প্রতীকী চিত্র
২৫ থেকে ৩৫, এই বয়সসীমায় যাঁরা থাকেন, তাঁদের প্রত্যেকের মধ্যে একটি সমস্যা চোখে পড়ে। তা হল মাসের শুরুতেই খরচের সমস্যা। প্রথম দিনেই যখন একসঙ্গে অত টাকা হাতে আসে, তার শান্তি অন্য পর্যায়ের। এ দিকে ইএমআই বা পিএফ ইত্যাদি খাতে এক বারে মাসের শুরুতেই টাকা কেটে যায়। সঙ্গে থাকে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকা কেনাকাটার শখ, বা বেড়াতে যাওয়ার যাবতীয় পরিকল্পনার পিছুটান। হু-হু করে এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যেই খরচ হয়ে যায় অর্ধেকের বেশি মাইনে। বাকি টাকা দিয়ে কষ্ট করে টেনেটুনে আবারও এক মাস কাটানোর পালা। আপনার জন্য টাকা জমানো ও বাড়ানোর বেশ কিছু টিপস রইল এই প্রতিবেদনে।
ঋণ মেটান –
ঋণ রেখে দিলে সুদে আসলে সেই অঙ্ক মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে বেশি সময় নেয় না। অনেক সময়ে চোখের আড়ালেই বেশ কিছু মাসের মধ্যে সেই টাকার অঙ্ক বিশাল আকার ধারণ করে। টাকা বাঁচাতে চাইলে তাই ঋণের বোঝা হালকা করুন।
পারিপার্শ্বিক খরচে রাশ টানুন-
বিদ্যুতের বিল, জলের বিল,বা গ্যাসের বিল-- এই ধরনের খরচ লাগামছাড়া হয়ে গেলে টাকা বাঁচানো খুব মুশকিল। তাই ঘরে না থাকলে আলো, পাখা, এসি ইত্যাদি বন্ধ করে রাখুন। কম বিদ্যুৎ খরচ হয়, এমন আলো, পাখা ব্যবহার করুন ঘরে। জলের খরচের হিসাব রাখুন, বেহিসেবি খরচ করবেন না। রান্নার গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রেও খরচ কমানোর দিকে নজর দিন।
নিজে রাঁধুন –
টুকটাক বাইরের খাবার রোজই কম বেশি খাওয়া হয়ে যায়। কিন্তু রাতের বা দুপুরের খাবারের জন্য রোজ রেস্তরাঁয় যাওয়ার অভ্যাস থাকলে খরচ কমাতে পারবেন না। তাই বাড়িতে রান্না করে খাওয়ার দিকে জোর দিন।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি টাকা জমানোর ব্যবস্থা করুন-
মাইনে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে যাতে অ্যাকাউন্ট থেকেই সেই টাকা কেটে জমানোর খাতে চলে যায়, সেই ব্যবস্থা করে রাখুন। এতে টাকা জমাতে সুবিধাই হবে।
নিজের কাজ নিজেই করুন-
শহরের ব্যস্ত জীবনে ঘরের ছোটখাটো কাজও নিজের করার সময় হয় না। তাই অন্য কাউকে দিয়ে করানো হয়। তবে টাকা জমাতে চাইলে সেই অভ্যাসে বদল আনতে হবে। নিজের কাজ নিজেই করুন।
‘টাকা টক্’-এর প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘বন্ধন মিউচুয়াল ফান্ড’।
এই প্রতিবেদনটি ‘টাকা টক্’ ফিচারের অংশ।