প্রতীকী ছবি
ন্যায়সম্মত ভাবে দেশ পরিচালনার লক্ষ্যে সরকার যোগ্য নাগরিকদের থেকে কর (ট্যাক্স) সংগ্রহ করে। স্থানীয় সরকারকে কর দেওয়াটা তাই সকলেরই কর্তব্য, পৃথিবীর যে জায়গারই বাসিন্দা হোন না কেন!
কর হল একটি বাধ্যতামূলক আর্থিক মূল্য, যা সরকার কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর আরোপ করে রাজস্ব সংগ্রহের উদ্দেশ্যে। জনগণের কল্যাণে সবচেয়ে সেরা সুযোগসুবিধা দিতে বিভিন্ন সরকারি ব্যয়ের খাতে সংগৃহীত তহবিলটি ব্যবহৃত হয়।
এই কর যে কোনও ভাবেই সংগ্রহ করা যেতে পারে। যেমন রাজ্যের কর, কেন্দ্রীয় সরকারের কর, প্রত্যক্ষ কর, পরোক্ষ কর এবং আরও নানাবিধ ক্ষেত্রে। কেউ এই কর দিতে ব্যর্থ হলে বা সময়মতো সরকারকে তা প্রদান না করলে পূর্ব-নির্ধারিত আইন অনুসারে সেই ব্যক্তি বা কোনও সংস্থা বড়সড় সমস্যায় পড়তে পারে।
কর ফাঁকির আইন এবং তার প্রভাব:
ভারত সরকার বিভিন্ন কর সম্পর্কিত আইন প্রণয়ন করেছে, যার আওতাভুক্ত নিয়মকানুন প্রত্যেক নাগরিকেরই মেনে চলা বাধ্যতামূলক। নিয়ম অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। কর সম্পর্কিত আইন এবং কর ফাঁকি দেওয়ার ক্ষেত্রে আরোপিত কিছু ধারা এবং জরিমানাগুলি নীচে সবিস্তার আলোচনা করা হল:
* ধারা ১৪০এ (১): যদি কোনও করদাতা আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কর পরিশোধে ব্যর্থ হন, তা হলে তিনি সুদের মূল পরিমাণের উপর, ডিফল্টার হিসেবে বিবেচিত হবেন। কর ধার্যকারী অফিসার ধারা ২২১ (১) অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে বকেয়ার সমান জরিমানা আরোপ করতে পারেন।
* ধারা ২৭১ (সি): যদি কোনও করদাতা প্রকৃত আয় বা উপার্জন সঠিক ভাবে প্রকাশ না করেন, তবে এই ধারায় ১০০ শতাংশ থেকে ৩০০ শতাংশ জরিমানা আরোপ করা যেতে পারে।
* কর দিতে ব্যর্থ হলে ধারা ১৪২ (১) এবং ১৪৩ (২): এই ধারাগুলির অধীনে, আয়কর দফতরের তরফ থেকে একটি নোটিস পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি এর জবাব না দেন, তবে ধার্যকারী অফিসার করদাতাকে রিটার্ন দাখিল করতে বা সম্পদ ও দায়ের সমস্ত বিবরণ লিখিত ভাবে প্রদান করতে বলতে পারেন।
কর আদায়ের ব্যবস্থা দেশের প্রতিটি অংশের উন্নয়নে সহায়তা করে। তাই সরকারকে কর দেওয়া করা সকল নাগরিকের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সরকারি নিয়ম অনুসারে এটি ঠিক সময়ে জমা দেওয়া উচিত।
এই প্রতিবেদনটি ‘টাকা টক্’ ফিচারের অংশ।