প্রত্যাশা ছিল আকাশ ছোঁয়া। ছিল কিছুটা উৎকণ্ঠাও। শেষমেশ তারই মধ্যে ভূমিষ্ঠ হল মোদী সরকারের প্রথম বাজেট। অরুণ জেটলির হাত ধরে। কেউ কেউ বললেন, বাজেট বেশ ভাল। কারণ, সাধারণ মানুষ, বিশেষত মধ্যবিত্তের কিছুটা সুরাহা হবে এতে। তেমনই অনেকের প্রশ্ন, যতটা আশা ছিল, ততটা ভাল হল কোথায়?
তবে আমার-আপনার মতো সাধারণ মানুষের অতশত বোঝার দায় নেই। তা ছাড়া, সবাইকে সব দিয়ে দিলখুশ করে দেওয়া দুনিয়ার কোনও অর্থমন্ত্রীর পক্ষে সম্ভবও নয়। যে কারণে সাধারণত সকলের জন্যই কিছু-না-কিছু রাখার চেষ্টা করা হয় বাজেটে। এ বারের কেন্দ্রীয় বাজেটও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই আসুন, এক সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে বাজেট বিশ্লেষণের কাজটা সেরে ফেলি আমরা। একেবারে আমাদের মতো করেই। খুঁজে দেখার চেষ্টা করি, এই বাজেটে সত্যিই কী পেলাম। বাজেট বক্তৃতা আমরা টিভিতেই শুনেছি। কিন্তু তার বাইরেও নথিতে অনেক ছোট হরফের লেখা থাকে, যা অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ। এখন তা মোটামুটি পড়ে ফেলার পরে আসুন দেখি সব মিলিয়ে বাজেট কেমন দাঁড়াল আমাদের জন্য।
এক নজরে সুবিধা
করহীন আয়ের সীমা দু’লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে তিন লক্ষ হতে পারে বলে জল্পনা ছিল বাজেটের অনেক আগে থেকেই। ততটা পাওয়া যায়নি ঠিকই, তবে তার জায়গায় তা হয়েছে ২.৫ লক্ষ টাকা। যা খুব মন্দ নয়। বিশেষত যখন অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা লগ্নির উপর কর ছাড়ের সুযোগ মিলছে ৮০সি ধারায়।
এ ছাড়া ঋণ নিয়ে যাঁরা বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনবেন, তাঁদের জন্য সুদের উপর থাকছে আগের তুলনায় বেশি করছাড়ের সুবিধা। কিছু কিছু পণ্যের দাম কমানোরও ব্যবস্থা রয়েছে এই বাজেটে। আসুন এক-এক করে এই প্রাপ্তিযোগে চোখ রাখি আমরা—
আয়করে ছাড়
বহু কষ্ট আর খরচ করে বড় ডিগ্রি পেলাম। ক্যাম্পাস থেকেই পেয়ে গেলাম সাধের চাকরি। বেতনও হয়তো শুনতে মন্দ নয়। কিন্তু সেই বেতন যখন কর কেটে হাতে এল, তখন আনন্দের অনেকটাই মাটি। বেতন বাড়ার পরেও অনেক সময়ে এই একই রকম অভিজ্ঞতা হয় আমাদের। আর সেই কারণেই বাজেটের দিকে অনেক আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকি আমরা। দেখি, আয়করে কিছুটা অন্তত ছাড় মিলল কিনা।
তাই প্রথমেই সঙ্গের সারণিতে চোখ রাখুন। দ্বিতীয় সারণিতে দেখাতে চেষ্টা করেছি বাজেটের পরে এই অর্থবর্ষে করের হার কার জন্য কেমন দাঁড়াল। আর তার দৌলতে ন্যূনতম কত টাকা বাঁচবে। আর প্রথম সারণিতে তিনটি আয়ের উদাহরণ (৫, ১০ ও ১৫ লক্ষ) নিয়ে সহজ করে দেখানোর চেষ্টা করেছি কী ভাবে নিজেদের আয়করের অঙ্ক মোটামুটি ভাবে হিসেব করতে পারি আমরা। বোঝাতে চেষ্টা করেছি প্রথমে ৮০সি ধারার সঞ্চয় এবং করশূন্য আয় বাদ দিয়ে কী ভাবে বিভিন্ন হারে কর চাপে আয়ের অঙ্কে। আশা করি, এতে কিছুটা হলেও সুবিধা হবে আপনাদের। তবে মনে রাখবেন, দু’ক্ষেত্রেই কিন্তু ধরে নেওয়া হয়েছে যে, ৮০সি ধারায় (পিএফ, জীবনবিমা, পিপিএফ ইত্যাদি) পুরো দেড় লক্ষ টাকাই জমানো হচ্ছে।
