে নানা রকমের মজার ছবি এবং ভিডিয়ো ঘোরাফেরা করে। এই ছবি নাকি প্রতি সপ্তাহেই এক বার করে দেখানো হয় টেলিভিশনের পর্দায়।
তবে, ‘সূর্যবংশম’ ছবিটিকে নিয়ে যতই সমাজমাধ্যমে মজা করা হোক না কেন, অনেকের কাছেই এই ছবির নেপথ্যকাহিনি অজানা। পরিচালক ইভিভি সত্যনারায়ণের প্রথম পছন্দ ছিলেন না অমিতাভ।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, হিন্দি ফিল্মজগতের অর্ধেকের বেশি অভিনেতাকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সত্যনারায়ণ। কিন্তু সকলেই তাঁর প্রস্তাব খারিজ করে দেন। শেষে অমিতাভের কাছে প্রস্তাব নিয়ে গেলে অভিনেতা সেই প্রস্তাবে রাজি হন। অমিতাভ রাজি হলে দেরি না করে ছবির শুটিং শুরু করেন পরিচালক।
কানাঘুষো শোনা যায়, সত্যনারায়ণ নাকি মিঠুন চক্রবর্তীকে এই চরিত্রের জন্য প্রথমে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু মিঠুন পরিচালকের প্রস্তাবে রাজি হননি।
তার পর মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব যায় সানি দেওল, সঞ্জয় দত্ত এবং অনিল কপূরের কাছে। তিন অভিনেতাই ‘সূর্যবংশম’ ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হননি।
বাধ্য হয়ে সত্যনারায়ণ তখন জ্যাকি শ্রফের কাছে যান। নব্বইয়ের দশকে ইন্ডাস্ট্রিতে ভাল পরিচিতি গড়ে তুলেছিলেন জ্যাকি। কিন্তু সত্যনারায়ণের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন জ্যাকিও।
সলমন খান এবং আমির খান দু’জনেই সেই সময় সুপারহিট ছবি উপহার দিয়ে ফেলেছেন দর্শককে। কিন্তু সলমন, আমিরও এই ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হননি।
সত্যনারায়ণ তার পর গোবিন্দ থেকে শুরু করে অক্ষয় কুমার, সুনীল শেট্টি, অজয় দেবগন এবং সইফ আলি খানের কাছে গিয়েছিলেন। কোনও অভিনেতাই ‘সূর্যবংশম’ ছবিতে কাজ করতে রাজি হননি।
আর কোনও উপায় না দেখে সত্যনারায়ণ শেষ পর্যন্ত অমিতাভের কাছে যান। পরিচালক ভেবেছিলেন, অমিতাভও ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেবেন। কিন্তু চিত্রনাট্য শোনার পর সত্যনারায়ণের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান বিগ বি।
অমিতাভ রাজি হওয়ার পর সত্যনারায়ণ আর দেরি না করে ‘সূর্যবংশম’ ছবির শুটিং শুরু করে দেন। তবে ৭ কোটি টাকা বাজেটের এই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে।
‘সূর্যবংশম’ মুক্তির পর জানা যায়, এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য ইন্ডাস্ট্রির ১২ জন অভিনেতার কাছে প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন পরিচালক। সবার শেষে প্রস্তাব যায় অমিতাভের কাছে।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, ১২ জন অভিনেতারই চিত্রনাট্য শুনে পছন্দ হয়েছিল। তবে তাঁরা শুধুমাত্র অল্পবয়সি ঠাকুর ভানুপ্রতাপের চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি ছিলেন। প্রৌঢ় ঠাকুর ভানুপ্রতাপের চরিত্রে অভিনয় করতে কেউ রাজি হননি। তাই সকলে প্রস্তাব খারিজ করে দেন।
শুধুমাত্র অমিতাভই অল্পবয়সি এবং প্রৌঢ় ঠাকুর ভানুপ্রতাপের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য রাজি হয়েছিলেন। ‘সূর্যবংশম’ ছবিতে অমিতাভকে দ্বৈতচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়।