মাথায় রাখুন
সারণিতে করের হিসেব দেখার পাশাপাশি খেয়াল রাখুন—
• প্রবীণ নাগরিকদের (৬০ বছর বা তার বেশি কিন্তু ৮০ বছরের কম) ক্ষেত্রে করশূন্য আয়ের সীমা বছরে ৩ লক্ষ টাকা। এর পরের বাকি স্তর এবং করের হার একই।
• অতি প্রবীণ নাগরিকদের (৮০ বছরের বেশি বয়স) ক্ষেত্রে প্রথম ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় পুরোপুরি করমুক্ত। এই বাজেটে অতি প্রবীণ নাগরিকদের করে বদল নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
• বছরে আয় এক কোটি টাকা ছাড়ালে, করের উপর ধার্য হবে ১০% সারচার্জ।
• করের উপর শিক্ষা এবং উচ্চশিক্ষা সেস বাবদ অতিরিক্ত ৩% গুনতে হবে।
সারণি ১: কতটা বাঁচাতে পারবেন।
সবিস্তার জানতে ক্লিক করুন।
কর বাঁচাতে সঞ্চয়
করশূন্য আয়ের সীমা এ বার ৫০,০০০ টাকা বাড়ায় অন্তত ৫ হাজার টাকা কর কমবে প্রত্যেকের। এবং এই হিসাব দুই সারণিতেই স্পষ্ট। কিন্তু এ ছাড়াও কর বাঁচানোর সুযোগ থাকবে অতিরিক্ত লগ্নি এবং গৃহঋণের উপর সুদ বাবদ। প্রথমে সঞ্চয়ের প্রসঙ্গেই আসি।
• ৮০সি ধারায় (পিএফ, পিপিএফ, জীবনবিমা ইত্যাদি) আগে করছাড় পাওয়া যেত বছরে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত লগ্নির উপর। সেই ছাড়যোগ্য লগ্নির সীমা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১.৫ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ যাঁরা ১০, ২০ ও ৩০% করের আওতায় পড়েন, তাঁরা অতিরিক্ত কর সাশ্রয় করতে পারবেন অন্তত ৫,০০০, ১০,০০০ ও ১৫,০০০ টাকা।
ছাড় পেতে বাড়ি
বাড়তি কর ছাড়ের সুযোগ এখন গৃহঋণের সুদেও। নিজের বসবাসের জন্য নেওয়া গৃহঋণের উপর সুদ বাবদ ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ আগে বাদ দেওয়া হত করযোগ্য আয় থেকে। এ বার বাদ দেওয়া হবে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। ফলে এখানেও বাঁচবে টাকা।
খেয়াল করে দেখুন, ৩০% করের আওতায় পড়েন এমন কেউ যদি সব ক’টি ছাড়ের (করশূন্য আয়ের সীমা, ৮০সি ধারায় সঞ্চয় এবং গৃহঋণে সুদ) পূর্ণ সুযোগ নিতে পারেন, তবে ২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষে তাঁর পক্ষে ৩৬,০৫০ টাকা কর বাঁচানো সম্ভব।
কী করণীয়?
সুতরাং দেখা গেল, এ বারের বাজেট ৩৬,০০০ টাকা পর্যন্ত কর বাঁচানোর সুযোগ করে দিয়েছে। সুবিধার পুরোটা কিন্তু আপনিই হাতে আসবে না। তার জন্য উদ্যোগী হতে হবে। ৮০সি ধারায় এক লক্ষ টাকার জায়গায় লগ্নি করতে হবে ১.৫ লক্ষ টাকা। মনে রাখতে হবে, বাজেট এ বার অনেকটাই দেরিতে পেশ হয়েছে। ফেব্রুয়ারির জায়গায় জুলাই মাসে। অর্থাৎ, হাতে আছে আর মাত্র সাড়ে আট মাস। কর বাবদ বাড়তি সাশ্রয়ের সুবিধা পেতে সঞ্চয় করতে হবে অনেকটাই বেশি। সুতরাং পরিকল্পনা ছকে নিয়ে এখন থেকে প্রতি মাসে লগ্নি করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সারণি ২: নতুন করের হার (২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষের জন্য)। সবিস্তার জানতে ক্লিক করুন।
রাখব কোথায়?
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক করছাড়ের নতুন সুবিধা কাজে লাগাতে বাড়তি সঞ্চয় ঠিক কোথায় করলে সুবিধা হতে পারে আপনার—
• যেখানে কাজ করেন, সেই সংস্থার প্রভিডেন্ট ফান্ডে (পিএফ) স্বেচ্ছায় আগের থেকে বেশি টাকা কাটাতে বলতে পারেন।
• লগ্নি বাড়াতে পারেন পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডেও (পিপিএফ)।
• মিউচুয়াল ফান্ডের ইএলএসএস অ্যাকাউন্টে খাতা খুলে এসআইপি পদ্ধতিতে মাসে নির্দিষ্ট অঙ্ক জমান।
• অতিরিক্ত লগ্নির টাকা হাতে না-থাকলে, যাঁদের পুরনো পিপিএফ অ্যাকাউন্ট আছে, সেখান থেকে প্রয়োজন মতো টাকা তুলে ৮০সি ধারার কোনও প্রকল্পে লগ্নি করতে পারেন।
• অন্য যে-সব প্রকল্পে লগ্নি করে বা যে-সব শেয়ার থেকে ভাল আয় আসছে না, সেগুলি বিক্রি করে অতিরিক্ত বিনিয়োগের সংস্থান করতে পারেন।
পিপিএফে দেড় লক্ষ
পিপিএফে টাকা রাখা যে ভাল রিটার্ন পেয়েও কর সাশ্রয়ের দিক থেকে কতটা সুবিধাজনক, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই আমার মতে, কেন্দ্র এ বার বাজেটে এখানে লগ্নির সীমা বাড়ানোর যে-সুবিধা এনেছে, তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে হবে। এত দিন পিপিএফ অ্যাকাউন্টে বছরে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত রাখা যেত। তার উপর মিলত ৮০সি ধারায় করছাড়। ৮০সি ধারায় সঞ্চয়ের সর্বোচ্চ অঙ্ক বাড়ানোর সঙ্গে এ বার পিপিএফে টাকা রাখার সীমাও বেড়ে ১.৫ লক্ষ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ, কেউ ইচ্ছে করলে ৮০সি ধারার অধীনে লগ্নির পুরোটাই পিপিএফ অ্যাকাউন্টে করতে পারেন। আবার পিপিএফ-সহ অন্যান্য অনুমোদিত প্রকল্প মিলিয়েও ৮০সি ধারায় ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রাখতে পারেন।
মনে রাখবেন, পিপিএফ লগ্নির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুরক্ষিত জায়গা। বিশেষত উঁচু হারে করদাতাদের কাছে। এখানে এক দিকে লগ্নিতে করছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়। অন্য দিকে এর থেকে পাওয়া সুদ থাকে করমুক্ত। সুদের হারও বর্তমান বাজারে বেশ ভাল। সুরক্ষার দিক থেকেও এই প্রকল্প অন্যতম শ্রেষ্ঠ। এই সব কারণে ৮০সি ধারায় করছাড়ের প্রয়োজন নেই, এমন অনেকেও পিপিএফে প্রতি বছর পুরোদমে টাকা জমান। তাই এখানে লগ্নির সীমা বৃদ্ধি অবশ্যই বড় পাওনা। এখান থেকেও পরোক্ষ ভাবে বাড়তি করছাড়ের সুযোগ নেওয়া যেতে পারে।
প্রকৃত সাশ্রয়
এখন প্রশ্ন হল, যতটা দাবি করা হচ্ছে, সত্যিই কি ততটা সুবিধা হবে মানুষের? ধরা যাক, এক জন করদাতার আয় ৫ লক্ষ টাকা। তাঁর পক্ষে ১.৫ লক্ষ টাকা জমানো এবং গৃহঋণ বাবদ মোটা টাকা সুদ দেওয়া কি আদৌ সম্ভব? কারণ, শুধু তো সুদ নয়, শোধ করতে হবে আসলও। সে ক্ষেত্রে সংসার চালানোর জন্য আর হাতে থাকবে কী? অর্থাৎ, ৫ লক্ষ টাকা আয়যুক্ত মানুষ তো নয়ই, যাঁদের আয় আরও খানিকটা বেশি, তাঁদের পক্ষেও এই চড়া দামের বাজারে ৮০-সি ধারায় এবং গৃহঋণের সুদ বাবদ সুবিধার পুরোটা নেওয়া হয়তো সম্ভব হবে না। ফলে একমাত্র উঁচু আয়ের মানুষেরাই এ বারের বাজেট থেকে পুরো সুবিধা নিতে পারবেন। কিন্তু আমার পরামর্শ, যতটা সম্ভব সুযোগ কাজে লাগান।
অন্যান্য সুবিধা
সাধারণ মানুষের জন্য বাজেটে আরও কয়েকটি সুবিধার কথা বলা হয়েছে। এগুলি হল—
• পিএফের আওতায় থাকা কর্মচারী পেনশন প্রকল্প থেকে মাসে ন্যূনতম ১০০০ টাকার পেনশন দেওয়ার প্রস্তাব।
• একই কেওয়াইসি দাখিল করে সব রকমের আর্থিক লেনদেন করার সুবিধা। এর মধ্যে থাকবে ব্যাঙ্কিং, বিমা, শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি ইত্যাদি।
• একই ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্টে সব ধরনের লগ্নি রাখার সুবিধা।
• কিষান বিকাশ পত্র নতুন করে চালু করার প্রস্তাব।
• শিশুকন্যার শিক্ষা এবং বিবাহের জন্য বিশেষ ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প চালু করার প্রস্তাব।
• বিমার সুবিধাযুক্ত জাতীয় সঞ্চয়পত্র চালু করার প্রস্তাব। গ্রামের মানুষ এবং কম আয়ের মানুষের উপকার হবে।
• ৮৭-এ ধারায় ২০০০ টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স ক্রেডিটের সুবিধা রেখে দেওয়া হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী যাঁদের আয় ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে তাঁরা দেয় আয়কর থেকে বাড়তি ২০০০ টাকা ছাড় পাবেন।
প্রবীণেরা যা পেলেন
বাজেটে প্রবীণ নাগরিকেরা প্রতিবারই কিছু প্রসাদ আশা করে থাকেন। অর্থমন্ত্রী এঁদের কথা ভোলেননি। রেখেছেন কিছু ব্যবস্থা। এগুলি হল—
• করশূন্য আয়ের মাত্রা ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করা। অর্থাৎ মাসে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও করই দিতে হবে না। এর বেশি আয় হলে অন্যদের মতো প্রবীণদেরও কর সাশ্রয়ের ব্যবস্থা আছে।
• এক বছরের জন্য জাগিয়ে তোলা হবে বরিষ্ঠ পেনশন বিমা যোজনা। ২০১৪ সালের ১৫ অগস্ট থেকে ২০১৫ সালের ১৪ অগস্ট পর্যন্ত।
• পিপিএফ অ্যাকাউন্ট এবং বিভিন্ন ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে পড়ে থাকা দাবিহীন তহবিল প্রবীণ নাগরিকদের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা যায় কি না, তা পরীক্ষা করে দেখবে একটি বিশেষ কমিটি।
• ন্যূনতম ১০০০ টাকা সরকারি পেনশনের কথা আগেই বলা হয়েছে।
আর যা নেই?
অনেক কিছুই দাবি করা হয়। আশা নিয়ে বসে থাকা হয় বাজেট ঘোষণার দিন পর্যন্ত। কিছু পাওয়া যায়, আবার কোনও কোনও ব্যাপারে হতাশও হতে হয়। এ বার যা পাওয়া গেল না, তা হল
• স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামের উপর ছাড় বাড়ানো হয়নি, যদিও প্রিমিয়াম বাবদ খরচ বেড়েছে অনেকটাই।
• করমুক্ত বন্ড ইস্যুর উল্লেখ এ বারের বাজেট প্রস্তাবে নেই। উঁচু হারে করদাতাদের কাছে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় লগ্নির জায়গা। আগের তিন বছর করমুক্ত পরিকাঠামো বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বছরে মোট ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এ বার এই ধরনের বন্ড ইস্যুর অনুমতি দেওয়া না হলে আগে ইস্যু করা বন্ডগুলির বাজারদর বেড়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে।
• ইক্যুইটি-নির্ভর নয় এমন ছোট মেয়াদের মিউচুয়াল ফান্ডের প্রায় মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করেছে এ বারের বাজেট। ঋণপত্র-নির্ভর ইউনিট তিন বছর ধরে রাখলে তবেই মূলধনী লাভ করের সুবিধা পাওয়া যাবে। এর ফলে আকর্ষণ হারাতে পারে ছোট মেয়াদের প্রকল্পগুলি।
লেখক বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ
(মতামত ব্যক্তিগত)